রহিত ঘোষাল * দু’টি কবিতা
কী থেকে কী হয়ে যায়
অমনভাবে বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে থাকে যে
সেই তো আমাকে নিয়ে খেলে ছিনিমিনি
তার হৃদয়ে এতটুকু ঘি-আগুন
দিলে পাই বুড়ো গাছের ছায়া
মরীচিকা
সান্ধ্য মফস্সল তমসা ছাঁকতে জানে
যোগসাজশ জানে আদুরে মায়ানাবালিকা
কাঁপা কাঁপা রেলের রাস্তা
শীত দেবে পাষাণ শব-চিতা
ডোমের হাত দেখেছ কখনো
ইস! বলে তখন মুখ লুকিও আমার বুকে
সফল স্বামীকে ছিঁড়েখুঁড়ে
আমার বিছানায় জ্বলেপুড়ে যেও
ওটুকু জুয়াখেলা নিশ্চয়ই
আমাদের সামর্থে কুলাবে
তক্ষক নাচবে পৃথিবীতে সেদিন
উন্মাদিনী হবে পুরাকালের চাঁদ
দগ্ধ গ্রাম পতঙ্গের মতো মরবে
রাই আমার কলমিলতা কুড়োবে অসীমে
মাটিরং শাড়ি পরে
ঠিকানা বানাই,এসো
তুমি কে?
-ধরে নাও সেই ছেলেটা
জেলাশহরের শীতের দুপুরে গায়ে শাল
অজপাড়াগাঁয়ের নদীর পারে ঘর।
বাড়িতে কী বলবো?
-বলবে কবিতা-টবিতা লেখে,
নিরীহ গোবেচারা রোজগার নেই এক পয়সা।
ধুত! এসব বললে মানবে না,বলবে কী খাওয়াবে,কোথায় থাকবি?
-বলবে এত এত
শালপাতার সলিল সমাধি যেখানে
যেখানে বাংলার পীর আউলিয়ারা
ধ্যানমগ্ন আছেন অনন্তকাল জুড়ে
সেখানে আমরা জোড়ায় জোড়ায় থাকবো
সূর্যমুখী বাগানে চাকরি নেবো
তুমি উঠোনে এঁকে রাখবে আলপনা
নবান্ন মেলায়ে আমরা নাগরদোলা চড়বো
দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জ এলাকায় ১৯৯০ এর ৯ অক্টোবর রহিত ঘোষালের জন্ম,সেখানেই শৈশব ও কৈশোর ব্যয় করেন।লেখালেখি করছেন ২০০৭ সাল থেকে। জীবনের বিচিত্র সব শিল্প সংস্কৃতি সংক্রান্ত কৌতূহল ও স্বপ্ন মেটাতে ও বাস্তবায়ন করতে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনা কলেজ অব্দি।বিভিন্ন রকম পেশা বদলে বর্তমানে একটি ব্যক্তি উদ্যোগের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।কবিতা লেখার আশেপাশে অভিনয় করেছেন মঞ্চনাটক ও অন্তরঙ্গ নাটকে।গান গেয়েছেন এবং লিখেছেন নানা বাংলা ব্যান্ডের দলে,অবসরের ছবি আঁকতে ভালোবাসেন আপন মনে।
প্রকাশিত বই :পীড়িত অববাহিকা





সান্ধ্য মফস্বল তমসা ছাঁকতে জানে"...দেখার এই চোখকে ভালোবাসা জানাই। দুটি লেখা মুগ্ধতার রেশ রেখে যায় মনে।
উত্তরমুছুন