শনিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২১

বিজয় সিংহ




বাস্তব আর পরাবাস্তবতার গহীন গভীর ছুঁয়ে উচ্চারিত হয় কবি বিজয় সিংহের কবিতার পঙক্তিমালা।' যাকে সহজিয়া ভাবো সে তো সাধন অক্ষর/ সেখানে বিশ্রাম নেয় কুলকুণ্ডলিনী ' কুলকুণ্ডলিনীকে জাগানোই তো প্রকৃত সাধকের সাধনা। শব্দ সাধনায় নিমগ্ন কবি তাই অনায়াসে বলেন ' পাতকুয়ো থেকে যে করোটি /বালতি ভর্তি উঠে এলো /তা তোমার তুমি '


কবি বিজয় সিংহ-এর দু'টি কবিতা


নাভি


সব কিছুর মীমাংসা হয় না যেমন

জুঁইবন থেকে দূরত্ব তোমার

যেমন তামসকারের আসরাফি অথচ

ঝড়ের ঔদাস থেকে দোতারার জন্ম 

যাকে সহজিয়া ভাবো সে তো সাধন অক্ষর

সেখানে বিশ্রাম নেয় কুলকুণ্ডলিনী


ভাবি কথামঞ্জরীর মধ্যে স্থায়ী  ছিল 

কতটা তোমার ক্যাম্প

লৌহদন্ড হাতে নিলে ভাবি তোমার নাভির থেকে 

কোন পল্লবিনী জাগে  বাউলের দিব্যদশা নিয়ে

প্রেমের ধর্মই নিভে যাওয়া নাভি তবু কখনো 

পোড়ে না জেনে বুক-শেলফে লুকিয়েছি তাকে

শব্দরন্ধ্রে লুকিয়েছি সংগুপ্ত সিনান 


সৌরকাঁকড়ারা যে বছর ভাঙচুর করেছিল চাঁদে

হাতির রমন তুমি স্বপ্নে দেখেছিলে



ছায়া


 হরিতকী গাছ তুমি কখনো দেখোনি

            মধ্যমেধার এ পৃথিবীতে তার 

                  ডালপালা ছড়িয়ে পড়েছে

 পাতকুয়ো থেকে যে করোটি

 বালতিভর্তি উঠে এলো

        তা তোমার তুমি

           হিমাচল-ট্যুরে গিয়েছিলে


 মধ্যমেধার পৃথিবী মানে

 হরলিক্সের জার আর তাতে কাঁপে

                   অ-এ অজগর

 আগুনের বীজ নিয়ে রুপোর যে হাত

            হাতছানি দিয়েছিল

                  কবরেখা তার

          তোমার অন্তর্বৃত্তের ছায়া নদী


 নদীমাতৃক এ চরাচরে

       রাত নামলে মনে হয়

 শূন্যস্থান পুরণে এসেছে উপত্যকা থেকে নামা

               মহীনের  মৃত ঘোড়াগুলি


উপত্যকা হরিতকী

                 ছায়ার মায়ায় ভরে যায়




৩টি মন্তব্য:

  1. আহা দাদা... প্রণাম জানবেন...

    উত্তরমুছুন
  2. মধ্য মেধার কবিতার থেকে যোজন এগিয়ে থেকে লেখেন বিজয় সিংহ। বায়বীয় উদ্ভাসসের সম্পূর্ণ বিপ্রতীপে একটি গভীর স্থাপত্যে নির্মিত বিজয়ের কবিতা মেধার সমিধ জ্বেলে হৃদয়ে বোধের আরাত্রিকে কবিতার নান্দীমুখ রচনা করে চলে। এই দুটি কবিতাও তার ব্যতিক্রম নয়।

    উত্তরমুছুন