ইতিহাস তাঁর নিরলস চর্চার বিষয় , তাঁর চিন্তা - চেতনার ধ্যানবিন্দু | কিন্তু ইতিহাসের পাতাতেই নয় শুধু ,তাঁর দৃষ্টি ছুঁতে চায় শিল্প - সাহিত্য - জ্ঞান -বিজ্ঞান - প্রযুক্তির নানা দিক | আর তাঁর গবেষণালব্ধ ফলাফল সমৃদ্ধ করে আমাদের চলমান জীবনপ্রবাহ | এখানে ইতিহাসের আলোকে তেমনই একটি নিবন্ধ আমরা পাঠ করি |
মহামারী ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়: প্রসঙ্গ ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষ
ড: শুভঙ্কর দে
মন্বন্তরে মরিনি আমরা মারি নিয়ে ঘর করি । কবি লিখে গিয়েছিলেন । তবে 1876 সালে 31শে অক্টোবর রাতে যদি কবি পূর্ববঙ্গে থাকতেন তাহলে তার হাত থেকেই লেখাটা কতটা বেরোতো তাতে সন্দেহ আছে । কি হয়েছিল 1876 সালের 31 শে অক্টোবর । পূর্ববঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় এই রাতে একটি বিধ্বংসী সাইক্লোন বয়ে যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি এই ঝড়ে প্রায় 2 লক্ষ্য 15 হাজার মানুষ মারা যায় , এবং প্রায় 1 লক্ষ্য মানুষ কলেরা মহামারী দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মারা যান । সবটাই ছিল অফিশিয়াল হিসাব , unofficial সংখ্যা টা ছিল হয়তো এর থেকে কয়েক গুণ বেশি । এরপর প্রশ্ন উঠতে পারে হঠাৎ করে এই ঝড় বেছে নিলাম কেন উত্তরটা হলো এই বিপর্যয়ের পরবর্তীকালে রোগ বিস্তারের মাধ্যমে আমরা ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রে বেশ উলঙ্গ বীভৎস রূপ আমাদের চোখের সামনে উঠে আসে ।
ঝড় থেমে যাওয়ার পর প্রকৃত সমস্যা হিসেবে দেখা দেয় প্রচুর মানুষের মৃতদেহ যত্রতত্র পড়ে আছে । সৎকারের জন্য লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । নভেম্বর মাস থেকেই নোয়াখালী, চট্টগ্রাম , প্রকৃতি জায়গা থেকে কলেরা মহামারী খবর আসতে থাকে । অবস্থাটা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে মৃত মানুষের পচা গন্ধে ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় । সেই সময়কার একটি খবরের কাগজ ' Bengali Times ' তার বর্ণনা দিয়েছে, আমি সেটা সরাসরি নোট করছি । কাগজটি লিখেছে ----
It was Nightmarish scene the smell of decomposition become so strong that travelers passing along the road had to keep their noses and mouths cover , Some started running and didn't stop until they had left it well behind '
বেশ কিছু চমৎকার মজার জিনিস ঘটতে থাকে এই সময়ে । মৃতদেহ সৎকারের প্রশ্ন চলে আসে জাতপাতের প্রশ্ন , হিন্দু-মুসলিম সংক্রান্ত প্রশ্নগুলি অনেক স্থানে পর্যন্ত মানুষের স্থান থাকলেও মাটি করার যন্ত্রপাতি অর্থাৎ digging tool অভাবের কারণে সমস্যা হাতের নাগালের বাইরে চলে যায় । তবে ঝড়ের কিছুদিনের মধ্যেই যখন কলেরা দেখা দেয় , এবং ক্রমাগত সেটি যখন মারাত্মক আকার ধারণ করতে থাকে ঔপনিবেশিক সরকারের ভূমিকা ছিল যথেষ্ট নেতিবাচক । একটি উদাহরণ দিলে হয়তো ব্যাপারটি আপনাদের কাছে দিনের আলোর মত পরিষ্কার হবে। আমরা সেই সময়কার কথা আলোচনা করছি যখন Bengal এর sanitary commission ছিলেন , John coats , তিনি দিনের-পর-দিন কলেরা কবলিত গ্রামগুলি পরিদর্শন করেছিলেন এবং তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি স্টিমারের আবেদন করেছিলেন যাতে ত্রাণ, খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ অতিদ্রুত পৌঁছানো যায় । বলাবাহুল্য সরকার খরচের ভয়ে সেই আবেদন গ্রাহ্য করেনি । এই ছবি আমরা সমগ্র উনিশ শতক জুড়েই দেখব যে disaster rescue হোক বা public health , এর পিছনে টাকা-পয়সা খরচ করার ব্যাপারে সরকারের তীব্র অনিচ্ছা ছিল ।
বাংলার প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোগ মহামারীর উল্লেখযোগ্য ইতিহাস রয়েছে আবুল ফজলের লেখা পত্রে।সেই পত্র থেকে আমরা জানতে পারি , আরাকান আক্রমণের সময় ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মানুষের দুর্দশার কথা । 1817 সালে কলেরা পূর্ববঙ্গে প্রথম হানা দেয় । যশোর হয়ে সেই কলেরা প্রথমে কলকাতা তারপর ঘুরতে ঘুরতে Entire India এবং পরিশেষে ইউরোপে পৌঁছে যায় । তবে বিপর্যয় থেকে উপনিবেশিক সরকার কোন সময়ে কোনো শিক্ষা নেয়নি । 1876 সালের ঝড়ের সাথে কলেরা আমাদের সামনে আরো নতুন নতুন বিষয় তুলে আনে state policy এর limitation, বার বার Western medicine limitation অভাব আয়নার মত উঠে এসেছে । আমরা দেখব কলেরা পিন নেওয়ার জন্য মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েছে, অথচ ওষধ পায়নি । স্বাভাবিকভাবেই তাদের বাধ্য হয়ে শরণাপন্ন হতে হয়েছে কখনো কলকাতা থেকে কলেজ ফেল ডাক্তার , কখনো বা গ্রামের অশিক্ষিত হাতুড়ে ডাক্তারদের উপর । কিংবা শেষ ভরসা হিসাবে ঈশ্বরের শরণাপন্ন হওয়া । এভাবেই ওলা চন্ডি , ওলা বিবির মত ঈশ্বরের আবির্ভাব হয়েছিল। তবে কুসংস্কারগ্রস্থ শুধু আমরাই ছিলাম না ,এই রকম দু 'একজন সাহেব পাওয়া যায় যারা এসব পূজা-অর্চনায় জড়িয়ে পড়েছিল । বাখরগঞ্জ এর কালেক্টর Mr. Stuart কলেরা তাড়াতে এরকম স্থানীয়দের নিয়ে পূজা-অর্চনায় যুক্ত ছিলেন ।
Benjamin kingnsbwery এই ঝড় নিয়ে একটা গোটা বই লিখেছেন বইটির নাম হল an imperial disaster : the Bengal cyclone 1876 ( speaking tiger 2018) উনি ওনার বইতে দেখিয়েছেন ,তৎকালীন সংবাদপত্র গুলির বক্তব্য । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকারকে সংবাদপত্রগুলি এক হাত নেয় । হিন্দু পেট্রিয়ট থেকে অমৃতবাজার পত্রিকা প্রাণের বদলে কলকাতায় লক্ষ লক্ষ টাকা খরচা দরবায় অনুষ্ঠানের জন্য বাজি পটকা ফাটানোর তীব্র নিন্দায় মুখর হন । তারাও এটা খবর করেছিল যে বহু মানুষ ঝড়ের রাতে বেঁচে গেলেও পরে বাড়ি থেকে না বের হতে পেরে, না খেতে পেয়ে মারা যায় । মাসের-পর-মাস তাদের মৃতদেহ লাশ পড়েছিল এবং এই সংখ্যা ছিল হাজারে হাজারে ।
এবার আমি নজর ঘোরানোর চেষ্টা করব উত্তর ভারতের দিকে । উত্তর ভারতে বিশেষ করে এলাহাবাদ হরিদ্দারের মতো তীর্থস্থানগুলিতে কলেরা মারাত্মক আকার নিতে থাকে । উত্তর ভারতের গঙ্গা নদীর তীরবর্তী হরিদ্দার এলাহাবাদে 12 বছর পরপর কুম্ভ মেলা হত , তাতে লাখ লাখ মানুষের সমাগম হত , আমরা দেখব উনিশ শতকে এই তীর্থস্থানের মেলাগুলিকে কেন্দ্র করে কমপক্ষে পাঁচবার কলেরা disaster রূপে আবির্ভূত হয়েছিল 1867, 1879 , 1882 ,1890 এবং 1892 সালে ।
আমরা যে সময়টার কথা বলছি যদি একটু চোখ তুলে global context এ কলেরাকে দেখি , তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আমরা দেখতে পারবো সেই সময়ে দেশগুলিকে নিয়ে যে international senatory conference. হচ্ছিল , তাতে ব্রিটিশ প্রতিনিধিদের বেশ কড়া ভাষায় ধমক লাগানো হচ্ছিল, Asiatic কলেরার উৎপত্তি হিসাবে ভারতকেই মনে করা হচ্ছিল । এবং এটিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের উপর ক্রমাগত pressure সৃষ্টি করা হচ্ছিল । উপনিবেশিক ভারতবর্ষে কলেরা প্রসঙ্গে দুটি পরস্পর বিরোধী বক্তব্য আমরা দেখতে পাই বৃটিশ - আবিষ্কারকরা কলেরার জন্য দায়ী করত মূলত uncivilized native দের । অন্য দিকে - ভারতীয়রাও লাগাতার কলেরা বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে কাঠ গড়ায় তুলেছিল ব্রিটিশ সরকারের বিভিন্ন sanitizer policy গুলোকে ।
আমরা এই আলোচনায় মূলত তিনটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করব ----
1. এই মহামারি কি উপনিবেশক সরকার আটকাতে পারত না একেবার চেষ্টা করলে ?
2. উপনিবেশক সরকার exactly ঠিক কি ভূমিকা পালন করেছিল এর মোকাবিলায় ?
3.সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া কি রকম ছিল ?
তবে শুরু করার আগে biswamay Pati ,ও mark Harrison সম্পাদিত একটি বই society , medicine and politics in colonial India ( routelge, 2018 ) সেখানে Amna Khalid এর একটি চমৎকার আর্টিকেল রয়েছে । অসাধারণ সুন্দর যেমন দেখতে এই মহিলা তেমনি চমৎকার argument । উনি দেখাচ্ছেন সমগ্র ঊনবিংশ শতক জুড়েই ব্রিটিশ মেডিকেল মহলে এই religious gathering মেলা গুলিতে কলেরা আঁতুড়ঘর মনে করা হতো 1865-66 সালে ইউরোপে কলেরা pandemic এর আকার ধারণ করেছিল এবং এর কারণ হিসেবে ভারত থেকে আগত হজযাত্রীদের কে নিশানা করা হয়েছিল উৎস হিসেবে। 1867 সালে তৎকালীন sanitary commission সরাসরি কুম্ভমেলার তীর্থযাত্রীদের অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা habits , দূষিত গঙ্গার জলে চান করা , সেই জল খাওয়া সহ বিবিধ বিষয় কে কলেরা রোগের জন্য দায়ী করেছিলেন । তীর্থ যাত্রীদের জন্য ওই দু'তিনদিনের জন্য নির্দিষ্ট latrine এর ব্যবস্থা থাকলেও কোনক্রমে সেগুলি ব্যবহার হতো না । খুব ইন্টারেস্টিং ব্রিটিশ আধিকারিকদের লেখাপত্র খুব মজাদার ভাবে বেশ কিছু গোষ্টিকে বিশেষ ভাবে আক্রমণ করা হচ্ছিল । তাদের অভ্যাস এর জন্য । তালিকার শীর্ষে ছিল উত্তর ভারতে পাহাড়ি গোষ্ঠী ( hill people) Central province , jhariya গোষ্ঠী । সাধুসন্তদের মধ্যে Bairagi sect কেও কলেরা রোগ ছড়ানোর জন্য দায়ী করা হয়েছিল ।
তবে এর বিপরীত ভাষ্যও ছিল । সরকারের জোর-জবরদস্তি করে চাপিয়ে দেওয়া বিভিন্ন policy এর প্রশ্নে মানুষ বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল ।
A ) অনেক সময় সরকারের বিভিন্ন নীতি বিপর্যয়কে কমানোর বদলে বাড়িয়ে দিয়েছিল । 1879 কুম্ভ মেলার তীর্থযাত্রীদের কলেরার সন্দেহে তাদের বাড়ি ফেরার পথে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল । Military cantonment শহর ও গ্রামে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এই ছিল উদ্দেশ্য । বলাবাহুল্য এই দীর্ঘ পথে খাদ্য ও জলের অভাবে বহু মানুষ মারা যেতে থাকে । Almara Akbar খবর করে - হরিদ্দার থেকে আলমোড়া জবার বিস্তীর্ণ পথ পূণ্যার্থীদের লাশে ডেকে গেছে ।
B) 1892 সালে পুণ্যার্থীদের জোর করে রেলপথে বাড়ি ফিরতে বাধ্য করা হয় । বলাবাহুল্য ভিড়ে ঠাসাঠাসি করে পর্যাপ্ত খাবার ও পানীয় জল এমনকি toilet না থাকায় ( তৃতীয় শ্রেণীতে টয়লেট থাকতো না ) পরিস্থিতি খারাপ হয়ে পড়তো ।
C) স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষ সরকারকেই কলেরা রোগের জন্য দায়ী করত , Latrine এর প্রশ্নে তাদের যুক্তি ছিল ,সরকারপক্ষ এগুলি তৈরি করত তাদের শোবার জায়গার একদম পাশে । আবার যদি ভগবান একটু প্রশ্ন হয়ে বৃষ্টি-বাদল করতেন তাহলে এই latrine গুলোর অবস্থা সহ চারপাশের পরিবেশ কি হতো তা আশা করি আমার ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন হবে না ।
তবে এই সমস্ত কিছুর বাইরে একটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ প্রর্তক ছিল । কলেরা মহামারী বিপর্যয়রোধে একটা international pressure ছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই, তবে 1857 সালে মহাবিদ্রোহের পর বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে সাইকোলজি দিক থেকেও । ব্রিটিশরা এই সময় থেকেই বড় বড় জমায়েত , লোক সমাগম , বড় মেলাগুলিতে বিদ্রোহের ভূত দেখে বেড়াতো ,এই বুঝি না আর একটা 1857 হয়ে যায় । অবশ্য তাদের এই বিদ্রোহের ভূত দেখা অমূলক ছিল না । এলাহাবাদ এর পান্ডারা মহা বিদ্রোহের অতন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল । 1845 বিহারের সাহারানপুরে মেলায় বেশ কিছু বৃটিশ বিরোধী বিদ্রোহের Blue print তৈরি হয়েছিল বলে অনুমান করা হয় । সুতরাং Public health ও রোগ নাম করে তীব্র নজরদারি শুরু হয়ে যায় । পুণ্যার্থী থেকে শুরু করে সাধু দলকে , বিভিন্ন বিপদজনক গোষ্ঠীকে অপরিষ্কার রোগ ছড়ানোর উৎস হিসেবে নাম দিয়ে শুরু করা হয় তাদের উপর state surveillance এইগুলো করা হচ্ছে সমস্ত টাই public health এর নাম করে civilization mission এর অঙ্গ রূপে , কারন 1858 মহারানীর ঘোষণাপত্রের সরকারের হাত পা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ভারতীয়দের ধর্ম ব্যাপারে হস্তক্ষেপ যাতে না করা হয় ।
1876 এর ঝড় , তার পর কলেরা মহামারী আবির্ভাব হোক কিংবা উনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে থেকে ঘটে যাওয়া একের পর এক কলেরা disaster - state policy খুব একটা পার্থক্য চোখে পড়ে না । সরকারের সদিচ্ছা থাকলে এইটুকু পয়সাপাতি খরচ করলে হয়তো এই বিপর্যয়গুলিকে আটকানো যেত । কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি । এবং এর ফলে হয়েছে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু মিছিল ।
নবারুণ ভট্টাচার্য আমার প্রিয় কবি ,লিখেছেন একটি ভারী সুন্দর কবিতা ' একটি ফুলকির জন্য ' সেখানে একটি লাইন এরকম ছিল-----
একটা কথার ফুলকি উড়ে শুকনো ঘাসে পড়বে কবে
সারা শহর উথাল পাথাল , ভীষণ রাগে যুদ্ধ হবে ।
বিংশ শতাব্দীর গোড়া থেকেই এই যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় 1897 সালে মহারাষ্ট্রে এক প্লেগ অফিসারকে প্রকাশ্যে মেরে ফেলার মধ্য দিয়ে ।

Khub sundar sir pore niye khub valo laglo
উত্তরমুছুনঅনেক নতুন কিছু জানতে পারলাম,,এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মেলার মধ্যে বিদ্রোহের blue print তৈরির ঘটনা
উত্তরমুছুনSir likha ta pore khub valo laglo sikhte parlam onek kichhu ..thank you sir
উত্তরমুছুন