প্রবহমান জীবনের সংগ্রামের প্রতিটি বাঁক , দ্বন্দ্ব-সংঘাত মুখর মানুষের জীবনের প্রতিটি ওঠাপড়া, নিসর্গের হাতছানি বিশ্বনাথের কলমে মূর্ত হয়ে ওঠে । যেমন কবিতায়, তেমনই গল্পে- উপন্যাসে। এখানে আমরা পড়ব একটি ভিন্ন স্বাদের গল্প, বিশ্বনাথের কলমে।
ডাক
বিশ্বনাথ পাল
‘পোসান্তদা! খবর আছে।’ পিন্টুর মুখে খবরের কথা শুনে চঞ্চল হয়ে উঠল প্রশান্ত।
পিন্টু ততক্ষণে দোকানের ভিতরে ঢুকে আর সকলের কান এড়ানো নিচু গলায় কিছু বলতেই আরও চনমনে প্রশান্ত রাজুকে বলল, ‘তুই দোকানটা সামলা, আমি আসছি।’
বছর পনেরোর রাজু প্রশান্তর দোকানে কাজ করে।
অনেকদিন পর ডাক এল প্রশান্তর। অবশ্য খুব কম লোকই প্রশান্তকে প্রশান্ত বলে ডাকে। বেশির ভাগই বলে পোসান্ত। ঠিক যেমন অনেকে সিনেমার প্রসেনজিতকে বলে পোসেনজিত। ডাক না এলে হাত দুটো নিশপিশ করে। কাজকর্মে ভুল হয়ে যায়। তিনটেকে চারটে করে দিতে গিয়ে তিনটেই দিয়ে ফেলে। দুটো দুধ, একটা চিনিছাড়া লিকার বানিয়ে দেওয়ার সময় তিনটেতেই চিনি দিয়ে দেয়। খরিদ্দার সামান্য বিরক্তি দেখায়। কিন্তু বেশি কিছু বলার সাহস দেখায় না। এ তল্লাটের মানুষ জানে তার মারকুটে মেজাজের কথা। পেশা তার চা বানানো হলেও নেশা মানুষ মারা। একটু ভুল হল, সেই সব মানুষ, যারা ধরা পড়ে। চুরি তো অনেকেই করে, এসডিও অফিসের সাহেবের ড্রাইভার— দূরত্বে জল মিশিয়ে তেল চুরি করে, মাংসের দোকানের কালু— ওজনে কম দেয়। কিন্তু তাদের গায়ে প্রশান্তর বিচারের হাত ওঠে না। শুধু যারা ধরা পড়ে কিংবা সন্দেহের বশে জনরোষের শিকার হয়, প্রশান্ত তাদের উদোম কেলিয়ে সুখ পায়।
দুই
বছর বাইশ-তেইশের একটি রোগা ছেলেকে নির্মমভাবে মারা হচ্ছে। রাস্তার পাশে একটা গাছের সঙ্গে বেঁধে। ছেলেটাকে ঘিরে তৈরি হওয়া মারমুখি বৃত্ত। বৃত্তের ফাঁকে দু-এক জনের উৎসাহী হাতে ধরা মোবাইল ফোন।
ভিডিও হচ্ছে। হয়তো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হবে। প্রতিবাদও দেখা যেতে পারে। শুধু ছেলেটা তখন থাকবে কিনা সন্দেহ। সাইকেলটাকে একপাশে কোনওমতে রেখে ভিড় সাঁতরে একদম ছেলেটার সামনে পৌঁছে মারার কান্ডারী হয়ে গেল প্রশান্ত। এলোপাথাড়ি ঘুষি চালাতে লাগল ছেলেটার মুখে বুকে। কী তার অপরাধ— জানার ফুরসৎ হল না। প্রশান্তর একটা ঘুষিতে ছেলেটার মুখ দিয়ে গলগল করে রক্ত বেরোতে শুরু করল। কিন্তু উত্তেজিত মারমুখি ভিড়ের কোনও ভাবান্তর হল না।
হাত খোলা থাকলে ছেলেটা নিশ্চয়ই হাতজোড় করে প্রাণভিক্ষা করত। ভিড়ের গুঞ্জনে কান পাতলে বোঝা যাচ্ছে চোর সন্দেহে মারা হচ্ছে ছেলেটাকে। একটু আগেও ছেলেটা বার বার বলছিল সে চুরি করেনি, তাকে মিথ্যেই সন্দেহ করা হচ্ছে। সে এসেছিল তার মাসির বাড়িতে। দু’-তিনটে গ্রাম পরেই তাদের বাড়ি। কিন্তু মারের চোটে এখন আর কিছু বলছে না, কথা বলার শক্তিটুকুও যেন আর শরীরে অবশিষ্ট নেই।
ইতিমধ্যে একজন পঞ্চাশ-পঞ্চান্নর মহিলা এসে হাজির। ছেলেটার মা। মারে উন্মত্ত জনতার হাতে পায়ে ধরছে, ‘ও বাবারা, আমার ছেলেকে ছেড়ে দাও। আর মেরো না, ও মরে যাবে। এবার তোমরা ছাড়ান দাও। ওকে হাসপাতালে পাঠাও।’
এই কথা শুনে ভিড়ের মধ্যে থেকে বেরিয়ে এল একজন ষণ্ডামার্কা চেহারার লোক। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য হরেন মণ্ডল। বলল, ‘ছাড়ব? ঠিকাছে ছেড়ে দিচ্ছি। কিন্তু পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে আসো।’
‘ও বাবা, আমি গরিব মানুষ। পঞ্চাশ হাজার টাকা কোথায় পাব? ওকে ছেড়ে দাও। তোমাদের পায়ে ধরি। ও তোমাদের কিছু চুরি করেনি।’
হরেন মণ্ডল বলল, ‘আচ্ছা ঠিকাছে, পঞ্চাশ না পারো, চল্লিশ দাও। ছেড়ে দিচ্ছে তোমার ছেলেকে।’
‘ও বাবা, আমি গরিব বিধবা। লোকের বাড়িতে কাজ করি আর ছেলেটাকে নিয়ে থাকি। চল্লিশ হাজার টাকা এক সঙ্গে চোখেও দেখিনি।’
ইতিমধ্যে কোনও একজন শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের ফোন গিয়েছিল থানায়। ফলে থানার বড়বাবু দু’জন কনস্টেবল নিয়ে হাজির ঘটনাস্থলে। তাঁকে দেখে জনতা মারায় বিরতি দিল। যেন বিজ্ঞাপনের বিরতি। বড়বাবুকে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আবার মার শুরু হবে।
বড়বাবু বললেন, ‘ওকে এভাবে মারা হচ্ছে কেন?’
‘ও চুরি করেছে স্যার।’ হরেন মণ্ডল বলল।
‘চুরি করেছে! ও কার কী চুরি করেছে?’
এক জন বলল, ‘ও রতনদের গোরু চুরি করেছে।’
‘কে দেখেছে ওকে চুরি করতে?’
জনতা নীরব। কেউ চুরি করতে দেখেনি।
বড়বাবু বললেন, ‘রতন কে?’
ভিড়ের মধ্যে থেকে একজন তিরিশ বত্রিশ বছরের স্যান্ডো গেঞ্জি ও লুঙ্গি পরা ছেলে বেরিয়ে এল। তার কথার মর্মার্থ হল, তাদের গোরুটা সকাল থেকেই নিখোঁজ। আর দুপুর বেলায় এই ছেলেটাকে তাদের বাড়ির পাশের মাঠে সন্দেহজনকভাবে ঘুরতে দেখা যায়। তাই ও-ই নির্ঘাত গোরু চুরি করেছে।
বড়বাবু বললেন, ‘বাঃ, আইন তোমরা নিজেদের হাতে তুলে নিলে একজনকে চোর সন্দেহ করে? থানা পুলিশ আছে কী করতে? সরুন, সরুন সবাই! ছেলেটাকে এখুনি হাসপাতালে পাঠাতে হবে।’
ছেলেটা এর মধ্যে নেতিয়ে পড়েছে। গাছের সঙ্গে পিছমোড়া করে বাঁধা বলে শরীরটা দাঁড়িয়ে আছে, না হলে এতক্ষণ পড়ে যেত মাটিতে। মাথাটা ঘাড়ের এক পাশে ঝুলে পড়েছে।
বড়বাবু কনস্টেবল দু’জনের সাহায্যে দড়ির বাঁধন আলগা করে ছেলেটাকে জিপে তুললেন। ছেলেটার মা-ও গাড়িতে উঠল নিজের পরিচয় দিয়ে।
প্রশান্তর মন খারাপ হয়ে গেল। ইস! আরও খানিকক্ষণ মারার আরাম নেওয়া যেত। এখনও হাত নিশপিশ করছে। বড়বাবু এই অসময়ে না এলেই ভাল হোত।
মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ছেলেটাকে মৃত বলে ঘোষণা করলেন। বডি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হল। বড়বাবু পুলিশে চাকরি করলেও শরীরে দয়ামায়া আছে। বাইশ-তেইশের একটা জলজ্যান্ত ছেলেকে পিটিয়ে মেরে ফেলাটা এত সহজে মিটে যাক চাইছিলেন না। তিনি ধারা ৩০২-এ অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করলেন।
ইতিমধ্যে সমাজ মাধ্যমে ছেলেটাকে মারের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ল। অনেক ‘বুড়ো আঙুল’, ‘চোখের জল’-এর পাশাপাশি ‘আহা রে’ ‘কী নৃশংস’ ইত্যাদি মন্তব্যের বান ডাকল। কয়েকজন জানাল তারা ছেলেটিকে চিনত। তাদেরই পাড়ায় থাকত। আই টি আই পড়ছিল।
কলকাতার সব ক’টা বড় কাগজেই একটি যুবকের চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যুর খবর ছাপা হল। পুলিশের হাতেও পৌঁছল মারের ভিডিও। প্রশাসন নড়েচড়ে বসল। ভিডিও দেখে বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হল। প্রশান্তকে এবং আরও দু-এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। হরেন মণ্ডল গা ঢাকা দিল।
তিন
‘ছেলেটাকে যখন মারছিলেন আপনার কী মনে হচ্ছিল?’ এই প্রশ্নের উত্তরে ঐশীকে অবাক করে দিয়ে প্রশান্ত বলল, ‘আমার বেশ ভাল লাগছিল। কাউকে মারতে আমার ভালই লাগে।’ ঐশী চক্রবর্তী একজন নবীন সাংবাদিক। সে গণপিটুনির কারণ অনুসন্ধান করতে চাইছে। এই বিষয়ে একটা ধারাবাহিক প্রতিবেদন সে তাদের কাগজে প্রকাশ করতে চায়। কখনও মোবাইল চোর সন্দেহে, কখনও গোরু চোর সন্দেহে, কখনও ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে অথবা স্রেফ সন্দেহের বশে একের পর এক নিরীহ মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলা তাকে কিছুতেই স্বস্তি দেয় না। অথচ যারা সমাজের রাঘব-বোয়াল, যারা সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা লুট করে পালাচ্ছে, কেউ বিদেশে গিয়ে ফুর্তি করছে, কই তাদের টিকিও তো সাধারণ মানুষ ছুঁতে পারছে না। মানুষের এই নিষ্ঠুরতার কারণ কী? ক্ষমতা প্রদর্শন? প্রশাসনের প্রতি বিশ্বাসহীনতা? প্রাণ বাঁচাতে অসহায়, নিরীহের আর্তনাদ, কান্না কি সে সময় কানে পৌঁছয় না? তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করে সবকিছু? চুরির বদনামটা উপলক্ষ্য? আসল উদ্দেশ্য মারা?
ঐশী এসেছে প্রশান্তর সাক্ষাৎকার নিতে। এমনিতে হয়তো অনুমতি মিলত না, কিন্তু ঐশীর বড় মামা উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তা। সেই সূত্রে থানার বড়বাবুকে বুঝিয়ে রাজি করানো হয়ছে।
প্রশান্ত প্রথমে কথা বলতে রাজি হয়নি। কিন্তু ঐশীকে একঝলক দেখার পরে আর আপত্তি করেনি। হয়তো ভেবেছে হোক না মানুষ মেরে, তাও তো এটা একটা বিখ্যাত হওয়ার সুযোগ।
ঐশীর অবশ্য মনে হয়েছিল প্রশান্ত দোষ স্বীকার করবে না। হয়তো রাজনৈতিক নেতাদের মতো বলবে ওইদিন সে ঘটনাস্থলেই ছিল না। মাসির বাড়ি গিয়েছিল। ঐশী বলল, ‘আপনি জানতেন ছেলেটা কী চুরি করেছিল?’
‘না। তবে সবাই মারছিল যখন দোষী তো বটেই।’
‘আর এটা কখনও মনে হয় না যে আপনি শাস্তি দেওয়ার কে? কেউ অপরাধ করলে তার জন্য দেশের আইন আছে।’
ঐশীর এই কথাগুলো প্রশান্তর পছন্দ হল না, সে কঠিন চোখে তাকাতেই ঐশীর মনে হল এই লোকটার চোখেও এক অদ্ভুৎ নিষ্ঠুরতা খেলা করে। সে আর কথা না বাড়িয়ে অন্য প্রসঙ্গে গেল।
প্রশান্তর মারার ইতিহাসের সপক্ষে স্থানীয় আরও কয়েকজন মানুষের সঙ্গে কথা বলল ঐশী। সবাই বলল তার মারকুটে স্বভাবের কথা। কোথাও কাউকে ধরে যে কোনও কারণেই হোক মারার খবর যদি একবার প্রশান্তর কানে পৌঁছায়, তবে সে সেখানে হাজির হয়ে মারতে শুরু করবে সেই ধৃত হতভাগ্যকে। এক বৃদ্ধ ভদ্রলোক বললেন যে নিশির ডাক যেমন লোকে এড়াতে পারে না, দিগবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ছুটে যায়, কোনও হুঁস থাকে না, প্রশান্তও সেরকম, কাউকে মারার ডাক সে উপেক্ষা করতে পারে। রাজুর অনুপস্থিতিতে দোকান বন্ধ করেও সে কতদিন ছুটে গেছে মারতে। কাউকে মারতে পারলে সে আর কিছুই চায় না। মেরে তার অসীম আনন্দলাভ।
মারে নিহত হতভাগ্য ছেলেটির নাম পলাশ। রতনদের গোরু সে চুরি করেনি। গোরুটাকে পাশের গ্রাম থেকে পাওয়া গিয়েছে। ঐশী লোকজনকে জিজ্ঞেস করে পলাশদের বাড়িও খুঁজে বের করে। ইচ্ছা ছিল পলাশের মায়ের সঙ্গে কথা বলা। কিন্তু মায়ের দেখা পায়নি সে বাড়িতে। একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে সে পাগলের মতো হয়ে কোথায় চলে গেছে কেউ বলতে পারল না।
চার
তিন দিন বন্ধ থাকার পর আজ আবার দোকান খুলেছে রূপালী। সঙ্গে ডেকে নিয়েছে রাজুকেও। না হলে সে একা সামলাতে পারবে না। দোকান বন্ধ থাকায় রাজুও বেকার হয়ে পড়েছিল।
প্রশান্তর দোকানের নিয়মিত খরিদ্দাররা আবার আসতে শুরু করেছে। দোকানে কান পাতলে অনেক রকম কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে।
একজন বলল, ‘চা বানিয়ে লোকে কত-কী হয়ে যাচ্ছে। আর পোসান্ত খুনি হয়ে গেল!’
আর একজন বলল, ‘আরে কাকা, এটাকে তুমি যদি খুন বলো, তবে তো ঠগ বাছতে গা উজার হয়ে যাবে। আমাদের সবাই কম বেশি এই দোষে দুষ্ট। সুযোগ পেলে আমরা কে মারি না বলো তো? আমাদের সবার মধ্যেই একটা করে পোসান্ত আছে।’
একজন বয়স্ক লোক রূপালীকে বলল, ‘তুমি বরং একবার এমএলএ সাহেবের সঙ্গে গিয়ে দেখা করো। তিনি পোসান্তকে হাজতবাস থেকে বাঁচালেও বাঁচাতে পারেন।’
রুপালী কথাটা শুনল। কিন্তু কিছু বলল না। শুধু স্বামীকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য নয়, মায়ের কোল খালি করে নিহত ছেলেটার জন্যও তার মন কেমন করছে।
এমন সময় একটা বাইক এসে থামল দোকানের সামনে। বাইক আরোহীকে রূপালী চেনে। প্রভাষ সাউ। পার্টি করে। এমএলএ সাহেবের ডান হাত। সে রূপালীকে লক্ষ্য করে বেশ উঁচু স্বরেই বলল, ‘তোমাকে এমএলএ সাহেব ডেকেছেন। রবিবার দিন যেয়ো।’
পাঁচ
রবিবার সকালে এমএলএ সাহেবের বাড়ির বসার ঘরে প্রচণ্ড ভিড়। মানুষজন বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে এসেছে। রূপালীও রাজুকে নিয়ে হাজির এখানে। আজ আর তারা দোকান খোলেনি। বেশ খানিক ক্ষণ পরে ঘরটা মোটামুটি ফাঁকা হলে রূপালীর ডাক পড়ল বলার। সে দাঁড়িয়ে সমস্যার কথা বলতেই এমএলএ সাহেব তাকে থামিয়ে বললেন, ‘আমি সব শুনেছি। আর বলতে হবে না।’ দু-এক মুহূর্ত চুপ করে থেকে আবার বললেন, ‘অনেক দিন ধরে রাজনীতি করছি। আমার প্রভাব খাটিয়ে প্রশান্তকে ছাড়াতে পারি। পুলিশ সব কেস তুলে নেবে। কিন্তু কেন করব বল? প্রশান্ত তো আমাদের পার্টির সদস্য নয়। তুই ওর সঙ্গে কথা বল। ও যদি আমাদের পার্টিতে নাম লেখায়, আমাদের হয়ে কাজ করে, তাহলে ওকে ছাড়ানোর চেষ্টা করব। সামনেই ভোট। বিপক্ষকে শায়েস্তা করতে ওর মতো মারকুটে ছেলেরা দলের সম্পদ হবে।’
এই প্রস্তাবে রূপালী ভেবে পায় না কী বলবে।



কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন