স্নিগ্ধ মায়াবী উচ্চারণে বোধের অত্যন্ত গভীর প্রদেশ থেকে উচ্চারিত হয় কবি তৈমুর খান-এর পঙক্তিমালা ' যুবতী রোদের পাশে বসি / শীত লেগে আছে ঠোঁটে ' কিংবা ' আমাদের ফুলপ্যান্ট ছিল না / একটি ধূসর পাঞ্জাবি / ঈশ্বর সেখানে কত বিজ্ঞাপন দিত রোজ ' এমন উচ্চারণে আমরা কবিতা পাঠের আনন্দে নিমজ্জিত হই ।
কবি তৈমুর খান-এর দুটি কবিতা
যুবতী রোদের কাছে
যুবতী রোদের পাশে বসি
শীত লেগে আছে ঠোঁটে
স্পর্শগুলি ঝরে গেছে
স্মৃতির কুয়াশার কাছে
তবুও হলুদ পাখি উড়ে আসে
আমি নীরব শব্দের কাছে
স্বপ্নবীজ ছড়িয়ে দিই
আকাশটা আজ কত দূর!
এই পার্থিব সম্মোহন থেকে
তাকাতে পারি না—
সংকুচিত হয়ে আসে অনন্ত গার্হস্থ্য
আর গার্হস্থ্যের মোরগ ডাকে প্রহরে প্রহরে
এখন আর যাব না কোথাও
যুবতী রোদের কাছে
আমার ভ্রমের গল্পগুলি
ঘুমিয়ে থাকুক—
ওদের জাগাব না—
হলুদ পাখিটি খুঁটে খুঁটে খেয়ে যাক
বোধের শব্দগুলি…
সহিষ্ণু
সহিষ্ণু বেশ ভালো—
আমি তাকে বিশেষণ বলি না কখনো
ছোটবেলা থেকে তার সঙ্গে খেলাধুলা
প্রবল স্রোতে ভেসে যেতে যেতে
তার হাত ধরে তীরে উঠে আসা
শূন্য পকেটে কত রথের মেলায় তার সঙ্গে দেখা
কত গল্প-গুজব ছড়িয়ে আছে মাঠে মাঠে
আমিও যেমন তার মতো কীর্তিনাশা
আমাদের ফুলপ্যান্ট ছিল না
একটি ধূসর পাঞ্জাবি—
ঈশ্বর সেখানে কত বিজ্ঞাপন লিখে দিত রোজ
মনে হত আমরা কাহিনি ফেরি করি
ঝলমলদের পাড়ায় যে কত ঝিকিমিকি
লজ্জা যদিও সব দেখে নিত
আবেগ লুকিয়ে আমরা ফিরতাম গোপনে
আলো হাসত— করুণার মা-বাবারা
দেখত চেয়ে চেয়ে
সহিষ্ণু আমরা হাতে খুচরো পেলে
সস্তা খাবার কিনতাম পাঁচ মাথার মোড়ে
তারপর নীরব গান গেয়ে বাড়ি ফিরে যেতাম
সবারই বাড়ি যেন নেতাজি নগরে

এমন সহিষ্ণুতা আমাদের সঙ্গী থাক জীবন-ভর।
উত্তরমুছুনস্বপ্ন বীজ ছড়াই আকাশ টা আজ কত দূর। স্যার আপনাকবিতায় মন্তব্য করা মানে ধৃষ্টতা। আমি তো শুধু অনুভব করি আপনার প্রতিটি লাইন
উত্তরমুছুনখুব ভালো লাগলো |
উত্তরমুছুনকোথায় যে ভাসিয়ে নিয়ে গেলেন! দুটি কবিতাই অনবদ্য! শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা নেবেন।
উত্তরমুছুনঅসাধারণ বললেও কম বলা হয়
উত্তরমুছুন