বুধবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২১

কল্পোত্তম

                                               




 

তরুণ কবি কল্পোতম শিল্পের বিস্ময় । পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রি, কিন্তু তার যে-হাত ইট বালি সিমেন্ট ঘাটে, সেই হাত-ই কথা বলে  ওঠে গল্পে ,কবিতায় ,আঁকায়। একটি উপন্যাস সহ ইতিমধ্যেই তিনি লিখে ফেলেছেন পাঁচটি গ্রন্থ ।


কবি কল্পোত্তমের দুটি কবিতা 


১ 

জমি 








ভয়ঙ্কর শীতযুদ্ধের পর

জমির মালিকানা ফিরিয়ে নেয়

পূর্বের দখলদার। কয়েক বিঘে পাহাড়ি

এক বিঘে ঘাস জমি, দু'দু'টা বিল

ফিরিয়ে নিয়ে বলে, তাকাবে না জমির দিকে।


যে কর্ষণ করতে পারে

ফলাতে পারে ফসল

জমি তো তারই।  


জমি দখলে রেখে জল বহালে

মেঘ হাসবে, হাসবে গ্ৰাম্য বালিকা

হাসবে জমির পাশে পেরিয়ে যাওয়া রাজপথ

রাজপথের ধারে হেঁটে যাওয়া পূর্বাপর পথিক।


জমিও জানে, ফসল ফলাতে গেলে

প্রয়োজন সযত্ন কর্ষণ, প্রয়োজন

সযত্ন সিঞ্চন মাসের পর মাস।



২.

পথেই পথের বাঁক


বেদনার ভার দেওয়ার অক্ষমতা

কোনকালেই ছেড়ে গেল না,

কোনকালেই ছেড়ে গেল না

কারো মুখের গ্ৰাস কেড়ে নেওয়ার অক্ষমতা।


এই বেশ, সমস্ত অক্ষমতার মাঝে

বেঁচে আছি অহেতুক জীবন

অহেতুক পথের বাঁকে ফিরে এসেছি বার বার

অজানা এক বস্তুর খোঁজে।


তুমি কি জানো, বাঁদরের গলায়ও 

মানিয়ে যায় মুক্তোর মালা কখনো কখনো?


আমাদের এই প্রেম প্রেম নয়

চুম্বকীয় বিপরীত মেরুর আকর্ষণের মতো

বারম্বার ঘসকে যাওয়া পরস্পরের কাছে।



কল্পোত্তম (উত্তম মাহাত)-র  বই

কাব্যগ্রন্থ  *  সাতরঙা পাড়  *  বত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়ক

ঝুমুর সঙ্গীতের বই  * রিঝে রঙে 

উপন্যাস  *  পেইন্টেড ট্রেন

গল্পগ্ৰন্থ  *  স্বপ্নসিঁড়ি





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন