প্রবহমান জীবনের সংগ্রামের প্রতিটি বাঁক , দ্বন্দ্ব-সংঘাত মুখর মানুষের জীবনের প্রতিটি ওঠাপড়া, নিসর্গের হাতছানি বিশ্বনাথের কলমে মূর্ত হয়ে ওঠে । যেমন কবিতায়, তেমনই গল্পে- উপন্যাসে।
কবি বিশ্বনাথ পালের দুটি কবিতা
১
পাহাড়ে
না পারার যাবতীয় আক্ষেপ মোছার
সুপ্ত বাসনায় বিহারীনাথ জয় করব ভাবি
সকাল সকাল রোদ্দুরের কড়া চাহনি এড়িয়ে
পাথুরে মাটির বুকে শুকনো পাতা মাড়িয়ে
এগিয়ে যাই অর্ধেক ওঠার পর
বাধ সাধল সহযাত্রিনীর হিল জুতো,
পাহাড়ে ওঠা সিলেবাসে আছে তাকে কেউ বলেনি,
জানলে তিনি ব্যবস্থা নিতেন
অতএব থামতেই হল
আমাকে ফেলে রেখে সবাই এগিয়ে গেছে এতকাল
আমার কি কাউকে ফেলে রাখা মানায়?
২
এক একটা দিন
এক একটা দিন কে যে আমায় মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে
বুঝতে পারি না, সকালে শুধু মোবাইলে শুনি
তারপর সারা দিন সমস্ত কাজের মাঝে
শ্রুত বা অশ্রুত গুনগুন, সুরের অনুরণন টের পাই
যেন আমার একঘেয়ে দিনযাপনের গ্লানিতে
কেউ ছড়াল রামধনু, আমার নিশ্বাসের
সমস্ত বাতাসে ছড়াল হাসনুহানার সুবাস
আমার কর্ণকুহরে বাজে রাখালিয়া বাঁশির সুর
এক একটা দিন আমার দুঃখকেও মধুময় মনে হয়
ব্যর্থতাকে সন্তানের মতো আদরনীয়
অশ্রুকে মনে হয় পরম সুহৃৎ
এক একটা দিন যেন কোনো অনন্ত রহস্যের আঁচল
ছুঁয়ে ফেলি বলে যাপনের আর কোনো মুহূর্ত বিবর্ণ লাগে না
কিন্তু এসবের পিছনে কে যে বেশি দায়ী
দেবব্রত বিশ্বাসের কণ্ঠ নাকি রবি ঠাকুরের কলম
ঠিক বুঝতে পারি না
বিশ্বনাথ পালের বই
কাব্যগ্রন্থ
বিজ্ঞাপনে বলা নেই * যারা দুধের ব্যবসা করি
ব্যথাকে করেছি সামাজিক * সন্ধিপ্রস্তাব
উপন্যাস
জলে লেখা


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন