রহস্যময় প্রাণী
প্রভাত ভট্টাচার্য
পর্ব-২
একটু তৈরি হয়ে নিয়ে ঘোড়সওয়ার আবার রওনা দিল। ঘোড়াটাও বিশ্রাম পেয়ে এখন বেশ তরতাজা। খাবারদাবার সঙ্গেই ছিল। দুজনেই খেয়ে নিয়েছে। এবারে চলার পালা।
রোদ বাড়ছে। ঘোড়া চলছেই। অবশেষে তারা এসে থামল এক অরণ্যের সীমানায়। সেখানে রয়েছে একটা কাঠের বাড়ি। ছোট্ট দোতলা বাড়ি । অশ্বারোহী অবতরণ করল সেখানে । তারপর ঘোড়াটার পিঠে আলতো করে চাপড় মারল। সে আশেপাশে ঘুরে ঘাস খেতে লাগল। তারপর দরজায় করাঘাত করল আগন্তুক।
খানিক অপেক্ষার পর দরজা খুলে গেল। একজন স্বাগত জানাল আগন্তুককে।
ভেতরে আসুন।
চেয়ারে বসল আগন্তুক।
একটু কফি করে নিয়ে আসি।
হ্যাঁ , তাহলে মন্দ হয় না।
ঘরে আসবাবপত্রের বিশেষ বাহুল্য নেই। চেয়ার টেবিল আর একটা ছোট খাট।
দু হাতে কফির কাপ নিয়ে প্রবেশ করল সেই লোকটি।
তারপর দুজনে কফি পান করতে করতে কথা বলতে লাগল।
এই জঙ্গলের ধারে থাকতে ভালো লাগে?
হ্যাঁ , আমি নির্জনতা ভালোবাসি। এখান ছেড়ে কোথাও গিয়ে বেশিক্ষণ থাকতে পারি না।
আমিও নির্জনতা ভালোবাসি, তবে এতটা নয়। যাক, এবারে কাজের কথায় আসা যাক। আমার নাম সুরজিত।
আমার নাম বিজন।
বলতে বলতেই ঘোড়াটার আর্তনাদ শোনা গেল।
দুজনে বেরিয়ে এল। সুরজিতের হাতে বন্দুক।
একটা বিশাল অবয়ব জঙ্গলের মধ্যে মিলিয়ে গেল। খানিকটা মানুষের মত দেখতে, কিন্ত কোন মানুষই অত বড় হতে পারে না।
ঘোড়াটা বেশ ভয় পেয়েছে।
বিস্ময়ের ঘোর কাটিয়ে বিজন বলল, এটা কি ?
বুঝতে পারছি না। কদিন ধরেই একে দেখা যাচ্ছে মাঝে মাঝে ।
ভয়ঙ্কর কিছু বলেই তো মনে হচ্ছে।
হতে পারে । চলুন, ভেতরে যাওয়া যাক।
ঘোড়াটার পিঠ চাপড়ে দিয়ে বিজন আবার এসে বসল ভেতরে ।
************************************"**************************************************************






কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন