বিকাশ চন্দ * দু’টি কবিতা
গাছে ও শরীরে জাগে কল্পতরু
গাছের শরীরে কখন মৃত্যু আসে বাকলে মৃত্যুর দাগ
গাছের পাতা বলে একটু বাতাস দিও একটু তৃষ্ণা
অনমনীয় শীত জানে মুকুল অঞ্জলি উদাস সংকীর্তনে
অপেক্ষায় বসন্ত আর একটু জীবন দিও আর একটু জীবন
মেঘের আড়ালে ছিল প্রত্যাশা ভাসে আকাশের নীলে
স্নেহ কাঙাল জননী জীবন বেঁধে রাখে ফসলে আঁচলে
কতবার সমুদ্র বাতাস এসেছিল ভাসিয়ে দেবে সব
অথচ অফুরন্ত জীবন নোনা চাতরে ভূমিষ্ঠ অঙ্কুরে আবরণে
বিশ্বাসে মিলেছে মানুষ আর গাছের নিবিড় আচরণ
চেনা শরীর জড়িয়ে হিরণ্য বাকল জাগে অনুভূমি
সংযত সময়ে সংসারী চাওয়া পাওয়ায় মুক্তির স্বর
চেনা পাখিদের সংসারে আমদেরও বহুধা আত্মার ঘর
কুয়াশার ভেতর শূন্য বুকে ঝিমুচ্ছে প্রতি জীবনের সকাল
গৃহস্থ জীবনের রাত ও জানে অধোমুখী আশিস চুম্বন
গাছের মতো শরীরের অভ্যন্তরে সহচর আত্মা আর কঙ্কাল
সুখ দুঃখ গার্হস্থ জীবনে গাছে ও শরীরে জাগে কল্পতরু
প্রতিশ্রুতি
দিব্যি চন্দ্রবিন্দু ছুঁয়ে আজীবন বেঁধে রাখি আয়ুর সম্পদ
স্থির দৃশ্যে ভাসমান সাজানো চালচিত্র
উজ্জ্বল সময়ে যে পথে সংসার হাঁটে
সেখানে ভালোবাস চিহ্নিত করে গেল মাতাল বিভাব
বেনামী ঈশ্বর ভুলে গেছে বিদুরের ক্ষুদ কুঁড়ো
জয়ের উৎসবে মশগুল শাসক আর বেঢপ চাঁড়াল
বার্ধক্য বোঝেনা আদম অভ্যেসের শরীরী চেতনা
বিষ রাতের রঙের নেশায় নাচে নীল জোনাকি
জানিনা সকল জন্মের ভেতর বাঁচে আত্মার সদিচ্ছা
বনের বশ্যতা মুছে ফেলে আত্মীয় বলয় রেখা
শেষ দেখার পরেও সাজায় ভুখণ্ড আর কল্পিত আকাশ
বন্দর ছুঁয়ে ডোবা জাহাজের শূন্যতায় মনের ভাঙন
একলা বাতিঘর নিয়মে ঘোরায় আলোর দোলন
সকল সত্য কেঁপে উঠলে নিভে যাবে আকাশ প্রদীপ
লজ্জাহীন সুজন সভ্যতার মণ্ডপ জুড়ে
নিরন্ধ্র অন্ধকারে ডোবে আলোর প্রতিশ্রুতি



'দিব্যি চন্দ্রবিন্দু ছুঁয়ে আজীবন বেঁধে রাখি আয়ুর সম্পদ'...কবি বিকাশ চন্দ তার সচেতন উপলব্ধিকে সম্পদসম মমত্বে গেঁথে রাখলেন কবিতার অবয়বে।
উত্তরমুছুন