সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১

গৌরীশঙ্কর দে






' দুঃখের কাছে করতল পেতে রয়েছি ঠায় / হৃদমাস্তুলে মৃত্যুর মুখ / পাওনা চায়,/ কাকে যে কী দেবো, ' কবি  গৌরীশঙ্কর দে-এর এমন অন্তস্পর্শী উচ্চারণ পাঠককে মুগ্ধ না করে পারে না। ছন্দ কুশলী এই কবির কাছে বাংলা কবিতার প্রত্যাশা অনেক।







কবি গৌরীশঙ্কর দে-এর দুটি কবিতা 


 
 মায়াবন্দর


তরঙ্গ ভাঙে আকাশে চাঁদের লোডশেডিং
হৃদয়ে জাহাজ নোঙর গেঁড়েছে 
অনেক দিন,
অনেক দিনের গল্প শোনাবে নিশীথে আজ
শৈশব স্মৃতি - স্বপ্নের দেহে ডাকের সাজ,
হাওয়া বয় দূরে অথৈ বজরা প্রহরাধীন।
দুঃখের কাছে করতল পেতে রয়েছি ঠায়
হৃদমাস্তুলে মৃত্যুর মুখ
পাওনা চায়,
কাকে যে কী দেবো,
কোত্থেকে পাবো বিপ্রতীপ, একটি জাহাজ দূর থেকে দেখা 
দূরের দ্বীপ-----
দূরে যেতে যেতে কাছে চলে আসা দিনানুদিন।





 কবিতার মৃত্যু




আমি কী তেমন ঠিক যেমনটি লিখি? 
ততখানি অন্ধকার ততটুকু আলো!
যতটা বোঝাতে চাই ততটা কী শিখি?
এসব প্রশ্নের মধ্যে কলম দাঁড়ালো।

সিগ্রেট ধরিয়ে ধীরে এল বারান্দায়,
রাতের আকাশ -ভরা উদাসীন চাঁদ!
কিছুক্ষণ পরে এসে ফের বিছানায়,
কিছুটা ঘনিষ্ঠ হতে না হতেই খাদ...

বরাবর নেমে এলো অন্ত্যমিলে ফাঁদ
পেতে শোয়া শাদা পৃষ্ঠা চুম্বনপ্রমাদ 
ভেঙে ঠিক সে সময় বিষণ্ন জঘন, 
মেলে সেই বরনারী, যে তার সুজন 
মাঝিকে সরিয়ে দূরে, খুলে দিয়ে স্তন
বলে দিলো বকলমে, " ঘুমোবো এখন। "



গৌরীশঙ্কর দে-র কবিতার বই 







৩টি মন্তব্য:

  1. আহা মায়াবন্দর...কাকে যে কী দেবো...
    ভালো থাকুন দাদা

    উত্তরমুছুন
  2. ভালো লাগলো খুব। যথেষ্ট সসমৃদ্ধ ব্লগস্পট

    উত্তরমুছুন
  3. দুটো কবিতাই মন মুগ্ধ করে দেওয়ার মতো। কি যে ভালো লাগলো বলে বোঝাতে পারবো না।

    উত্তরমুছুন