গুচ্ছ কবিতা * বাবলু সরকার
স্বজন
১
রৌদ্রে স্নান করার পর
তোমাকে দেখলাম তুমি স্নান করছো
আর আমি রোদ ছেড়ে
তোমার প্রেমে পড়ে গেলাম
স্বল্প বাসে তোমার দেহবল্লরী যেন বিশুদ্ধ
আস্তিক ধার্মিক করে তুলেছিল আমায়
আমি চোখ তুলে দেখবো না তোমার
নিরাভরণ স্নানের নিত্যপূজা আচার আচরণ
তবুও চিররহস্যে আবৃত চোখ আমার
তোমার বিশ্বলোক থেকে নিষ্কৃতি পায়নি
২
তুমি একবার
ফোনটাতো হাতে নিতে পারো
দেখতে পারো
আমার পুরনো লেখাগুলো
কেমন ফ্যাকাসে হয়ে গেছে
পুরনো ছবির মতোই
সে যাইহোক
শুধু একটিবার হ্যালো বললে
এই ঝড়বৃষ্টি এই বাধনভাঙা তুফান
উপেক্ষা করে ছুটতাম তোমার অপেক্ষমান
মুখের ছবিখানি নিভৃতে একবার দেখে আসতে
আদতে তুমি ভাবোইনি তোমার জন্মদিনে
আমি উপস্থিত হই
৩
আমার দুচোখ জেগে আছে
তোমার ঘুমের পাশে
আমার দুচোখ জেগে আছে
কেন অন্ধ হবে তুমি বলো
কেন ডানা ভেঙে বৃষ্টি ভিজবে আমাকে বলো
এই নাও উপড়ে দিচ্ছি আমার দুচোখ
আমার দুচোখ তুমি নাও
তোমার যা খুশি তুমি নাও
তার বদলে হৃদয়ে গভীর ঘুম দাও
৪
সমুদ্রে মিশে যেতে যেতে ভাবি
কত শক্তি আস্ফালন করলাম তার সমুদ্রে
অথচ আদতে তার কিছুই নয়
না বনভূমি না পাড় কিছুই উথাল
পাথাল হলো না
তার আগেই জীবনে একটা উথাল
ঢেউয়ের মতো জাহির করে কিছু নদীকে
খরস্রোতা করে দিলাম
এখন নদী কিভাবে শান্ত হবে নাকি
সমুদ্র স্নানেই বাকিটা জীবন কাটিয়ে দেব
জানি না
৫
দেহ গেলে
পড়ে থাকে হৃদয় বৃন্দাবন
ওই কুঁড়ের দাওয়ায়
ছোট্ট জলচৌকি
তাতেই নড়বড়ে দেহ
কাঠের নড়বড়ে চেয়ার টেবিল
তাতেই বসে লিখছি
ঋতু বিষয়ক নড়বড়ে কবিতা
তাতে উঠিয়ে আনার চেষ্টা করছি
একটা শ্লোক
ঘুমাতে যাওয়ার আগে
যদি তুমি একবার পড়ে দেখো
এ আমার ব্যর্থ কবিতা
৬
এই যে গোপনে
আমি তোকে ভালোবাসি
এটা একমাত্র তুইই জানিস
আর যেদিন থেকে এটা তুই জেনেছিস
সেদিন থেকে তোর সঙ্গে আমার দূরত্ব
তৈরি হয়েছে
আসলে ঠিকই করেছিস
তোর পক্ষে এ প্রেম যেমন স্বীকার করা
কঠিন তেমনই কঠিন প্রকাশ করা
তবুও একটা দুটো হাই হেলো তো
অন্তত কথা যায় দিনে কিংবা দুপুরে
********************************************************************





পাঁচ নম্বরটি অন্যতম লেখা
উত্তরমুছুন