ব্যাখ্যাতীত এক কবিতা ভাষায় কথা বলেন কবি সমীরণ ঘোষ। কবিতাকে আমরা ছন্দে অলংকারে প্রতীকে ব্যঞ্জনায় বাঁধতে চাই, কিন্তু সে তো একটা প্রয়াস মাত্র। তারপরেও যে অনেক উপলব্ধি অধরাই থেকে যায়। সেই ' অধরা'র কাছে যেন আমাদের পৌঁছে দিতে চায় কবি সমীরণ ঘোষের এইসব পংক্তিবিন্যাস ' মরু ঝরনার নীচে কেউ চুলই আঁচড়াচ্ছে কয়েকশো বছর ' কিংবা ' মাথার পেরেকে ঝুলে/ থাবার রক্ত থেকে এক ফোঁটা শুন্য সরে না ' পড়ি ----
কবি সমীরণ ঘোষ -এর দুটি কবিতা
পেনসিলের শ্রুতিধর
৪৬
হত্যার পৱাত থেকে মাত্র একটু কাঁটা বিড়ালের
যেটুকু প্রাপ্তি। হাওয়ায় সিরিশ ঘষে ক্ষীণমাত্র
রোমন্থন হচ্ছে এই ঝিলে
দিনের বেগুনি কোনো অভিশপ্ত ভাষার প্রদেশ
কলমের হাড়ে সেই সম্ভাবনা টুকে রাখছে
কাঠামোর খড়
গুল্মের অনেক নীচে বসতির সন্ধে হয়তো
আঁশটে পেখম। বেড়াল উঠছে। দুই পায়ে
আজানের সুপ্ত চিরাগ। মৃত্যুর মুকুটে রাত
দরজার মরচে অবশেষ। মাথার পেরেকে ঝুলে
থাবার রক্ত থেকে একফোঁটা শূন্য সরেনা
৪৮
বিশ্বাস নুনের নৌকো। মরুঝরনার নীচে কেউ
চুলই আঁচড়াচ্ছে কয়েকশো বছর
হাতআয়নার দেশে আরব ফুটছে মরা কোনো
উটের গয়নায়
পাঁচশো বর্গফুটে দুজন চর্মকার। বাটালির সাহস
দিচ্ছে চামড়ার লক্ষ বছরে। বীজের উড়ন্ত কোনো
স্পষ্ট গ্রহাণু। হারানো অংকুর মাত্র একবার
ছুঁয়েছিল পাতালরেখায়। একহারা ধ্বনির গর্তে
রাতের পল্টন গুলি ছোড়ে
মাউজার অবিনশ্বর পাপ। যার হাঁসফাঁস কার্তুজ
শুনেছে। আর পাতালসন্ধের তীর
বেড়াল ড্রয়ার টেনে একবর্ণ দেখে আর
ড্রয়ার ঠেলে দেয়
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ কবিতাসংগ্রহ।
চাঁদলাগা চৌষট্টি আশমান। অন্তর্বর্তী রেখা।
কালো পাথরের হারমোনিয়াম। মরচে গোধূলির পাঠ।
মরিচগন্ধের সেতু। হাড়ের দূরবীন । হাত আয়নার ঘুম
প্রকাশিতব্য : পেনসিলের শ্রুতিধর
অনূদিত নাটক
সুইফটনির্মিত প্রাসাদ : গ্রিগরি গোরিন

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন