ইন্দ্রাণী সেনগুপ্ত * দু’টি কবিতা
বিবাহ আমার শেষ পরিণতি হলে
আমি কখনোই কোনো
দীর্ঘশ্বাসের কাছে ফিরি নি
একা হাওয়ার সঙ্গে নিজেকে তরঙ্গায়িত
করতে করতে
আনন্দের সম্রাজ্ঞী হয়ে রাস্তা পার হয়েছি
আমার তিরিশ বছর আগের আমিটাকে
যন্ত্রণার স্রোতে নানা ছাঁচে ফেলতে ফেলতে
কখন যে আমি মঞ্চে উঠে দাঁড়িয়ে
শিল্পীর ভূমিকা নিলাম
আমার মৃদঙ্গ বেজে চলেছে
শুধুই বেজে চলেছে
আর সেই আনন্দে
কোনো নদী দীর্ঘতম হয়েছে.....
আমি কোনও প্রেক্ষাপটে জিজ্ঞাসা হয়ে উঠি নি তো
কারণ যন্ত্রণার দিনগুলোতেও
আমি তুলি আর জলরঙে আনন্দ এঁকেছি
ভোর রাতের বাসি তারারা জেনেছিল
বিবাহ আমার শেষ পরিণতি হলে
এতো সমুচ্চ নাদে
নিজেকে নির্মাণ করা যেত না......
নিভে যাবে সব কবিতা
ভালবাসলে নাকি চোখের পাতা
ঘন হয়ে আসে
যেভাবে একটি ভ্রমর তার
ঘন হয়ে আসা কালো রঙের ভিতর
হাজার রঙের স্পর্শসুখ খোঁজে
হেমন্তের রাতেও প্রজাপতি ওড়ে
সকালের রোদ্দুর ঝলমল আখরা
ওদের জন্য, শুধু ওদের জন্য
দিনের প্রথম ভাগে
যন্ত্রণাকে লঘু করবে তাই
পৃথিবী জেনে গেছে
আমাদের হাতে হাত রাখার স্পর্শসুখ
জন্ম দিয়ে যাবে
অসংখ্য প্রেমিক হৃদয়
আমাদের আর দেখা হবে না.........
দেখা হলেই তো
নিভে যাবে সব কবিতা
এত বড় মঞ্চ, দর্শক, উপন্যাসের সমাপ্তি
দেখা হলে যদি
পরস্পরের প্রতি এত সম্ভ্রম উড়ে গিয়ে
অহংকার নামে
************************************************************************************************







এক চির জাগ্রত অপ্রাপ্তিকে কবিতায় আঁকার প্রয়াস তন্ময় হয়ে আছে। লেখাগুলি বেশ সাবলীল।
উত্তরমুছুন