রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

বিশ্বজিৎ বাউনা





বিশ্বজিৎ বাউনা * দু’টি কবিতা 


প্রহর


কাগজে মাটি ফেটে চৌচির।

নাভি পর্যন্ত দাহ, শৃগালের সমীহ চোখ।


এমন এক পৃথিবীতে অপেক্ষার কোনো তাৎপর্য নেই


খেজুর পাতার ফাঁকে চেরা ছায়া খুঁটে নিতে

আর আসে না সবুর বিশ্বাসী কোনো প্রান্তর।


পাখিরা কোলাজে কোলাজে উড়ন্ত


তবু লতানো শীতের উরুতে

ঝরাপাতা উড়ে এসে ঢেকে দিতে পারে না


সব সব ফকিরী প্রহর।


জড়িত অ্যাসাইলামে নক্ষত্র হত্যায় মেতেছে

দিকে দিকে চতুরেরা প্রখর। 













বিপরীতে হাঁস 

  

তুমি জলের নাভিতে ছায়া ফেলে রেখে ধারালো আড়ি,

আর আমি মুঠি খুলে দেখি সব মাছরাঙা বিনয়---


তোমার অস্বীকৃত উঠোনে আজো আমি 

নিশাচর বনাম অক্ষরের ক্রীতদাস।


হুবহু উন্মাদের ছাই নিয়ে শূন্য মাঠের রেফারি 

হাস্যকর ঘাসের বাতাসে থিতিয়ে রাখি বাঁশি---


বুঝিনি, নীরব পদাঘাত কখনো কখনো হয় এত বাহারী

বুকের ভিতরে ধসে যায় যেন সব ঘুণের বাড়ি


অতল অশ্রু আঁকড়ে আমি তবু জলের বিপরীতে হাঁস....













*********************************************************************




বিশ্বজিৎ বাউনা 


বিশ্বজিৎ বাউনা। জন্ম ১৯৮৬। পশ্চিম মেদিনীপুরে। পিংলায়। ২০১০-এ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ. (ফার্স্ট ক্লাস, সিলভার মেডেলিস্ট)। বি.এড., পিএইচডি। পেশায় এইচ এস শিক্ষক। ২০১১ থেকে শিক্ষকতা করছেন ঘাটালের গৌরা সৌনামুই কেবিএ শিক্ষায়তনে। কবিতা ছাড়াও গল্প লেখেন। পেয়েছেন 'দ্বৈরথ সাহিত্য সম্মান', 'চূনী কোটাল স্মৃতি সম্মান' ও 'বিভূতিভূষণ স্মৃতি পুরস্কার'। উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত বই: 'ডুলুং পাহাড়ে রহস্য',  'ঈশ্বরীকে হলুদ সনেট', 'নৈঃশব্দ্যের ক্ষতগুলি',  'লুণ্ঠন শেষের শূন্যতা', 'ধুনুচি তফাৎগুচ্ছ', 'বিরসা মুন্ডা: উলগুলানের সনেটগুচ্ছ',  'অক্ষরের কালকেতু',  'বেতাল রহস্য', 'পীড়াপর্বে একলব্য' ইত্যাদি।

1 টি মন্তব্য: