দেবাশিস সাহা-র দুটি কবিতা
১
কোনো কোনো যাওয়া
( সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় স্মরণে )
মৃত্যুর সাথে ঝগড়া করে ডাক্তারবাবুরা
হেরে গেলেন।
তিনি নেই তিনি নেই
মাঠে-ঘাটে কেঁদে ফেরে বাতাস।
বুকের যত রূপকথা ছলছল চোখে উঠে দাঁড়ায়
চোখ মোছে ধুলো-বালি পিচ রাস্তা ট্রাম-বাস
অলি গলি।
কোনো কোনো যাওয়া চোখে জল আনে
এতো
লজ্জায় মুখ ঢাকে নদী।
কোনো কোনো যাওয়া বুকের ভেতরটা নিঃস্ব
করে দিয়ে যায়....
২
প্রলাপলিখন
ঘরময় কী ছন্দে বেজে ওঠো তুমি
যত দীর্ঘ করি দু'বাহু
জড়াতে পারি না কিছুতে
বলতে এসেছিলাম
মেঘ ছুটি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছে
বৃষ্টির ভারি মন খারাপ
চোখে ফুটছে তীব্র পলাশ
পুরুলিয়ার মাটি যেন পশ্চিমাকাশ
বলা হয়নি তোমাকে
আপাতত ফুল লিখছি পাখি লিখছি
ফুটো জামা ছেঁড়া জিনস বিরল কেশে
কিছু কিছু মৃত্যুও লিখছি ---
হাবিজাবি প্রলাপ লিখন
কিন্তু যাই বল
তুমিই আমার না-নেভা আনন্দের ঠিকানা
চোখ বুজলে এখনও দেখি
তারাভর্তি একটা জাহাজ উড়ছে তোমার ঠোঁটে
মাস্তুলে বাঁধা
আমারই স্যান্ডো গেঞ্জি নীল শার্ট
লোটাকম্বল গুটিয়ে
পা রাখব
শেষবার...
দেবাশিস সাহা
কবিতার বই
শব্দ আমার অগ্নিলতা
মাছরাঙা ও অলীক ধুতরো
অন্তহীনা কী নাম তোমার
স্মৃতিকথা
দু 'এক কণা শৈশব
উপন্যাস
ধুলোর সিংহাসন





'মাছরাঙা ও অলীক ধুতরো'র প্রচ্ছদটি দারুণ লাগলো দাদা।
উত্তরমুছুনলেখাদুটি ভালো লাগলো। ভালো থাকুন
ধন্যবাদ ধৃতিরূপা। প্রচ্ছদটা করেছিলেন প্রয়াত কবি পবিত্র মুখোপাধ্যায়।
উত্তরমুছুন