আপাত সারল্যের মধ্যে মাধুরী দাশগুপ্তের কবিতা গভীর তাৎপর্য বহন করে। সামাজিক বৈষম্য, বিশেষ করে নারীদের অসম্মান কবিকে ব্যথিত করে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তিনি লিখে আনন্দ পান। 'বাতাসে কার কান্না ' এবং ' স্মৃতির আড়ালে চেনা মুখ ' তার দুটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।
স্বাধীনতা দিবস
লক্ষ্মীকান্তপুর লোকালে রোজ খুব ভোরে
কাজে আসে কামিনী আর বাসন্তী
বাঘাযতীন স্টেশনে পিল পিল করে নামতে থাকে সবাই
কাজের লোক।
তারপর বিকেল গড়াতে না গড়াতেই আবার ফিরতি ট্রেন ধরা
চলতে চলতেই ওদের সুখ-দুঃখের কথা চলে।
ও বাড়ির মাসিমা কাল বলতেছিল----
" স্বাধীনতা দিবসের ছুটি করিস না
ছেলে বৌমা বাড়ি থাকবে। "
বাসন্তী শুধোয় " স্বাধীনতা দিবস কী রে?"
" আরে মাসিমাদের বাড়ির সামনে কেলাফে----
পতাকা উঠায় না? কেমন পত পত করে উড়তি থাকে।
কত লোকজনের ভিড় হয়। লাড্ডু খেতি দেয়!
ওটাই তো " স্বাধীনতা দিবস " কামিনী বলে চলে
ভোরের আকাশে মেঘ সরে আলো ফোটে।
এক ঝাঁক পাখি মুক্ত আকাশে ডানা মেলে উড়ে যায়।

মন ছুয়ে গেল...খুব ভাল লাগলো
উত্তরমুছুনদারুন
উত্তরমুছুন