প্রণয়বন্ধন
নজর উল ইসলাম
কত গভীরে ফুলের অনুনয় অনুরাগ জোড়ে দেহঘরে
হার না মানা আকুতি ভেতরে খেলাঘর সাজায়
সম্পৃক্ত ডানায় ফুট উঠলেও জাতীয় ক্যানভাসে লঙ্ঘিত
কেন না ধারাপাতে নেই এমন ভাঙাচোরা অনভিপ্রেত
পরম্পরা আড়াল খোঁজে দিন যায় অদমনীয় প্রণয়বন্ধন
জলের নেশাতুর কৌতুকবোধে ভাসে অথচ দু'জন দু'জনের
গাঢ় সংলাপে সূর্যের রামধনু খোঁজে আগুনে
প্রতিশ্রুতির চরাচর দিব্যি মায়াময় হৃদয় সঞ্চিত
কতবার ভেসে গেছে বাউলের একতারায় দরাজ নদী যেন
বুকের ভাঁজে ভাঁজে তুলে রেখেছে হলুদাভা উৎসব
মেঘ-শরীর যেমন ঘামে জলটোপ সযত্ন স্নেহে
জোছনার জামায় লেখা অভিমানের সংগত উচ্চারণ
যা নিশিপদ্মে রাগ-রাগিনীর কথকতায় হাসে...
*******************************************************************************
নজর উল ইসলাম
কবিতা এবং কবিতাকেই আঁকড়ে বাঁচতে চেয়েছেন নয়ের দশকের কবি নজর উল ইসলাম।১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর বসিরহাটের পশ্চিম বিবিপুর গ্রামে জন্ম। হাদরিদ্র পরিবারে প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছেন নজর উল কবিতার হাত ধরেই।
দারিদ্র্যের কারণেই উচ্চ মাধ্যমিকের পর উচ্চশিক্ষার কৌলিন্য অর্জন না-করলেও নজর উল ইসলাম নিরন্তর কবিতাচর্চার কবি হিসেবে সমুজ্জ্বল দু-বাংলায়। তাঁর ক্রমান্বয়ে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলি হল ‘নদী এলেই তুমি এসে যাও’, ‘রাতপাখির দেহলি’, ‘আমিই সেই পথ’, ‘ ও বৃষ্টির মেঘ’, ‘মুখ লুকনো হৃদযমুনা’, ‘ মেঘপাখির আগুনলিপি’ প্রভৃতি। বাংলা সাহিত্যের প্রাতিষ্ঠানিক ও অসংখ্য লিটল ম্যাগাজিনে প্রবহমান তাঁর সৃজনশীল কাব্যকৃতির জন্য নজর উল ইসলাম পেয়েছেন চন্দ্রকেতুগড়, রিয়া ইন্ডিয়া এবং এখন বঙ্গদেশ সন্মাননা।



.jpg)

মুগ্ধতা।
উত্তরমুছুন