রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

নিমাই জানা





নিমাই জানা * তিনটি কবিতা


জি স্পট ওয়ান ও হলুদ ওয়াইনের কবিতা

ডেল্টা পারগেটিভ , ক্যালসিড্রল , ফিনাইলফেরিন স্ত্রীলিঙ্গ উটের রক্ত , সাইন্যাপসের নিওমাইসেটিন চর্মরোগের বীজ , কুমিরের অশ্লীল তিব্বতীয় শহরতলির তৈরি সিলিকন পলিথিনের যৌনাঙ্গ , আর কালো পার্পেল কর্কট রোগের অস্ত্রাগার , মুণ্ডবিহীন মন্দিরের অবৈধ কুঠুরির থেকে বেরিয়ে তিনটি হাড় জিরজিরে কুকুরী তার ঝুলে যাওয়া স্তনচক্রের বোঁটা গুলো নিয়ে পৃথিবীর ক্ষয়প্রাপ্ত অট্টহাসি করতে থাকা কালো নীল চোখের অ্যাকোয়ারিয়ামের মাছের মতো নিস্তব্ধ নক্ষত্রের শীতল পিরামিডের কারখানার আলট্রা ভায়োলেট সঙ্গমনিরোধক অ্যালার্জিটিক দরজাটি খুনিদের দুগ্ধবতী করে তুলছে এক একটি রহস্য উৎপাদনের নীল অনির্ণায়ক সোমকান্তি মহাপর্বতের নিকুঞ্জ অস্ত্রাগার ভর্তি গিরিখাতের ভেতর , সব কনটাজিয়াস মার্কা সেরিব্রাল রিং ওয়ার্মের লাল ক্ষতওয়ালা কেঁচো গুলো তীরন্দাজের পোশাক পরে কুম্ভীপাক নরকের অশৌচ স্নানাগারে স্নান করে বারবার ব্রহ্মমুহূর্তের তীব্র জ্ঞান লাভের হঠ নৃত্যের শীর্ষাসন অবধি ,অভিশাপ দিচ্ছি মুনিকে,

সব কোশল সম্রাজ্ঞীদের ছাই ও বারুদের মতো খাওয়াই দোল খাচ্ছে অতৃপ্ত সিলিকন গ্রাফ্টেড হাইব্রিডাইজড ব্রেস্টের পোস্ট মেনোপোজ যৌগিক ধাতুর রস , আমি সব রাত্রিকালেই একাকী নরম স্থাপত্য নখ ডুবিয়ে পৃথিবীর অর্গাজমে বাধ্য করি বারবার আর মুখগহ্বর ও বায়বীয় ধর্ষণ শব্দের ঘর্ঘরা নদীতে ছুঁড়ে ফেলে দেই আমার জীবিত মৃত আত্মা জীবাত্মা পরমাত্মা অশ্লীল আত্মা ঊর্ধ্ব আত্মা নিম্নাঙ্গ আত্মা মুগ্ধ আত্মার সমগ্র অবশেষে , পৃথিবীতে ভুল করেই জন্ম হয় সবার, সবাইকে জন্মদ্বার দিয়ে ব্লেডের শিরদাঁড়া ভেঙে বের করতে হয় একটা নরম মাংসের টুকরো আমি যাকে ভীষণ বজ্রপাতের বেশ্যা বলি একটা ঈশ্বরের মতো পৃথিবীর কাপালিকেরা তৃতীয়বার মৃৎশিল্পীর পদার্থ বিজ্ঞান আবিষ্কার করে আর কাঁচি দিয়ে কেটে দেয় পাকস্থলীর ক্যান্সারেরাস ম্যামেলিয়ান গ্রন্থি ,

মাংসপেশির তরল গুণাঙ্ক গুলোকে চওড়া গাছের পেটে মিলে রেখে ফলিডল মিশিয়ে ইমম্যাচিউর বমি করছে ওয়াশরুমের ননস্টেরলাইজড সাবান ফেনার মতো , অসুস্থ পৃথিবীর দিকে মুখ করে

পৃথিবীর ভিতরে অসংখ্য কালো রক্তের চামড়া উঠায় আর ইস্পাতের জিস্পট ওয়ালা একটি ভগাঙ্কুরে তৃতীয় সমুদ্রে নৌকা চালায়


উট মার্কা জন্মদ্বার ও জন্মলিপির কবিতা

গ্রিশোভিন ২০০ এস পি নামক অসংখ্য মাংসের দোকানে তুলতুলে ভায়াগ্রা ইনজেক্ট নিকোটিনের ঔষধ তৈরি হয় বলে আমি ভয়ার্ত রাক্ষসিনীর আততায়ী বিহীন সব সরলরেখায় বাৎসায়ন অন্ধকারের স্ফুটন রোগ পুঁতে ফেলি আমার অতি সাংকেতিক শৌচালয়ের মুদ্রা দাগ , আমার সমগ্র পোশাকে চকচক বীজের ক্ষরণ লেগে থাকে , আমি চমকে উঠি বিছানা থেকে লাফিয়ে নামি পৃথিবীর মহাকর্ষে অশ্লীল ফিল্মে আমি দুই হাত দিয়ে খুঁজতে থাকি বাঘের আধসেদ্ধ চামড়া , আমি মৃত মানুষের স্বপ্ন দেখি যারা উলঙ্গ হয়ে আমার ঝলসানো মাংস মাপে , আঁশটে বিড়ালের মতো কামড়ে দেয় কুকুরের মতো কামড়ে দেয় হিংস্র বাঘের মতো কামড়ে দেয় অথচ তাদের নরম মাংসাশী ঠোঁটে ঈশ্বরের ভয় ও আরাবল্লীর কার্যলিপি , ট এর মাথায় ঝুলতে থাকে আমার শ্বাসবন্ধের গলা ,

হাইড্রোফিনাইলের মতো অক্টোপাস রক্তের ভেতরের অনিরাপদ চামড়ার টুকরো গুলোকে নিয়ে আমি অযাচিত জরায়ুজ চুম্বকীয় অশ্লীল পর্ণমোচী অ্যাকুইট পান্ডুরোগ বিহীন ক্ষুদ্রান্ত্রওয়ালা জন্মদ্বারের মতো পরিত্যক্ত হাইড্রেন থেকে উঠে আসছি রোজ ব্রহ্মকেন্দ্রিক ধূসর রাত্রিবেলায় , অযৌন জন্মের উত্তুঙ্গ মুহূর্তে যে নিকৃষ্ট তরল পড়ে যায় তাকে থুতুর উচ্ছিষ্ট ভেবে ডিমের কৃষ্ণাঙ্গ পোচ বানিয়ে খাই ,

আমোদিত কোন আশ্রমের দিক থেকে আমি মৃত স্যালাইনের চারা গাছ লাগিয়ে আসি আর জাহান্নামের বেঞ্জোয়েট অতি ধর্ষিত ঘোড়াগুলোকে নীরব কবর থেকে তুলে আনি ধাতব শব্দের দীক্ষা দিয়ে , কবরের ভেতর ঢুকে যাই হাই তুলি  ,কবরের মাটি কামড়ে খাই ,কবরের পোকাগুলোকে ওয়ার্ডরোব আয়নার ভেতরে ঢুকিয়ে দিই ভাঁজ করে  , ইস্পাতের জেলি খাওয়াই সোনার চামচ দিয়ে , পরমান্নবিহীন পিতামহীকে ডেকে আনি সবুজ কাঁকড়া বিছার চিৎ চার ফাঁক করে চিরে দেওয়া যৌনাঙ্গ থেকে কালো ভীষ্মের রস বের করি মার্তণ্ডের দুগ্ধকুণ্ড গুলোকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে ভ্যাট সিক্সটিন মদ কারখানার ভিতরে কালো আঙ্গুরের পৌনঃপুনিক বিহীন পুরুষ জন্ম ছিদ্রের অতলান্তিক নন টেম্পারাইজড ভেপারাইজড কিউমুলেটিক পোতাশ্রয় থেকে তুলে আনি তুলতুলে শরীরের কসমিক কঙ্কাল , 


মিথ্যা জীবাশ্ম ও অ্যাবস্ট্রাক্ট অপরা গণিতের পাণ্ডুরোগ

থ্রি টেসলা ফোর্থ জেনারেটেড অন্তঃসত্ত্বা ওয়ালা খুনিদের তলপেটের নীলাভূম আচ্ছাদন গুলো কালো কার্পেটের থেকেও আরো মাত্রাতিরিক্ত জরির মতো সুন্দর অসাধারণ বজ্র উৎপাদক কুন্ডলী থেকে বেরিয়ে অস্থির মাকে সেলাই করে দিচ্ছে। পোস্ট অপারেটিভেশন লাইগেশন দাগ একটি কোবরার বিষ মাখানো লিপস্টিকের মতো , অন্ধকারেই আমি নক্ষত্রের থেকে আরো জটিল অসৌজন্যমূলক অন্ধকারের ভেতরে ঢুকে যাই অর্ধ উলঙ্গ হয়ে স্নান করি , দিতি , অদিতি কাশ্যপ কূর্মাশন অন্ধকারে একাকী ভবিষ্যৎ পুরাণ পড়ি , মৃত গাছে ঝুলিয়ে দেই ঘন অরণ্যের অ্যাবস্ট্রাক্ট গণিতের মেটাফেজ মামেকং , স্মরণম একটি মিথ্যা আশ্রয় ,

এখানে মৃত দ্রোণাচার্যও নীল রঙের কফের স্যাম্পেল নিয়ে দৌড়াতে থাকে আর কালো রঙের কুকুরের সাথে অবাধ্য নীল মহাজাগতিক যুদ্ধক্ষেত্রে নেমে নীলাভ অপ্সরাদের ধরে খেতে থাকে প্রাগৈতিহাসিক দণ্ডকারণ্যের মুহূর্তে , এখানে সবুজ নীল ব্লেড গুলোই কালো দাঁত বের করে অস্ত্রহীন হত্যা করতে দৌড়ে বেড়ায় এক একটা পলি ইথিলিন মার্কা টেট্রা ফ্লোরাইডের কাচের উপর , একটি গর্ভাশয়ে আঠা লাগানো চুম্বকীয় প্রবৃত্তি থাকে বলেই সারারাত আমি যৌনাঙ্গ নিয়ে নাচি যৌনাঙ্গ খুলে নাচি যৌনাঙ্গের উপরে ভর করে কালো চক্রের মতো ছড়িয়ে ফেলি আমার নিজের তরল ও পচে যাওয়া মাংসের অর্ধভুক্ষ আপেল বাগানের জীবাশ্মদের , ঈশ্বরকে কোনদিন দোষ দিতে পারিনি বলে আমার সব বারুদ কারখানায় আগুন লেগে গেছে বিস্ফারিত মাথা আর অষ্টম প্রহরের শৌচালয়টি নিজে নিজেই বীভৎস শব্দ তুলে ডাকে আমাকে, আমি সেই মাঝ রাতের বাদ্যযন্ত্রের বাদকটিকে এখনো খুঁজে পাইনি বলে সব নষ্ট অযোগবাহের তীরন্দাজ গুলো নৌকা নিয়ে পৃথিবীর ভ্রমণের ৩৬০ ডিগ্রী অভ্যুত্থানকালে খাদ্য ধর্মের তৃতীয় শাঁখ বাজিয়ে রথচক্রের নিচে মহা শরীরের আঠারোটা খন্ড মন্থন করে তুলি এক একটা ক্ষত্রিয়ের অপরা ইঙ্গিত , পৃথিবীর সব উলঙ্গ মৃতদেহকে সরাইখানায় ভেজে ভেজে একাই রোস্টেড বানিয়ে গোল্ডেন কালারের চকলেট ফ্লেভারে অতিরিক্ত ঋষি ভেবে কৃষ্ণ গহ্বরে ঢুকিয়ে রেখেছি আমি তাদের অশ্লীল রূপান্তরিত করব তৃষ্ণার্ত মহা স্যাপিয়েন্স যুগে ,

৩ লিটার তরলের ভেতর দিয়ে আমার অন্তর্জলী দেখবে তিনটি স্যালভাইন ব্রহ্মশাস্ত্রবিদ , রাক্ষসটি রজনীগন্ধার হাড় কিনছে ,












*********************************************************************************************




নিমাই জানা

 এ সময়ের অন্যতম শক্তিশালী তরুণ কবি । রুইনান সবং পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে লিখছেন প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ :  ছায়ার মূলরোম ও  নির্জন পুরুষ অসুখ * জিরো কম্পাঙ্কের পেন্ডুলাম * ঈশ্বর ও ফারেনহাইট জ্বরের ঘোড়া * ইছামতি ঈশ্বরী ও লাল আগুনের ডিম্বকোষ * রজঃস্বলা বৃষ্টির গুণিতক সংখ্যাগুলো ব্যাবিলনের চাঁদ।  



1 টি মন্তব্য:

  1. নিমাইদার লেখা এত বহুস্তরীয় চিন্তার কোলাজে আবদ্ধ থাকে, তার পাঠককে বিস্ময়াভিভূত করে। পাঠককে দীক্ষিত হতে হয়।

    উত্তরমুছুন