এ সময়ের অন্যতম শক্তিশালী তরুণ কবি।' মৃত্যু জড়িয়ে কেঁদে উঠল নদী ' এমন উচ্চারণে তিনি সহজেই পাঠককে মোহাবিষ্ট করেন। সমসাময়িক ঘটনাপ্রবাহে কবির মনে ধিক্কার জাগে ' যে জীবন দায় এড়াতে ব্যস্ত / সে আসলে মৃত্যুর কাছেই দোষী '
কবি সুজন পণ্ডা-র দুটি কবিতা
নদীর ঘাটে গাছের ছায়া
নদীর ঘাটে গাছের ছায়া পড়তেই
কয়েকটি জলজ ঘাস পাতা গা ধুয়ে
প্রনতি হল আলোর কাছে,
কয়েকটি রুপোর মাছ
শৈবালের খোঁজে হারিয়ে গেলো
পাথরের খাঁজে খাঁজে,
অজস্র বালির উপর
অজস্র আয়না জন্ম নিলো চকিতে
নদীর ঘাটে গাছের ছায়া পড়তেই
লুকিয়ে লুকিয়ে একটি মৃত আত্মা
নেমে গেলো নদীর গভীরে
শোক সন্তাপে আরো শীর্ণ হল
নদীচর... মৃত্যু জড়িয়ে কেঁদে উঠলো নদী
আর জলজ ঘাস
আর বালি
আর মাছ
গাছটিও তখনই তার ছায়া সরিয়ে নিল অন্যত্র
দায় ভেসে যায়
এ কোন বিকেল
পশ্চিমে কার উত্তরীয় ওড়ে?
পুণ্যতোয়ার গল্প বলা দেশে
নদীর জলে কিসের ছায়া পড়ে?
মৃত্যু বললে কমে যায় ভার
হত্যা বলাই শ্রেয়
দায়ভার কেউ নিতে চায়নি
তাই নদী নিয়ে গেছে দেহ
আগুন ছুঁলেও তো পারতো
কিম্বা মাটিতে মিশে গেলে
মৃত্যু নিছক সংখ্যা হতে পারেনি,
তাই দেহ ভেসে যায় জলে।
জীবন মৃত্যুর চেয়ে অনেকখানি বড়
দামী অনেক বেশী
যে জীবন দায় এড়াতে ব্যস্ত
সে আসলে মৃত্যুর কাছেই দোষী

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন