বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২

লেখা আহ্বান


***************************************

স্বরবর্ণ * এগারো ২০২২  

দ্বিতীয় বর্ষ * পঞ্চম  সংখ্যা 

*********************************************

শীত সংখ্যারূপে প্রকাশিত হবে আগামী  ৫ ডিসেম্বর  ২০২ 


* এই সংখ্যার জন্য আপনার মৌলিক ও অপ্রকাশিত লেখা ( গল্প কবিতা প্রবন্ধ  অণুগল্প  অনুবাদ কবিতা  ভ্রমণ কাহিনি  ইত্যাদি  ) ৫ নভেম্বর ২০২- এর মধ্যে পাঠিয়ে দিন । 

* শব্দসীমা অনির্দিষ্ট। 

কবিতার ক্ষেত্রে কমপক্ষে দুটি কবিতা পাঠাবেন  

* লেখার সঙ্গে আপনার একটি ছবি এবং সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, প্রকাশিত গ্রন্থ (থাকলে)  ছবিসহ পাঠান । 

* "স্বরবর্ণ " সামগ্রিক চিন্তার ফসল। প্রতি দুমাস অন্তর মাসের ১৫ তারিখ বেরো আগে থেকে লেখা পাঠানপরিকল্পনার সুবিধার জন্যলেখা পাঠাবেন ওয়ার্ড ফাইলে, হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ই-মেইল বডিতে টাইপ করে 


* হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর   8777891532

*ই-মেইল --- debasishsaha610@gmail.com 


সম্পাদকমণ্ডলী                                                   

 ড : শুভঙ্কর দে           অলোক কোৱা

সৌম্যজিৎ দত্ত             দেবাশিস সাহা  

শনিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২২

পাঠকের মতামত : শারদীয় স্বরবর্ণ * ১৪২৯


কবি-লেখকেরাই স্বরবর্ণের মূল চালিকা শক্তি। তাঁদের সৃষ্টিকাজ বুকে ধরে 'স্বরবর্ণে'র পথ চলা। কোনও সন্দেহ নেই,সেই সঙ্গে তার চলার গতিকে ত্বরান্বিত করেছে পাঠকের সুচিন্তিত মতামত। পাঠকের মতামতের আজ দ্বিতীয় পর্ব। এই পর্বে থাকছে, গদ্য সংক্রান্ত পাঠকের প্রতিক্রিয়া ----

'জাঁ লুক গোদার -আমাদের বর্ণবিমোহনের তীরন্দাজ' স্মরণ বিভাগে কিন্নর রায়ের লেখা সম্পর্কে তরুণ হালদার লিখছেন   'জাঁ লুক গোদার - আমাদের বর্ণবিমোহনের তীরন্দাজ' বিশ্ববিশ্রুত চলচ্চিত্র পরিচালক গোদারের স্মরণে লেখা কিন্নর রায়ের এই লেখাটির যেমন নামকরণ, তেমনই গোদার সম্পর্কিত আলোকপাতও স্বতন্ত্র। লেখকের দৃষ্টিভঙ্গির তারিফ করি। 

শুভাশিস ঘোষ এর গল্প পড়ে তন্ময় রায় লিখছেন    'পরিযায়ী' এক কথায় একটি অসাধারণ গল্প। লক ডাউনের বিভীষিকাময় দিনগুলিতে শ্রীদামের মতো অসহায়, সহায়- সম্বলহীন মানুষদের চোখের জলের কথা ভাষায় রূপ পেয়েছে গল্পটিতে। কোথায় ঘোড়ামারা দ্বীপ,মুড়িগঙ্গা নদী আর কোথায় তেলেঙ্গানা সিঙ্গেরানি কয়লাখনি। এত দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে কী বিপর্যয় নেমে এসেছিল, তা আমরা যেমন দেখেছি, সেই সময় খবরের কাগজে কিংবা টিভিতে, তারই এক টুকরো ছায়াছবি যেন 'পরিযায়ী' গল্পটি। 

শিল্পী গাঙ্গুলী শতদল মিত্রের গল্প পড়ে জানাচ্ছেন    আবার সেই ভয়ঙ্কর দিনের স্মৃতি ফিরে এল । মানুষ যে কখন কোথায় হেরে বসে থাকে! খুব ভালো লাগল। 

বিশ্বনাথ পালের অণুগল্প পড়ে গৌরীশঙ্কর দে লিখেছেন   বেশ ভালো লাগলো। অত্যন্ত আকস্মিকভাবে শেষ হলো গল্পটি।

দীপংকর রায়ের উপন্যাস "কথা দিয়েছিলাম হেমন্তের নিয়রে" সপ্তম পর্ব পড়ে অনীল হাজরা জানাচ্ছেন  দীপংকর রায়ের ধারাবাহিক উপন্যাস "কথা দিয়েছিলাম হেমন্তের নিয়রে " নিয়মিত পড়ছি। আর ৭১-এ ভিটামাটির ছেড়ে এবার বাংলায় চলে আসার যে মর্মযাতনা উপলব্ধি করছি হাড়ে হাড়ে, কারণ ওই একই সময়ে আমারও উদ্বাস্ত হয়ে এবার বাংলায় চলে আসা, আমার সব আবার শূন্য থেকে শুরু করা। লেখকের লেখায় যখন পড়ছি "... সেখানে সন্ধ্যা নেমে আসে ডাহুকের ডাকে। দুপুর বেলাগুলিরও স্তব্ধতা ভেঙে দেয় ওই ডাহুকগুলি । এ কোণা ও কোণা সে কোণা থেকে তারা যেন কেবলই মনে করাতে চায় আমার সেই ফেলে আসা সময়গুলি ।" তখন পড়তে পড়তে হুহু করে কেঁদে উঠছে মনটা।

শীলা দাশের নিবিড় পাঠে পত্রিকার গদ্য রচনাগুলির নানাদিক উন্মোচিত হয়েছে, এমন পাঠককে কুর্নিশ। 

রূপায়ণ ঘোষের অনুবাদ কবিতা প্রসঙ্গে তিনি লিখছেন  ফারসি ভাষায় তিন নারী ---জমিলা ইস্পাহনি, জাহাঙ্গীর পত্নী নূরজাহান, যিব্-অল্-নিসা-মখ্ফি-র রচিত কবিতার অনুবাদ খুব ভালো লাগলো। কবি রূপায়ণ ঘোষকে অভিনন্দন।

শংকর ব্রহ্মের কবিতা বিষয়ক গদ্য 'মির্জা গালিব' সম্পর্কে তাঁর অভিমত  শঙ্কর ব্রহ্ম রচিত মির্জা গালিবকে নিয়ে রচনাটি অতি উৎসাহ নিয়ে পড়লাম। অনেক কিছু জানলাম। সমৃদ্ধ হলাম। কিন্তু আমার মনে হলো, রচনাটি পুনরুক্তি অথবা অতিশয়োক্তি দোষে দুষ্ট। পারম্পর্য হীনতাও কিছুটা রয়েছে। শুরুর দিকে গালিবের জীবনীর কিছু অংশ যেটা বলা হয়েছে, সেটা আবারও মধ্য অংশে পুনর্বার বলা হচ্ছে।যে কবিতাগুলো সর্বশেষে দেওয়া হয়েছে, সেগুলো আগেই রচনার মধ্যে উল্লিখিত হয়েছে।অনেক তথ্যথাকলেও সুন্দর সমাপন ঘটেনি। সাযুজ্য ও পরিমিতি রক্ষা করতে পারলেই একটি সার্থক প্রবন্ধ নির্মিত হতে পারে। লেখক নিজে যেহেতু কবি তাই নিজের রচিত একটি কবিতা দিয়ে রচনাটি শেষ করতে পারতেন। তবু রচনাটি পড়ে অনেক তথ্য জানতে পারলাম তাই লেখককে জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা।

'ধুলোর সিংহাসন' দেবাশিস সাহার উপন্যাসের অন্তিম পর্ব পড়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া  'ধুলোর সিংহাসন' উপন্যাসের অন্তিম পর্ব এমন ভাবে সাসপেন্স নিয়ে এল যেন বুকের ভেতর হাতুড়ির বাড়ি। চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়লো। সত্যিই সোনায় মোড়া সিংহাসন এক নিমেষেই চুরচুর হয়ে ধুলোয় মিশে গেলো।নামকরনের সার্থকতা। স্নেহ অতি বিষম বস্তু  এ কথাটি যে পরম সত্য সেটা শেষ স্তবকে বেহালার ছড়ে করুণ সুরে বেজে উঠল।সংসার জীবনের নির্মম বাস্তবের প্রতিচ্ছবি। ট্র্যাজিক উপন্যাস।এত সুন্দর চরিত্র উপস্হাপনা। অশোক-অলির এত সুখের সংসার যার তুলনা পাওয়া ভার। অর্থের অভাবে তাদের সম্পর্কে কখনো ফাটল ধরেনি। ভালোবাসা স্নেহই তাদের সম্পদ। তিল তিল করে গড়া এই সম্পদ যখন প্রাচুর্যে পরিণত হতে চলেছে তখনি বজ্রপাত। অতি আদরের একমাত্র সন্তান উপমার কাছ থেকে চরম আঘাত। প্রজন্মের ব্যবধানকে অশ্রুজলের শব্দে নির্মাণ করলেন পরিণত ট্রাজেডি। আগামী দিনে এমন সৎ ও সুন্দর উপন্যাস আরো পড়তে চাই। অনেক অভিনন্দন।

স্বপন নাগ দেবাশিস সাহার 'ধুলোর সিংহাসন' উপন্যাসের অন্তিম পর্ব পড়ে লিখছেন  এভাবে শেষ হবে, ভাবনায় ছিল না। একটা মনখারাপের ঢেউয়ে চিন্তার সমুদ্র দুলে উঠছে। লেখার গুণে অশোক-অলি-উপমা যেন কল্পিত কোনও চরিত্র নয়। একেবারে আমাদের পাশেরই চেনাজানা রক্তমাংসের মানুষ। তাদের দুঃখ-আনন্দ আমাদের নিজস্ব অনুভূতির বাইরে কিছু নয়। আর নয় বলেই বুঝি উপমার এভাবে চলে যাওয়া আমাদেরও বিষণ্ণ করে, হতাশ করে। খুব ভালো লাগলো 'ধুলোর সিংহাসন' উপন্যাসটি। লেখাটি পাঠকপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হবে, আমি নিশ্চিত। 

আব্দুস সালাম সামগ্রিকভাবে পত্রিকা সম্পর্কে লিখছেন    স্বরবর্ণ এক উন্নত মানের সাহিত্য পত্রিকা। এতো দিন পড়ার সুযোগ হয়নি। প্রতিটি বিভাগ যথেষ্ট বলিষ্ঠ। দেবাশিস সাহার উপন্যাসটির অন্যান্য কিস্তি পড়তে পারিনি। কেননা, সদ্য আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে এই মূল্যবান সংখ্যাটি। সুন্দর সমাপনী। অনেক অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় কথাকার মহাশয়কে।


বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২

পাঠকের মতামত : শারদীয় স্বরবর্ণ * ১৪২৯


কবি-লেখকেরাই স্বরবর্ণের মূল চালিকা শক্তি। তাঁদের সৃষ্টিকাজ বুকে ধরে 'স্বরবর্ণে'র পথ চলা। কোনও সন্দেহ নেই,সেই সঙ্গে তার চলার গতিকে ত্বরান্বিত করেছে পাঠকের সুচিন্তিত মতামত। পাঠকের মতামতের আজ প্রথম পর্ব। এই পর্বে থাকছে,কবিতা সংক্রান্ত পাঠকের প্রতিক্রিয়া ----


মহিউদ্দিন আহমেদ জুয়েল মাজহারের কবিতা পড়ে লিখছেন  অনন্য শব্দের মেলবন্ধন, অসাধারণ রূপায়ণ, শুভকামনা সতত।

গৌরীশঙ্কর দে-র গুচ্ছ কবিতা পড়ে পঙ্কজ মান্না লিখেছেন   আপনার কবিতার ভাব,ভাষা,ভাষাচিত্র, কোনো কোনো ক্ষেত্রে কথার ধারালো অভিমুখ, ধ্বনির বিন্যাস নবতর রুচি সব মিলিয়ে এত স্বতন্ত্র ও মৌলিক যে পাঠকের চেতনায় বেশ নাড়া দেয়। শ্রদ্ধা জানাই আপনাকে।

বৈশালী গাঙ্গুলী উদয় ভানু চক্রবর্তীর কবিতা পড়ে লিখছেন   তিন স্তবকে অনন্য অলংকার সমৃদ্ধ "ঝরা পাতার মর্মর", ত্রিশূল হয়ে অনুভূতির আবেশে চরমভাবাপন্ন করে তুলতে সক্ষম হল। আর "তরঙ্গ" অতি আন্তরিকতায় ভরপুর কল্পনার চিত্রনাট্য মনে হল। এমন স্বতন্ত্র লেখার মাধ্যমে পত্রিকার মান বৃদ্ধি পায় বৈকি।

জবা ভট্টাচার্যের কবিতা পড়ে শহিদ মিয়া বাহার লিখছেন  সকালহীন রাত কি হয় কখনো? কি অদ্ভুত সুন্দর লেখা। অভিনন্দন অভিনন্দন বন্ধু। 

জুয়েল মাজহার লিখছেন দেবদাস রজকের কবিতা পড়ে  তুষের মতোই জেগে থাকে সমিধক্লেশ ।

প্রদীপ ঘোষ এর কবিতা পড়ে গৌরীশঙ্কর দে লিখেছেন  প্রত্যেকটি কবিতা পড়ে উঠলাম। অত্যন্ত অভিনবত্বের দাবি রাখে কবিতাগুলি। আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নেবেন। 

মৌসুমী ব্যানার্জি চন্দ্রাণী গোস্বামীর কবিতা পড়ে লিখছেন  দুটি কবিতাই নিজস্বতায় মোড়া। তোমার কবিতা যেন বিকেলের টুকরো অবসর!যেন অত্যন্ত গরমে হঠাৎ আসা আরাম হাওয়া! 

বিনয়েন্দ্রনাথ রায় অলক পুষ্পপুত্রের কবিতা পড়ে লিখছেন   তীব্র বিদ্রুপের ঝাঁঝ এইসব পংক্তি-মালায় তৃপ্তি দেয়, বর্শা হানে, উপরন্তু কিছুটা জ্বালায়!

তন্ময় রায় লিখছেন পরানসখা ব্রজবাসীর কবিতা পড়ে   সুন্দর। মুগ্ধ বিস্ময়ে পড়ে ফেললাম..। কবিতার ছায়ায় ছায়ায় আদি অনাদির অনন্ত অন্বেষণ ... দারুণ লাগল।

অরূপ রতন হালদারের কবিতা পড়ে সুপন অথবা ভোম লিখেছেন   বিস্ময় বিম্বিত হয়ে আছে শব্দের কোলে। 

শীলা দাশ এর কবিতা পড়ে সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরী লিখছেন   খুব সুন্দরভাবে সীমান্ত লংঘন হয়েছে। 

নিমাই জানা-র কবিতা পড়ে গৌরীশঙ্কর দে লিখেছেন   প্রতিটি কবিতাই অনবদ্য সৃজন। আপনার কবিতা অসম্ভব সেরিব্রাল। একদম অন্য মাত্রার। সেখানে যখন "চা বাগানের নারীদের এক একটি পোষাকের ভেতর বরফ শীতল তিস্তা নদী লুকিয়ে থাকে" তখন ভাষা হারিয়ে যায়। 

গৌতম কুমার গুপ্তের কবিতা পড়ে তনুগাত্রী পন্ডিত মন্তব্য করেছেন   প্রথম কবিতাটি বাদে বাকি সব কয়টিই উচ্চাঙ্গের । 

নক্ষত্র রাহা সাধন চৌধুরীর কবিতা পড়ে লিখছেন   কবিতাগুলি খুব ভালো অনুভূতি ব্যক্ত করেছে।

দীপক বেরা লিটন শব্দকরের কবিতা পড়ে লিখছেন   'অরণ্যবেলা' কবিতায় পাই, —অরণ্যের টুকরো টুকরো ছবি, প্রকৃতির নির্জন চেনা পট; যা নিঃসঙ্গ জীবনের ভালোবাসা আর দর্শনের ছোঁয়া দিয়ে যায়। কবিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা আমার...।

বিজয় সিংহ-এর কবিতা পড়ে রিমি সেনগুপ্ত লিখছেন  মুগ্ধতা রেখে গেলাম।

লক্ষীকান্ত মন্ডল-এর কবিতা পড়ে কিঙ্কর দাস লিখছেন   তিনটি কবিতাই অনুপম সুন্দর ।

শাশ্বতী পাল লিখেছেন পার্থ প্রতিম গোস্বামীর কবিতা পড়ে   দীর্ঘ বিরতির পর,পূজোর প্রাক্কালে পুনরায় আগমনে ,শুভেচ্ছা অশেষ। দুটো কবিতাই খুব অর্থবহ এবং সুন্দর ! 

সমাপ্তি শাসমল অ-নিরুদ্ধ সুব্রত-র কবিতা পড়ে লিখেছেন   অতি সুন্দর লেখা । অভিনন্দন ।   

বিকাশ চন্দ্র মন্ডল লিখছেন  শুভ মহালয়া । শারদীয়া ১৪২৯ সংখ্যা খুব সুন্দর হয়েছে। পত্রিকার শ্রী বৃদ্ধি কামনা করি ।

স্বপন নাথ সামগ্রিকভাবে পত্রিকা সম্পর্কে লিখছেন    মননের মৌলিক স্বরের স্বরান্তর ঘটিয়ে 'স্বরবর্ণ' নতুন দিশার আগমন ঘটিয়ে চলেছে নিরন্তর। প্রার্থনা করি দেবাশিসদার যোগ্য নেতৃত্বে 'স্বরবর্ণ' স্বীয় কীর্তি স্থাপন করবে।

(আগামী পর্বে)