সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১

দীপ্তিশিখা দাস






 " আমি অসমাপ্তিকা " প্রথম কবিতার বইতেই প্রতিশ্রুতির স্বাক্ষর রেখেছেন দীপ্তিশিখা । স্বপ্ন ভঙ্গতার হাহাকার যেমন আছে তার কবিতায়, তেমনই আছে বেঁচে থাকার দুর্মর বাসনা । সম্প্রতি বি  এড সম্পূর্ণ করে, আপাতত, কবিতা আর জীবন জিজ্ঞাসার মুখোমুখি কবি ।



 কারো কি জানা হলো কে আমি  'সেই '                   


 

গুমোট অসম্ভব চাপা                  

অপ্রকাশিত কিছু উপন্যাস                        

পড়ে পড়ে ধুলো খায় টেবিলে ।

একটুখানি নড়েচড়ে আবার চুপ করে যায় 

সমস্ত অন্ধকার আগলে।

          

 দূরে , যতদুরে পারা যায় ঠেলে সরিয়ে রেখেছি

 জানা চেনা ছবি মুখ । 

অনেকেরই তো স্তব্ধ হয়ে আছে গল্প । 

মুখ ঘুরিয়ে আছে হারিয়ে যাওয়া সম্পর্ক , 

ভেজা ঝড়ো হাওয়ার সাথে তারা কখনো

আসে আবার চলেও যায়। 


এদের ছেড়ে যাব তো যাব কোথায়  ....!


উদ্বিগ্ন দিশেহারা পৃথিবীতে আজ

টলমল করে ওঠে সব...,

বিষাক্ত শরীরে উবলে ওঠে ফেনা যেন অর্ধ ক্ষিপ্ত নদীর বান

তাতে তলিয়ে যাবে আরো একবার মহেঞ্জোদাড়ো। 


তুমি শুধু একগুঁয়ে ধুধু মরুভূমি ...।

কেবলই আলোতে চকচক করে ওঠা ভ্রম । 

সামান্য কালোও সর্বস্র গ্রাস করে তোমাকে। 

কেন এভাবে এতো ধোঁয়া গায়ে নিয়ে চলো সর্বক্ষণ ?

অস্পষ্ট তুমি , তোমার চলার পথে তাইতো 

কাঁদে আবেগি জ্যোৎস্না ...।

তাকে জড়িয়েই কি তোমার যত অভিমান  ?


ঘোর করে আছে বৈশাখী রাত, 

ফোঁসে দিঘি প্রান্তর ।

নীরবতা ছুঁয়ে নেই আর , 

সমগ্র ইতিহাস ফুঁপিয়ে উঠেছে তার ঘুম ভাঙ্গা কান্নায় ।

তাকে ডেকো না গভীর নির্জনে। 


সহস্রাব্দ ধরে আমি তো খুবলে যাচ্ছি মাটির বুক ....

রক্ত মাংসে মাখামাখি হয়ে উড়তে চাইছে সে  , 

ভরা বর্ষায় বিদ্যুতের মতো চমক দেয় আমার ভেতর  , 

কেঁপে উঠি  ...।

মুহূর্তে বিক্ষত হয়েছে আস্ত চাঁদ।। 


ঘর চেয়েই তো বন্য হওয়া , তবে কেন একটা ক্লান্ত দেহ 

অকারণ বয়ে নিয়ে চলা 

অমীমাংসিত কোনো জিজ্ঞাসায়  ...? 


কেউ তো জানতে চাইনি গোপন ঠিকানা ? 

কারো কি জানা হলো কে আমি 'সেই ' ?



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন