অর্ণব সামন্ত * দু’টি কবিতা
গীতবিতান
গীতবিতানের মতো চোখ রেখে আমি ফিরছি
দখিনের ব্যালকনি খুলে রাখো
দু'হাতে বিনুনি বাঁধো সামনে উথলে ওঠা ঢেউ , সমুদ্র
নোনা গন্ধে ভেসে যাচ্ছে সোঁদামাটির আগুন
তবু বৃষ্টিপাতের পরে চাষ হয়
বীজ বোনে , ফসলে ফসলে একাকার
ঠোঁটের আকুলতা হৃদয় আরশিতে
দ্যাখে হৃদয় , এ সম্পদ হারাবার নয়
কালের শেলফে তুলে রাখে সেই অপঠিত বই
পাতায় পাতায় যার রহস্য , আবিষ্কার
চাঁদের কাজলে যদি সূর্যের তেজ পড়ে
পরিবারের জন্ম হয় সৌর বা চান্দ্রিক
স্বরবিতানের কোমল গান্ধারে বসে কেউ
কেউ বা ঋষভে বসে টইটম্বুর রাশভারী
ফসলের গান ছুটে যাচ্ছে ফল্গুস্রোতের মতো ...
স্রোতস্বিনী একাকিনী
স্রোতস্বিনীর আপ্লুত স্বর সাগর চেনায়
ডানা ঝটপট ডানা সব ভূমিকম্প শেখায়
কেন্দ্র পরিধিতে বিশাল দ্রোহ , উত্তেজনাও
সে অনুভূতির সুনয়ন এসে তাকে সামলায়
আকন্ঠ পান জীবন যাতনা টলোমলো হাঁটা
কথার কথকতাগুলো নিবিড় টানে সুনিবিড়
সেতু উড়ে আসে জাতিস্মরের চলনে বলনে
ওতপ্রোত দ্রাঘিমার যন্ত্রণা তবু প্রত্যয়
দিগন্ত পারে হারায় তবুও স্রোত কুলুকুলু
জাগায় সৈকতে নাম তার পরে দ্রুত মুছে যায়
ক্যাসুরিনা বনে হিল্লোল তোলে সুরতালহীন
নীরবে লিখেছো ভাষার নয়ন যত কারিকুরি
হাওয়া পানসি মেঘ ছুটিয়েছে সেকি আহ্লাদ
যে সূর্যোদয় , সূর্যাস্ত সরে লজ্জায় ভয়ে
রাতে সেইগুলো পাখির মতন খুঁটে খুঁটে খায় !
***********************************************************************************************
অর্ণব সামন্ত
ইংরাজী ভাষার ছাত্র। ইংরাজীতে এম. এ ; বি . এড ।উনিশশো তিয়াত্তর সালে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসন্তীতে জন্মালেও স্কুল জীবনের পর থেকে শহরতলীতে আবাস । শিক্ষকতা পেশা , নেশা কবিতা লেখা । এ পর্যন্ত প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ , ৪টি - গোলাপ এবং , ঝরা সময়ের উপকথা , পারমিতা , বামাক্ষী । পেশাগত সময় বাদে গান শোনা , বইপড়া , ফোটোগ্রাফি , কবিতা লেখাকেই জীবন যাপনের একমাত্র উপায় বলে মনে করেন।





কালের সেলফে তুলে রাখা অপঠিত বই থেকে কবি যেন পড়ে শোনালেন এই দুই লেখা। চিন্তাকে প্রভাবিত করে।
উত্তরমুছুন