রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

গুচ্ছ কবিতা * নিমাই জানা

 




গুচ্ছ কবিতা
* নিমাই জানা 


(১) পেপস্মিয়ার রঙ ১৯ এমজি ডুভানিল ও ভূতল ঈশ্বরীর সমাঙ্গ দর্শন


পেপস্মিয়ার পজিটিভ, এসিএস টেড নিউক্লিয়াস , বায়োসি গর্তের নিচে দুটো মাংসের টুকরো থেকে একটা চিকিৎসা বিজ্ঞানের নষ্ট সমুদ্র এসে তিনবার পাতালে বসে থাকা সাপের মাথা থেঁতলে রঙ্গন শাস্ত্রের দেবদারু বিজ্ঞানের মাথায় তিনবার ভোমিটিং ক্যাপসুলটা খেয়ে ফেলল , অটো শো করছে পেট্রোল কারখানার নারী। তার রেস্তোরাঁয় আমি প্রতিদিন মালমিন রঙের চিংড়ি মাছের মালাইকারি খাই আর উলঙ্গ হয়ে বার ড্যান্সারের সবুজ কাঁচ ভাঙা খেতে খেতে মিথ্যে প্রসূতি হয়ে যাই
সিমেন্টেড গজ চোখে জড়িয়ে আছে ভূতল ঈশ্বরীর থার্মোকল আইয়োডিনের তৈরি রি কারেন্ট ডুভানিল ট্যাবলেট ,
নাসারন্ধ্র আর ঠোঁটের সন্ন্যাস মুদ্রা দৃশ্যের গর্তে ক্রোধের নীল সাপ বাদামী গর্ত খুঁড়ে মহাকাশের বশিষ্ট্য ক্ষত্রিয়দের খেতে চাইছে বারংবার , আমার অষ্টাদশ পিতা নিজেই নিজের মাংস খায় আমাদের নাভিতে সুঁচ ফুটিয়ে গর্ত করে দেয়, জানলার মতো বীভৎস ঊনকোটি দ্রাক্ষা পত্নীরা নারী ছিদ্রের দুগ্ধবতী অন্ধকারে মুত্রাশয় লুকিয়ে রাখে, এ পৃথিবীতে মানুষের মাংসের দাম নেই উনুনের দাম আছে দুর্গন্ধ হৃদপিণ্ড রাখা সিমেন্টেড ফ্লেভারের কপিশ গন্ধের চন্দন ভর্তি স্টিলের বাটির দাম আছে রক্ত রসে ডোবানো কিসমিসের দাম আছে রক্ত বীজের দাম আছে পচে যাওয়া ডিমের দাম আছে ,অর্ধভক্ষ বিনাইন দশভূজ সাপেরা জড়িয়ে আছে গোড়ালিতে বীভৎস মুদ্রায় বজ্রপাত লাল নিষেকের অমৃততত্ব জ্ঞানী ব্যাঙেদের বীভৎস সঙ্গম মুদ্রায় উলঙ্গ পুরীর ঘাতক ব্যাধ সেজে অবিনশ্বর মহাকালকেই সঙ্গম করছে অযুত প্রহরের টেসলা ক্ষিপ্রতায়। সব মাদকাসক্ত যৌন ব্যবসায়ীরা দিগম্বরের অমৃত সাধনায় ধূপ জ্বেলে গলাটাকে মসলাদার কড়ায় ঝাঁকিয়ে কচ্ছপের গলার ভেতর থেকে তরল ঘি জাতীয় বস্তুগুলো ভিজিয়ে রাখে বাদামের গ্লাসে , ১নং জন্মের উন্মাদ অজগরের পাতলা তলপেটের কাছে নিষিক্ত শূন্য তরঙ্গায়িত খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করছে প্রেতকুন্ডের অবিনশ্বর শরল যজ্ঞের ভূমধ্যস্থান, এখানে ধ্যানমগ্ন উন্মেষী ক্ষুধার্তরাই বারবার অতৃপ্ত উলঙ্গ হয়ে মৈথুন জঙ্ঘার রম্ভা স্থূলতার স্নানে যায় , কটকটে তৈলাক্ত লোমকূপ উপড়ে ফেলে স্তন ছিদ্রে কামড় দিয়ে উপড়ে ফেলে বৈরাগ্য স্তনের মোক্ষ , হা হা করে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে একটা শ্মশানের প্রহর ডোম ছাই ছাইয়ের অমৃত মৃতদেহের বাটার টোস্ট , মাথায় তরল চামচ ঠেকিয়ে বেকিং পাউডারের পেপস্মিয়ারে গালা ঢেলে দিচ্ছে লাইনজোলিড ত-এ কার ভূত , আমার ইনট্রিগেটেড ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমার সব স্তন ক্যান্সারের রোগীরা পোস্টমর্টেম ঘরের বরফের চাঙর ভাঙছে আর স্থিতিজাড্যের হাসপাতালের নীরব দরজা দিয়ে উড়ে যাচ্ছে চতুর্থ জন্মের প্রেত কবরের দিকে , হাসপাতালের ফিনাইল মোছা পরিচারিকাটি গর্ভপাতের জন্য কাকে দায়ী করছে ঈশ্বর না সিজারিয়ান টেবিলের ব্যবসাদারকে ?


(২) ত্রিকুট হিমাদ্রি ও প্রেতশালার কার্বাইড কোহল সংহিতার পিচকিরি


হত্যা ও হত্যা পরবর্তী মাথায় জ্বলতে থাকা স্মরনীয় সোপকরণ ও অব্যয়ীভাব অক্ষরের মতো আঁশটে গন্ধযুক্ত পরিচ্ছদের নিশ্ছিদ্র পেডিট্রেশন নেভালপ্যাড গুলো রাজপ্রাসাদ থেকে বেরিয়ে আসে দাঁতে লেগে থাকা ভ্রুণ হত্যাকারীদের রক্ত নিয়ে, এতো ধূসর প্রদীপ জ্বলে ওঠে ফসফরাস হাড়ের গন্ধ নিয়ে,  কিলবিল করে শুন্য মাথার খুলিটা, নেচে ওঠে অজগরের পিত্ত খাবে বলে , মৃত মানুষদের পোশাক পাল্টে দেই যোনী ছিদ্রে ঢাকা সাদা ধবধবে কাপড়  ,এই প্রাচীন গোপন গুহার ভিতরে লুকানো অতিক্ষারীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানের কোহল সংহিতার ঈশ্বরী নাভিকুন্ডের কাছে ডিম্বপেটিকা ফাটিয়ে দেয়। খসে পড়ে ডিম ও ডিমের রন্ধ্র ডিমের খোলস তরল সূক্ষ্ম ত্বরণ অতি সাংকেতিক সন্ন্যাসী মুদ্রা বৈবসত্ত্ব তৃষ্ণার্ত স্তন্যপায়ী কাঠের নর্তক বানাচ্ছে , রোপণ করি একটা জবাই লিঙ্গের অতি ক্ষুদ্রতম পিচকারির মতো দীর্ঘ সন্ন্যাসীনীর গলা , যা কেটে দিয়ে মাটিতে পুঁতে দিচ্ছি  মন্দির থেকে মন্ত্রের তরঙ্গ বেরিয়ে আসছে বলে । পাতালে শেকড় গজানোর শব্দ হচ্ছে মহাসংঘাতের অনু ডিম্বাণুর , মহা ভূমিকম্পের প্রলয়ের বজ্রের বিদ্যুতের স্পর্শের গন্ধের , তীব্র রজ বিন্দুতে মর্দন করছে চিত্রশিল্পীর স্বরনালীর সংক্রমণের পুঁজ , হিমাদ্রি রক্ত শোক ছড়িয়ে দিচ্ছে আজনবি এলাচ বীজের মতো, ধ্বংস হও উষ্টাসন কৃষ্ণাঙ্গ ঈশ্বর তোমার জৈবনিক কাবাবে গলাকাটা স্ট্রবেরি মাংস রাখলাম ,
কিউ আর কোটেড রাতে ধ্রুবতারার গুঁড়ো মাখে গলায় স্তনে বগলের তলায় কুঁচকি অরণ্যের প্রবল গভীরে সুড়ঙ্গ গর্তে ঘর্মাক্ত সংক্রামিত অসুখ সারিয়ে দেয় উপাসনাগারের তৈলাক্ত দ্রবণ , কার্বাইড টলছে পায়ের কাছে শেকড় বাঁধা উলঙ্গ ঈশ্বর ঈশ্বর হয়ে শুয়ে থাকে , গাছ থেকে পড়ে শিশির বিন্দু মাথার ঘাম খনিজ তেলের রন্ধ্র তরল আগুন আগুনের মতো বিবস্ত্র রঙিন ছায়াচ্ছন্ন নিষিদ্ধ পেঙ্গুইন পাখির লবণাক্ত কর্কট , ইটের প্রেতশালায় একদল অ্যানেস্থেসিস্ট অন্ডকোষে লিথিয়ামে ঢেলে দিচ্ছে কুকুরের যৌনাঙ্গ বিষয়ক বংশগতির অপরাবিদ্যা , যোনির ভেতরে মাংস পরীক্ষা করছে দুটি জারজ কেঁচো


(৩) জৈবনিক ঈশ্বরীদের স্তনদান পর্ব ও ধাতুবীজের টিনাগ্লিপটিন

তীব্র চিৎকার করছেন মদ গম জনন ধাতুবীজ কাঠের সিংহাসন অন্তর্বাস ও গোপনাঙ্গ পরীক্ষার বোতামের দেবী ,  দৈব শৃঙ্গার কালে প্রহর রাত্রি প্রহরকে বিষে বিষে পুন্ডরীকাক্ষ দেবী ভেবে উপড়ে ফেলছে কৃষ্ণ রতির বিরোজা দৃশ্যের অভিশাপগ্রস্থ দ্বার রক্ষক , জৈবিক আগুন আগুন পরা আগুন জরা আগুন রতি আগুন ক্ষুধা আগুন মুখাগ্নি দাবাগ্নি শৌচাগ্নি জঠরাগ্নি বৈরাগ্নি দৈত্যের অগ্নি সবাই তৃতীয় প্রহরের যোগ ঘটাবে প্রদোষ জলাশয়ের সমর্পণ দৃশ্যের প্রতি ঋ কার মূর্ধায় ,  মৃত্যুর অভিষেক পত্র লেখার জন্যই সকলে ঝাউগাছ লাগায়। স্টোনচিপসের খাদ্য খায় উলঙ্গ হয়ে সাপের গর্তে ঘুমাতে যায় লবঙ্গ কিনে মাথাটাকে ডিমের মতো উল্টেপাল্টে ভাজে আর মহিলা শৌচাগারে ঢুকে যায় মুত্রাশয়টিকে ধোয়ার জন্য
একটা বিবিধ রঙের অ্যাকরবিক টিনাগ্লিপটিন সাপ সাপের উপরে সুদৃশ্য তরল বীর্যপাতের মহা কুম্ভক প্রদেশে নরকের প্রাতঃকালীন অশৌচ যোগ দ্রব্য রেখে নয়নাভিরাম ক্ষুধা গ্রহণ করছে , ছড়িয়ে দিচ্ছি পায়ের পাতা ধুলো কঙ্কাল পোড়া ছাই চুম্বকের কয়লা বিষ মাখানো নক্ষত্রের কালো কুচমুচে কাঁচ পাথরের শিথিল দন্ড , নিষিদ্ধ কক্ষের শয়তান স্তন্যপায়ী , এসো সমর্পণের যজ্ঞ জ্বালাই
মেদের লালা ঝরে পড়ছে মোমের মতো , মোম মাথা মস্তিষ্ক স্নায়ু এই খেদ কাম কামাগ্নি , যজ্ঞের বারুনি সুদৃশ্য পোকা গুলো‌ ফিফথ ফিঙ্গারিং করছে মাথাটা কুরে খাচ্ছে গলে পড়ছে নাভি দেশে  , নাভি দেশের থেকেও আরো উন্নাসিক উন্নততর শেকড়ের পরিযায়ী পর্ণমোচী রক্ত সঞ্চালনের অতন্দ্র শিরাপথ , এখানে বিষাদের অস্ত্রোপ্রচার হবে রাতে , হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ  ঘাতকটি পলিব্যাগ ফরমালিন ইনজেকশনের ড্রাগ সুঁচ অ্যাপ্রোন পরে তলপেটের জঙ্গল পরিষ্কার করছে , মৃত মানুষদের সাদা কাপড় জড়িয়ে বসে আছে আঙ্গুর ও ময়ূর ফলের কফিন বিক্রেতা



(৪) মেগাস্থিনিস পর্বের ডলোমাইট ও গুদাম ঘরের মহাজগৎ খণ্ড-ত

ঈশ্বরের ক্ষণপদ বা মাথার লম্ব বৃত্তাকার যজাতির মতো বীভৎস রক্ত চক্ষুর স্নায়বিক অন্ধকারে যজ্ঞের ঘিলু বিষয়ক তরলে নিজের শরীরে জমে থাকা মাংসের পিণ্ড ছুঁড়ে দিচ্ছে মহাজগতের গর্তে অট্টহাস্য করতে থাকা সালফাইড রক্তের উপবৃত্তাকার তরল অযোগবাহ , সব নশ্বর ঈশ্বরীরা জানালা খুলে ভ্যাকুয়াম টিউবটাকে পাতালের টিউকলের সাথে বেঁধে দেয় আর ডিম্বাকার বমি করতে করতে পিংপং ভ্রূণগুলোকে রক্ত ভর্তি স্যালাইনে স্প্রে করে ন্যাজাল ভ্যাসেকটমির ইন্দ্রিয়করণ করায়, শেষ রাতের দিকে অক্ষম উটের মত আমিও হায়েনার বীর্য পোশাকে মাখিয়ে প্রেত হাসির জন্য দুর্গন্ধ দাঁতগুলো পরিষ্কার করি আর কামড় দিতে  থাকি চিরতা কাঁকড়ার ব্যাসিলাম ৩x মার্কা যৌনাঙ্গে
দাঁড়িয়ে থাকো হে পঞ্চবর্ণের আততায়ী , খন্ড-ত(ৎ) আততায়ী, হিমগিরি আপেল আততায়ী ,৩৮ ডায়ামিটার পেরেক আততায়ী অথচ তাদের মাথায় বীভৎস খড়্গের আঘাত ছিল , প্রলয় হুঙ্কার ছিল ভীম শেলের মহা প্রতিঘাত ছিল। সুড়ঙ্গের ভেতরে ঈশ্বরী মহারাজ ফাঁসির পতিতালয় গন্ধ শুঁকছে , তৃষ্ণার্ত গর্তে হাত রেখে কাতর পাখি হয়ে যাচ্ছি আমার সন্ন্যাস নেই আমার রাজপিণ্ড আছে। আমার সত্ব নেই আমার রজঃ নেই আমার তম নেই আমার ঈশ্বর নেই আমার ক্ষত্রিয় আসন নেই আমার নিদ্রা নেই আমার সুষুপ্তি নেই আমার জাগরণ নেই আমার স্বপ্ন নেই আমার কাঁচ নেই আমার পিতা নেই  অথচ আমার কদলী পিন্ড আছে আমার যমুনা পিণ্ড আছে মাংসের পিন্ড আছে মস্তিষ্কের পিণ্ড আছে সুন্নত পিন্ড আছে সুজাতা আছে কারখানা আছে অভ্রের কারখানা আছে ব্লেডের শৌচালয় আছে গোপনাঙ্গের ছেঁচে ফেলা চামড়ার দুর্গন্ধ আছে গর্ভপাতের হড়হড়ে যৌন গর্ত আছে লিঙ্গ দৈর্ঘ্য আছে পাতলা ফিনফিনে সাদা বক্ষবন্ধনী আছে পর্বত আছে ম্যাকাও আছে গুমপোকা আছে পিতার শরীর পোড়ানো রক্ত রঙের তেল আছে গুম ঘর আছে গুদামখোর আছে ডলোমাইটের ঘর আছে ইঁদুরের যৌনাঙ্গ আছে কেন্নোর পাকস্থলী আছে শব আছে শব আছে শব আছে ,  আত্মা আছে কুকুর আছে জাহ্নবী আছে , অথচ কোন ঈ-কার নেই একটা দরজা থেকে পিতার বগলকাটা সুধীর প্রদেশে আর কোন মহাজনপদের কোশল মেগাস্থিনিস নেই যে আমাকে নীলনদের ব্রাহ্মলিপি শেখাবে পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ দিয়ে , আত্মাটি নিজেই বিমান চালাচ্ছে আর এক্সপায়ার টিউবের রক্ত ঢেলে দিয়ে কুকুর কেটেকে খাওয়াচ্ছে। আমি মৃত্যুর জন্য পাঁচ কোটি ঊনত্রিশ লক্ষ তেতাল্লিশ গ্রাম ওজনের দুটি টমেটো কিনে লুকিয়ে রাখি হত্যা বিষয়ক বৃহদারণ্যক সমুদ্রের কৌলিন্য সমাধির চৌকাঠ থেকে পাপের বীজপত্র কিনবো বলে













*********************************************************************************************




নিমাই জানা

 এ সময়ের অন্যতম শক্তিশালী তরুণ কবি । রুইনান সবং পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে লিখছেন প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ :  ছায়ার মূলরোম ও  নির্জন পুরুষ অসুখ * জিরো কম্পাঙ্কের পেন্ডুলাম * ঈশ্বর ও ফারেনহাইট জ্বরের ঘোড়া * ইছামতি ঈশ্বরী ও লাল আগুনের ডিম্বকোষ * রজঃস্বলা বৃষ্টির গুণিতক সংখ্যাগুলো ব্যাবিলনের চাঁদ।  


 
 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন