কবি-লেখকেরাই স্বরবর্ণের মূল চালিকা শক্তি। তাঁদের সৃষ্টিকাজ বুকে ধরে 'স্বরবর্ণে'র পথ চলা। কোনও সন্দেহ নেই,সেই সঙ্গে তার চলার গতিকে ত্বরান্বিত করেছে পাঠকের সুচিন্তিত মতামত। পাঠকের মতামতের আজ প্রথম পর্ব। এই পর্বে থাকছে,কবিতা সংক্রান্ত পাঠকের প্রতিক্রিয়া ----
মহিউদ্দিন আহমেদ জুয়েল মাজহারের কবিতা পড়ে লিখছেন অনন্য শব্দের মেলবন্ধন, অসাধারণ রূপায়ণ, শুভকামনা সতত।
গৌরীশঙ্কর দে-র গুচ্ছ কবিতা পড়ে পঙ্কজ মান্না লিখেছেন আপনার কবিতার ভাব,ভাষা,ভাষাচিত্র, কোনো কোনো ক্ষেত্রে কথার ধারালো অভিমুখ, ধ্বনির বিন্যাস নবতর রুচি সব মিলিয়ে এত স্বতন্ত্র ও মৌলিক যে পাঠকের চেতনায় বেশ নাড়া দেয়। শ্রদ্ধা জানাই আপনাকে।
বৈশালী গাঙ্গুলী উদয় ভানু চক্রবর্তীর কবিতা পড়ে লিখছেন তিন স্তবকে অনন্য অলংকার সমৃদ্ধ "ঝরা পাতার মর্মর", ত্রিশূল হয়ে অনুভূতির আবেশে চরমভাবাপন্ন করে তুলতে সক্ষম হল। আর "তরঙ্গ" অতি আন্তরিকতায় ভরপুর কল্পনার চিত্রনাট্য মনে হল। এমন স্বতন্ত্র লেখার মাধ্যমে পত্রিকার মান বৃদ্ধি পায় বৈকি।
জবা ভট্টাচার্যের কবিতা পড়ে শহিদ মিয়া বাহার লিখছেন সকালহীন রাত কি হয় কখনো? কি অদ্ভুত সুন্দর লেখা। অভিনন্দন অভিনন্দন বন্ধু।
জুয়েল মাজহার লিখছেন দেবদাস রজকের কবিতা পড়ে তুষের মতোই জেগে থাকে সমিধক্লেশ ।
প্রদীপ ঘোষ এর কবিতা পড়ে গৌরীশঙ্কর দে লিখেছেন প্রত্যেকটি কবিতা পড়ে উঠলাম। অত্যন্ত অভিনবত্বের দাবি রাখে কবিতাগুলি। আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নেবেন।
মৌসুমী ব্যানার্জি চন্দ্রাণী গোস্বামীর কবিতা পড়ে লিখছেন দুটি কবিতাই নিজস্বতায় মোড়া। তোমার কবিতা যেন বিকেলের টুকরো অবসর!যেন অত্যন্ত গরমে হঠাৎ আসা আরাম হাওয়া!
বিনয়েন্দ্রনাথ রায় অলক পুষ্পপুত্রের কবিতা পড়ে লিখছেন তীব্র বিদ্রুপের ঝাঁঝ এইসব পংক্তি-মালায় তৃপ্তি দেয়, বর্শা হানে, উপরন্তু কিছুটা জ্বালায়!
তন্ময় রায় লিখছেন পরানসখা ব্রজবাসীর কবিতা পড়ে সুন্দর। মুগ্ধ বিস্ময়ে পড়ে ফেললাম..। কবিতার ছায়ায় ছায়ায় আদি অনাদির অনন্ত অন্বেষণ ... দারুণ লাগল।
অরূপ রতন হালদারের কবিতা পড়ে সুপন অথবা ভোম লিখেছেন বিস্ময় বিম্বিত হয়ে আছে শব্দের কোলে।
শীলা দাশ এর কবিতা পড়ে সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরী লিখছেন খুব সুন্দরভাবে সীমান্ত লংঘন হয়েছে।
নিমাই জানা-র কবিতা পড়ে গৌরীশঙ্কর দে লিখেছেন প্রতিটি কবিতাই অনবদ্য সৃজন। আপনার কবিতা অসম্ভব সেরিব্রাল। একদম অন্য মাত্রার। সেখানে যখন "চা বাগানের নারীদের এক একটি পোষাকের ভেতর বরফ শীতল তিস্তা নদী লুকিয়ে থাকে" তখন ভাষা হারিয়ে যায়।
গৌতম কুমার গুপ্তের কবিতা পড়ে তনুগাত্রী পন্ডিত মন্তব্য করেছেন প্রথম কবিতাটি বাদে বাকি সব কয়টিই উচ্চাঙ্গের ।
নক্ষত্র রাহা সাধন চৌধুরীর কবিতা পড়ে লিখছেন কবিতাগুলি খুব ভালো অনুভূতি ব্যক্ত করেছে।
দীপক বেরা লিটন শব্দকরের কবিতা পড়ে লিখছেন 'অরণ্যবেলা' কবিতায় পাই, —অরণ্যের টুকরো টুকরো ছবি, প্রকৃতির নির্জন চেনা পট; যা নিঃসঙ্গ জীবনের ভালোবাসা আর দর্শনের ছোঁয়া দিয়ে যায়। কবিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা আমার...।
বিজয় সিংহ-এর কবিতা পড়ে রিমি সেনগুপ্ত লিখছেন মুগ্ধতা রেখে গেলাম।
লক্ষীকান্ত মন্ডল-এর কবিতা পড়ে কিঙ্কর দাস লিখছেন তিনটি কবিতাই অনুপম সুন্দর ।
শাশ্বতী পাল লিখেছেন পার্থ প্রতিম গোস্বামীর কবিতা পড়ে দীর্ঘ বিরতির পর,পূজোর প্রাক্কালে পুনরায় আগমনে ,শুভেচ্ছা অশেষ। দুটো কবিতাই খুব অর্থবহ এবং সুন্দর !
সমাপ্তি শাসমল অ-নিরুদ্ধ সুব্রত-র কবিতা পড়ে লিখেছেন অতি সুন্দর লেখা । অভিনন্দন ।
বিকাশ চন্দ্র মন্ডল লিখছেন শুভ মহালয়া । শারদীয়া ১৪২৯ সংখ্যা খুব সুন্দর হয়েছে। পত্রিকার শ্রী বৃদ্ধি কামনা করি ।
স্বপন নাথ সামগ্রিকভাবে পত্রিকা সম্পর্কে লিখছেন মননের মৌলিক স্বরের স্বরান্তর ঘটিয়ে 'স্বরবর্ণ' নতুন দিশার আগমন ঘটিয়ে চলেছে নিরন্তর। প্রার্থনা করি দেবাশিসদার যোগ্য নেতৃত্বে 'স্বরবর্ণ' স্বীয় কীর্তি স্থাপন করবে।
(আগামী পর্বে)