বিশ্বজিৎ বাউনা * দু’টি কবিতা
প্রহর
কাগজে মাটি ফেটে চৌচির।
নাভি পর্যন্ত দাহ, শৃগালের সমীহ চোখ।
এমন এক পৃথিবীতে অপেক্ষার কোনো তাৎপর্য নেই
খেজুর পাতার ফাঁকে চেরা ছায়া খুঁটে নিতে
আর আসে না সবুর বিশ্বাসী কোনো প্রান্তর।
পাখিরা কোলাজে কোলাজে উড়ন্ত
তবু লতানো শীতের উরুতে
ঝরাপাতা উড়ে এসে ঢেকে দিতে পারে না
সব সব ফকিরী প্রহর।
জড়িত অ্যাসাইলামে নক্ষত্র হত্যায় মেতেছে
দিকে দিকে চতুরেরা প্রখর।
বিপরীতে হাঁস
তুমি জলের নাভিতে ছায়া ফেলে রেখে ধারালো আড়ি,
আর আমি মুঠি খুলে দেখি সব মাছরাঙা বিনয়---
তোমার অস্বীকৃত উঠোনে আজো আমি
নিশাচর বনাম অক্ষরের ক্রীতদাস।
হুবহু উন্মাদের ছাই নিয়ে শূন্য মাঠের রেফারি
হাস্যকর ঘাসের বাতাসে থিতিয়ে রাখি বাঁশি---
বুঝিনি, নীরব পদাঘাত কখনো কখনো হয় এত বাহারী
বুকের ভিতরে ধসে যায় যেন সব ঘুণের বাড়ি
অতল অশ্রু আঁকড়ে আমি তবু জলের বিপরীতে হাঁস....





বিপরীতে হাঁস ও প্রহর - কবি বিশ্বজিৎ বাউনাকে অন্যভাবে চেনায়।
উত্তরমুছুন