দেবাশিস সাহা
সাংঘাতিক কিছু শব্দের ভারে ঝুঁকে পড়েছে
দু ' হাজার একুশ বছরের বালক পৃথিবী
কিন্তু , কেউ তাকে সোজা হয়ে দাঁড়াতে
সাহায্য করছে না
অথচ কত রকমের পতাকা উড়ছে পৃথিবীতে
কতজন কত রকমের সোজা হয়ে দাঁড়ানোর
কথা বলছেন
কিন্তু , কেউ তাকে সোজা হয়ে দাঁড়াতে
সাহায্য করছে না
সোজা হয়ে দাঁড়ানোর কথা বলে
সকলেই দ্যাখো কী ভীষণ কুঁজো হয়ে হাঁটছে !
কবিতা
দেবাশিস সাহা
১
কবিতা ?
সে তো আমার ঘুমিয়ে পড়া শৈশব
জোড়াতালি দেওয়া মায়ের সিঁথি
ঘামে ভেজা বাবার ছেঁড়া শার্ট
কবিতা ?
সে তো আমার হারিয়ে যাওয়া বোনের বিবর্ণ বুক
একাত্তরে ভেসে যাওয়া ভাইয়ের রক্তাক্ত শব ..
২
দিনকাল ভালো নয়
বুকের ভিতরে ঝড় উঠলে অমন আহলাদে আটখানা হোয়ো না
বরং আগলে রেখো
বুকের বাসন কোসন
অন্ধকারকে শাসন করতে আলোর যুবকেরা আসছে
তিয়েন আন মেন্ স্কোয়ার পেরিয়ে
ওরা ভারতবর্ষে
ঢুকে পড়লো বলে ..
৩
সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে
কত উপরে উঠে যাচ্ছে মানুষ কত উপরে
ইটের পরে ইট গেঁথে গেঁথে
কত উপরে উঠে যাচ্ছে মানুষ কত উপরে
তবু মনুষ্যতা এত কাঁদছে কেনো
প্রিয়তমাকে
বুকের কাছের বালিতে
শুয়ে আছো ,তুমি
এভাবেই শুয়ে থাকো চিরকাল
ওপাশে আঁধার ,আঁধারে
পুড়েছে সমস্ত সকাল I
বুক তোলপাড় করে কখনও
যদি আসে প্রসিদ্ধ রোদ
বলো চুমু খাবো কোন গালে ,
কোন গালে বলো নির্জন হবো I
দাগ
সে দাগ গায়ে লাগে না , গড়িয়ে যায়
তাকে ধরে রাখতে হয়
নীল জলধারায় ভিজিয়ে I
ধুন্ধুমার রঙের প্রলেপ ছাপিয়ে এখন
আগুনের হালকা লাগে গায়ে এসে
আগুনে ভিজে
ভোর ভোর যে ভিখারি বেরিয়েছিল
ভিক্ষার অন্বেষণে
খরতাপে পুড়ে গ্যাছে ঝুলিটি তার
চোখে সূর্যাস্ত
এখন যা আছে ,ওই জীর্ণসার করোটি I
সে দাগ গায়ে লাগে না ,গড়িয়ে যায়
তাকে ধরে রাখতে হয়
নীল জলধারায় ভিজিয়ে I নইলে ----
এমন দাগ দাও
বৈভব মাড়িয়ে যাও রক্তাক্ত পায়ে
ছানা কাটা জলের মতো
নষ্ট হয় অমৃত ..

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন