কেমন হল স্বরবর্ণ * পুজো সংখ্যা * ১৪৩১? কী বলছেন সুধী পাঠকমন্ডলী ? এ বিষয়ে ব্লগে অনেকেই মতামত দিয়েছেন । আবার ব্লগে স্বচ্ছন্দ না হওয়ায়, অনেকে সম্পাদকের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মতামত জানিয়েছেন। ফোনেও অনেকে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তাছাড়া, এ সংখ্যার কবি লেখকেরা অনেকেই তাঁদের নিজস্ব ওয়ালে সংশ্লিষ্ট লেখাটি শেয়ার করেছেন। সেখানেও অনেকে মতামত দিয়েছেন। সুচিন্তিত মতামত দেওয়ার জন্য সকল পাঠককে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।
ব্লগে এবং হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া মতামতগুলি হাতের কাছে থাকায়, ক্রমান্বয়ে সেগুলি প্রকাশ করব । আজ প্রথম পর্ব -----
শতদল মিত্র লিখেছেন----
প্রথমেই 'সম্পাদকীয়' কথা...স্পর্শ করল সময়ের সত্যকে। সত্যিই শরত আজ দিশেহারা!
'আকাশ ফুঁড়ে লক্ষমুঠি শ্লোগানমুখর
চায় খালি জাস্টিস ফর আর জি কর!'
অণুগল্প বিভাগে সুব্রত ভৌমিকের 'কলিং বেল' দুর্দান্ত একটি গল্প। কোথায়, কখন যে আমাদের মনোজাগতিক প্রতীক্ষা আচমকা বেজে ওঠে! প্রতিমা রায়ের পোস্টমর্টেম ভালো লাগল। মুরগির মহামারির সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থার প্রতিতুলনা এক চমৎকার শৈলীতে উপস্থাপিত হয়েছে।
গল্প বিভাগে পার্থপ্রতিম গোস্বামীর গল্পটি তেমন গল্প না হয়ে উঠলেও 'ঠকে যাওয়া মানুষ'-এর এক অর্থে জিতে যাওয়ার চিত্রণ ভালো লাগল। প্রদীপকুমার দে'র 'সীতাহার বিভ্রাট' গল্পে সাধারণ মানুষের জীবনের ছোট ছোট চাওয়া-পাওয়ার মরমী আখ্যান মন ছুঁল। সুদীপ ঘোষালের 'হারানো সুর' কতটা গল্প জানি না, তবে সুন্দর স্মৃতি জাগানিয়া। একটা গল্প কী বলছে সেটা যেমন সত্যি, তার চেয়েও বড় সত্যি কীভাবে বলছে, কোন ভাষায় বলছে; অন্তত আমি-পাঠক তাই বিশ্বাস করি। এক্ষেত্রে আমাকে মুগ্ধ করেছে শাশ্বত বোসের 'বইপাড়ার মাটনকারি'। বিষয়ও যেমন অতি আধুনিক, অথচ আবহমান জীবনের; তেমনই গল্পের নির্মাণ তার দক্ষতায় অতীব অসাধারণ।
রবীন্দ্রসঙ্গীত বিষয়ে পারমিতা ভৌমিকের প্রবন্ধ ভালো লাগল। রবীন্দ্রনাথের সামগ্রিক জীবনের রূপান্তরের ভাষিক প্রকাশই তাঁর সঙ্গীত, লেখকের এ ভাবনায় মন আলো পেল। আমার প্রিয় মানুষ শ্রীগৌরাঙ্গ বিষয়ে দেবাশিস সাহার প্রবন্ধ 'শ্রীচৈতন্যের দেহকান্তি, অরূপের রূপ' খুবই আন্তরিক, সুখপাঠ্য।
'প্রিয় কবি, প্রিয় কবিতা' বিভাগে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর 'উলঙ্গ রাজা' ভীষণই প্রাসঙ্গিক।
সবশেষে বলি 'স্বরবর্ণ' অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন একটি পত্রিকা, যা পরবর্তী সংখ্যার জন্য পাঠকের মনে আগ্রহ জিইয়ে রাখে।
ড. বিশ্বজিৎ বাউনা অনেকের লেখা সম্পর্কেই সুচিন্তিত মতামত দিয়েছেন। তুলে দিচ্ছি একে একে----
রহিত ঘোষালের কবিতা পড়ে তিনি লিখছেন---আমার গর্ত গর্ত শরীর মাথাভাঙা মৃতদেহ...দারুণ চিত্র কল্পনা।
কৌশিক সেনের গুচ্ছ কবিতা সম্পর্কের লিখছেন---অসাধারণ লেখা সব।
শম্পা সামন্ত-এর কবিতা সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য--- বেশ মননশীল লেখা।
ইন্দ্রাণী সেনগুপ্ত-এর কবিতা নিয়ে তাঁর পর্যবেক্ষণ---অনুভূতিকে শাণিত করে এই লেখা। সাবলীল ও গভীর।
উমা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কবিতা পড়ে তিনি লিখছেন ----চমৎকার লেখা। অনুভূতির কোলাজ।
অনিরুদ্ধ সুব্রত-র কবিতার উপর তাঁর আলোকপাত ---কবির শব্দ উপহার বেশ সমৃদ্ধ।
অলোক পুষ্পপুত্র-এর কবিতা সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য ---চমৎকার বুনন।
অরূপরতন হালদার-এর কবিতা নিয়ে বিশ্বজিৎ লিখেছেন--ভাবনার অন্তর্লীন উচ্চারণে সুন্দর লেখা।
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কবিতা সম্পর্কে তাঁর অভিমত--- সহজ ভাবে লেখা অনুভব।
অমিত চক্রবর্তী-র কবিতার উপর তাঁর বীক্ষণ---লেখা দুটি বেশ ভালো লাগলো।
( আগামী পর্বে )
