পঞ্চপ্রদীপে মাতৃদর্শন স্বামী মাধবানন্দ (৪)
- অমিয়কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
১)
কবিদের মধ্যে কাউকে কাউকে বলা হয় 'কবির কবি'। তেমনই সাধুমন্ডলীতে কাউকে কাউকে বলা চলে 'সাধুর সাধু'। অন্য সাধুরা তাঁকে কিরকম সন্মান দিচ্ছেন, কিরকম গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁর নাম উক্তি বা জীবনচর্যার উল্লেখ করছেন -এ থেকে বোঝা যায় তাঁরা কত বড়। এইরকম এক সাধুর সাধু ছিলেন -শ্রীশ্রীমায়ের কৃপাধন্য সন্তান, শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ-মিশনের নবম অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী মাধবানন্দজী মহারাজ। ১৯২৯-এ তিনি মঠ-মিশনের সহকারী সম্পাদক হন। ১৯৩৮-এ সাধারণ সম্পাদক। মার্চ ১৯৬২-তে সহকারী অধ্যক্ষ। আগষ্ট ১৯৬২-তে অধ্যক্ষ।
আদর্শ আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব বলতে স্বামীজী বুঝতেন, এমন এক চরিত্র যাতে জ্ঞান, কর্ম, ভক্তি ও যোগ সুন্দরভাবে সমন্বিত। পূজনীয় মাধবানন্দজী এইরকম একটি ব্যক্তিত্ব। শুনেছি, শ্রীশ্রীমায়ের বিখ্যাত উক্তি -'সাধু ভাল, আর বিদ্বান সাধু আরও ভাল। যেন সোনা দিয়ে বাঁধানো হাতির দাঁত।' -উক্তিটি পূজনীয় নির্মল মহারাজকে লক্ষ্য করেই প্রথম বলা হয়েছিল। আরও শুনেছি, একদিন মা কয়েকজনকে বসিয়ে খাওয়াচ্ছিলেন। তরুণ নির্মল মহারাজও ছিলেন পঙক্তিতে। সেইসময় তাঁকে দেখিয়ে মা বলেছিলেন, 'এই ছেলেটি কবি হবে। কবি মানে জান? কবি মানে জ্ঞানী।'
সুপুরুষ, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মাধবানন্দজী নিজে ছিলেন কঠোর পরিশ্রমী। তাঁর মুখে শোনা যেত, 'বিশ্রাম আবার কী? কার্যান্তরই তো বিশ্রাম।' অন্যের কাছ থেকে কাজ আদায়ে ছিলেন কঠোর, যাকে বলে 'hard task-master'. রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের এই কঠোর সম্পাদক পরে অধ্যক্ষ-পদে বৃত হওয়ায় যেন 'মা' হয়ে যান। ভালবাসায় পরিপূর্ণ তখন তিনি। অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি বড় বেশি উদার, বড় বেশি অকৃপণ, দীক্ষাদানের ব্যাপারে একটু বেছে-টেছে দেওয়াই বোধহয় ভাল -এইরকম মৃদু অনুযোগে বলেছিলেন, 'মা যদি বেছে-টেছে কৃপা করতেন তাহলে কি আমি তাঁর কৃপা পেতাম? ওসব বাছবিচারে আমি নেই। মায়ের দেখানো পথেই আমি চলব।' একবার একজন এক সুদীর্ঘ পত্রে তার জীবনের তাবৎ কলঙ্ক-কথা অকপটে বিবৃত করেন। তিনি জানেন যে তিনি কৃপার অযোগ্য। কিন্তু তা জেনেও কৃপা-ভিক্ষা করেছেন তিনি। মাধবানন্দজীর একান্ত সচিব পত্রটির মর্ম কুন্ঠিতভাবে তাঁকে জানিয়ে জানতে চাইলেন ইন্টারভিউয়ের জন্য চিঠি দেবেন কিনা। মাধবানন্দজী সংক্ষিপ্ত উত্তর দিলেন, 'মা তো আমাকে ইন্টারভিউ নিয়ে কৃপা করেননি! তুমি দীক্ষার দিন ঠিক করে আসতে লিখে দাও I '
২)
এই অসাধারণ কৃপাময় সাধুটি তাঁর নিজের আধ্যাত্মিক জীবন মায়ের আদলেই গড়ে তুলেছিলেন, বা বলা যেতে পারে-মা তাঁর এই প্রিয় সন্তানের জীবনটি তাঁর আপন আদলেই গড়ে দিয়েছিলেন। স্বামী মাধবানন্দজী সম্পর্কে এ পর্যন্ত যা বলা হল তার পরিপ্রেক্ষিতে মা সম্পর্কে তাঁর একটি রচনা 'শ্রীমা সারদাদেবী' খুঁটিয়ে পড়লে মা সম্পর্কে অসাধারন আলোকসম্পাত তো হয়ই, সঙ্গে সঙ্গে মায়ের এই ছেলেটিও বোধহয় ক্ষণিকের জন্য হলেও আমাদের উপলব্ধির দিগন্ত কৃপা করে স্পর্শ করে যান। স্বামী মাধবানন্দ লিখেছেন, 'ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণদেবের মহাশক্তি হইয়াও শ্রীশ্রীমা নিজেকে সম্পূর্ণরূপে গোপন রাখিয়াই তাঁহার দিব্যজীবন যাপন করিয়াছিলেন। কিন্তু দেখা যাইতেছে যে, তাঁহার পুণ্যপ্রভাব অলক্ষ্যে দেশ-বিদেশের অসংখ্য নর-নারীর হৃদয় অধিকার করিয়াছে। নতুবা তাঁহার অদর্শনের মাত্র তেত্রিশ চৌত্রিশ বৎসরের ভিতর (১৯৫৪) তাঁহার নামে বিভিন্ন শ্রেণীর লোকের মধ্যে এরূপ উন্মাদনা সৃষ্টি হইত না। ...শ্রীমা সম্বন্ধে শ্রীরামকৃষ্ণ বলিয়াছিলেন, 'ও সারদা -সরস্বতী, জ্ঞান দিতে এসেছে। ...ও কি যে সে! ও আমার শক্তি।' শ্রীমৎ স্বামী বিবেকানন্দও বেলুড় মঠে লিখিত তাঁহার এক পত্রে লিখিয়াছিলেন, '...শক্তি বিনা জগতের উদ্ধার হবে না। ...মা-ঠাকুরানী ভারতে পুনরায় সেই মহাশক্তি জাগাতে এসেছেন, তাঁকে অবলম্বন করে আবার সব গার্গী, মৈত্রেয়ী জগতে জন্মাবে...।' তাঁহারই সুযোগ্য গুরুভ্রাতা স্বামী প্রেমানন্দও এক পত্রে লিখিতেছেন, '...এ কি মহাশক্তি! ...যে বিষ নিজেরা হজম করতে পারছি নে, সব মার নিকট চালান দিচ্ছি। মা সব কোলে তুলে নিচ্ছেন! অনন্ত শক্তি -অপার করুণা। ... সকলকে আশ্রয় দিচ্ছেন, সকলের দ্রব্য খাচ্ছেন, আর সব হজম হয়ে যাচ্ছে। মা, মা! জয় মা।'
'শ্রীমার এইরূপ অবারিত দ্বার ছিল বলিয়াই আমাদের মত অনেকেই তাঁহার নিকট আশ্রয় পাইয়াছে। মনে পড়ে ১৯০৯ খ্রীষ্টাব্দের একটি দিনের কথা। পূজনীয় শশী মহারাজ তখন কলকাতায়, বলরামবাবুর বাড়িতে। আধ্যাত্মিক জীবনের পরম সহায়ক রূপে তিনি অন্য দুই চার কথার পরে বলিলেন, 'আর, মার কাছে থেকে দীক্ষা নিয়ে নাও। তাহলেই সব হবে।' প্রকৃতপক্ষে ইঁহারাই শ্রীশ্রীমায়ের মহিমা যথার্থ বুঝিয়াছিলেন, এবং সেজন্যই অত্যন্ত সম্ভ্রমের সহিত তাঁহার নিকট উপস্থিত হইতেন। ...১৯০৮ সালের শেষভাগে পঠদ্দশায় তিন বন্ধুর সহিত জয়রামবাটীতে শ্রীশ্রীমায়ের প্রথম দর্শনলাভ করি। দুঃখের বিষয় সেই দর্শনের অতি অস্ফুট স্মৃতিই এখন রহিয়াছে। দ্বিতীয়বার জয়রামবাটীতে যাই ১৯১০ সালের গ্রীষ্মের প্রারম্ভে, মঠের ভূতপূর্ব অধ্যক্ষ পূজনীয় বিরজানন্দ স্বামীর সহিত। ...মনে আছে, মা তাঁহার প্রিয় সন্তানকে অতি যত্নের সহিত খাওয়াতে ব্যগ্র ছিলেন, সেই সময় তাঁহার শ্রীমুখ হইতে শুনি যে, ঠাকুরই সব; সাধনভজন সকলের সহজসাধ্য নয়, উহা মাথা ঠাণ্ডা রাখিয়া করিতে হয়; এবং সঙ্ঘের কাজ ঠাকুরেরই সেবা। ... তাঁহাকে কোনকিছু জিজ্ঞাসা করার কথা মনে উঠে নাই। তাঁহার চরণতলে বাস করিতেছি, ইহা ভাবিয়া তৃপ্তি বোধ করিতাম।'
৩)
'কি উদ্বোধনে কি অন্যত্রে, অনেক ছোটখাট ব্যাপারের মধ্য দিয়া তাঁহার সহজ অকৃত্রিম মাতৃস্নেহ ও অহেতুক করুণার নিদর্শন পাইয়া ধন্য হইয়াছি। ইহাতে আমাদের গুণপনা কিছু নাই, ইহা তাঁহারই জগজ্জননীসুলভ মাহাত্ম্য। পরে যখন ভক্তগণ রচিত তাঁহার স্মৃতিকথা পাঠ করি, তখন এক একবার মনে হইয়াছে, মাকে ঐরূপ কিছু জিজ্ঞাসা করিলে হয়ত ভাল হইত। কিন্তু তাঁহারই উক্তি হইতে আমরা ইহা জানিয়া আশ্বস্ত হই যে, তিনি দীক্ষাদানকালে শিষ্যের যাহা কিছু করণীয়, সব বলিয়া দিয়াছেন। সাধারণ গুরু হইতে এইখানেই তাঁহার পার্থক্য। ...সূর্য উঠিলে তাহাকে দেখাইবার জন্য দীপের প্রয়োজন হয় না। অবশ্য লোকে কৃতজ্ঞতা হেতু আরাত্রিক হিসাবে তাঁহার সন্মুখে দীপাদি প্রদর্শন করিয়া থাকে। ... শ্রীরামকৃষ্ণ ও শ্রীসারদাদেবী উভয়েরই জীবনে একথা বিশেষ ভাবে প্রযোজ্য। তাঁহাদিগকে বড় করিয়া দেখাইবার প্রয়োজন হয় না। তাঁহাদের পবিত্রতা, লোভরহিত্য, অনহংকার, দয়া, প্রেম, ধৈর্য, ক্ষমা, ত্যাগ, তপস্যা, ঈশ্বরানুরাগ প্রভৃতি অসংখ্য স্বাভাবিক সদগুণ তাঁহাদের অসাধারণত্ব পদে পদে প্রকাশ করে। ...শ্রীসারদাদেবী সত্যসত্যই শ্রীরামকৃষ্ণগতপ্রাণা ছিলেন, এবং তাঁহারও জীবন আশৈশব কর্মময় ছিল। "কুর্বন্নেবেহ কর্মাণি জিজীবিষেৎ শতং সমাঃ" -এ জগতে কর্ম করিতে করিতেই শতবৎসর বাঁচিতে ইচ্ছা করিবে -উপনিষদের এই উপদেশ যেন শ্রীশ্রীমায়ের জীবনে মূর্তি পরিগ্রহ করিয়াছে। আর দেখিতে পাই যে, তাঁহার ঐ কর্ম অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরার্থেই অনুষ্ঠিত হইয়াছিল। তিনি আজীবন প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে কায়িক পরিশ্রম করিয়া গিয়াছেন। শ্রীরামকৃষ্ণের সাধনকালে তিনি উন্মাদগ্রস্ত বলিয়া জয়রামবাটী অঞ্চলে কত লোকে সারদাদেবীকে গঞ্জনা দিয়াছে, এক সময়ে তাঁহাকে দারুণ অভাবের মধ্য দিয়াও যাইতে হইয়াছে, তথাপি তিনি ঘুণাক্ষরেও উহা কাহারও নিকট প্রকাশ করেন নাই। তাঁহারই যত্নে লালিত ভ্রাতাদের কাহারও নিকট হইতে তিনি কম কষ্ট পান নাই; বিশেষতঃ শেষ জীবনে তাঁহার আজন্ম পিতৃহীন ভ্রাতুষ্পুত্রী রাধু ও তাহার স্বামী-শোকে বিকৃত মস্তিষ্কের জননীর হস্তে তিনি অকারণে অমানুষিক নির্যাতন ভোগ করিয়াছিলেন। কিন্তু এ সকলের মধ্যেও তাঁহার উদারতা ও চিত্তের প্রশান্তি নষ্ট হয় নাই। এই দুঃখময় সংসারে কিভাবে জীবনযাপন করিলে মানুষ সুখী হইতে পারে, তিনি নিজেই দোষরহিত্য জীবনে তাহা দেখাইয়া গিয়াছেন। 'আপনি আচরি ধর্ম জীবেরে শিখায়।' ...জড়বাদপূর্ণ ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলার এক অখ্যাত ক্ষুদ্র পল্লীগ্রামে তাঁহার ন্যায় অদ্ভুত শক্তিশালিনী মহীয়সী নারীর আবির্ভাব বাস্তবিকই জগতের এক অত্যাশ্চর্য ঘটনা। উহা ভারতের এমন কি সমগ্র পৃথিবীর নারীজাতির এক মহাঅভ্যুত্থানেরই সূচনা করে; বিশেষতঃ ভারতীয় নারীগণ শ্রীশ্রীমার জীবনবেদ হইতে শিক্ষা গ্রহণ করিয়া তাহাদের আদর্শ বজায় রাখিয়াও আধুনিক পরিস্থিতির সহিত নিজেদের খাপ খাওয়াইতে পারিবেন। বিদেশীয় নারীগণও তাহাদের মধ্য দিয়া ভারতের যুগযুগান্তের পরীক্ষিত নিবৃত্তি মার্গের পরিচয় পাইবেন। ... শ্রীরামকৃষ্ণের ন্যায় তিনিও স্থূলশরীর পরিত্যাগ করিলেও সূক্ষ্মশরীরে বিদ্যমান রহিয়াছেন, একথা বুঝিতে বিলম্ব হয় না। ...ধর্মজগতের ইতিহাসে ইহার তুলনা মিলে না। শিবশক্তির এই অপূর্ব লীলা-অনুধ্যান করিবার সুযোগ পাইয়া আমরা সকলেই ধন্য হইয়াছি I
৪)
শ্রীশ্রীমায়ের দেবীত্ব সম্পর্কে মাধবানন্দজী প্রতি মুহূর্তে কিরকম সচেতন থাকতেন এবং ব্যবহারিক ও আধ্যাত্মিক সমস্ত বিষয়ে শ্রীশ্রীমায়ের ভাবধারায় কতটা এবং কিভাবে চালিত হতেন তার কয়েকটি দৃষ্টান্ত উল্লেখযোগ্য :
এক। - শ্রীশ্রীমায়ের একটি জীবনীগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। বইটির প্রচ্ছদে মায়ের একটি ছবি এঁকেছেন এক শিল্পী। একজন সাধু দেখে বললেন, 'কী কাণ্ড সব! মায়ের ঠোঁটে খানিক লাল রং লাগিয়ে বসে আছে!' মাধবানন্দজী তৎক্ষণাৎ বললেন, 'তাতে কী? মা দুর্গার ঠোঁটৈও তো লাল রং দেওয়া হয়।
দুই। - একটি লোক আবাল্য মঠে যায়। বয়সে তরুণ। কলেজের ছাত্র। একদিন প্রণাম করে জিজ্ঞাসা করলেন মাধবানন্দজীকে, 'মহারাজ, শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে, তৈলধারাবৎ অবিচ্ছিন্নভাবে ঈশ্বরচিন্তা করতে হবে। কিন্তু তা হবে কেমন করে? অন্য কাজকর্মও তো আছে?'
প্রথমে মাধবানন্দজী কিছু বললেন না। কিছুক্ষণ পরে টেবিলে রাখা একটা কাগজ তুলে নিলেন -একটা ফর্ম। আবেদনকারীর স্বাক্ষরের জায়গাটায় আঙুল ছুঁয়ে বললেন, -এটা কি?
-একটা লাইন, মহারাজ।
-ঠিক। কিন্তু কীরকম লাইন?
-স্ট্রেট লাইন, মহারাজ।
-ভাল করে দেখে বলো।
-ডটেড্ লাইন, মহারাজ।
-ঠিক বলেছ। তা দেখ, ডটেড্ হলেও it has all the effects of a straight line, নয় কি? তাহলেই দেখ, তুমি যদি তোমার জন্য সব কাজকর্মের ফাঁকে ফাঁকে ভগবানের নাম করতে পার, স্মরণ-মনন রাখতে পার, তাহলে ওই তৈলধারাবৎ অবিচ্ছিন্ন ঈশ্বরচিন্তার ফলই হবে।
একটু থেমে, উদাসদৃষ্টিতে তাকিয়ে, স্নেহপূর্ণ স্বরে বললেন, -মা কী বলতেন জান? মা বলতেন, 'বাবা, আমরা তো মেয়েমানুষ। সংসারের কাজ তো ছাড়া যাবেনা। এই জল দিয়ে ভাতের হাঁড়িটি চাপালাম। চাল ফুটতে লাগল। সেই ফাঁকে একটু জপ সেরে নিলাম। আবার ডালের জল চাপালাম। গরম হতে লাগল। আবার একটু জপ করে নিলাম। একটু পরে ডাল ছেড়ে আবার জপ করা গেল। এইরকম আর কি, বাবা...।'
তিন। - তাঁর শেষ রোগশয্যায় মায়ের এই ছেলে মাঝে মাঝে প্রাণভরে উচ্চারণ করতেন -'মা মা'। আর মহাসমাধির দিনটিতে বারবার তাঁর ওষ্ঠে ফুটে উঠেছে এই প্রিয় নাম -'মা মা'। তাঁর শেষ কন্ঠস্বর এই নাম ঘোষণা করেই মায়ের ছেলে মায়ের কোলে ঘুমিয়ে পড়েন।
( সমাপ্ত )