বিশ্বজিৎ বাউনা * দু'টি কবিতা
শীতের দিনগুলিতে
বিভাজ্য রোদে বসে আছি
শোক থেকে অনুদ্ধার ফুল কাঁপে
গতরাতের ডোবানো আদরে এখন কাতর আম্লিক মাছি
অন্যমনা আগ্রহ নিয়ে নেতিয়ে পড়ে
অপলক বাতাসে উড়ে উড়ে গৃহী...
বরাবর দেখেছি শীতের ঝরা পাতায় এক বিকৃত তিরস্কার
লেগে থাকে
তার পাখি কন্ঠের চমৎকার আগ্রহ শেষে তলানি নিয়ে
আঁকড়ানো দাহ্য স্মৃতি,
কিংবা প্রেমের অফার পাওয়া রোদের মতো বিভ্রান্ত এই
চাতকবেলা
জলশূন্যের দিকে মেঘের পরকীয়া ছড়িয়ে রাখে
তখন আমি অযুত কাঁকড় দিয়ে জ্যোৎস্নার বান্ধবীকে গোপনে
ঘষি
মৃত আলাদিন উপুড় হয়ে তরতর গড়িয়ে পড়ে মুখর ঘাসে
দাউদাউ হত্যায়---
তোমাকে বলিনি সেই বুমেরাং লাঞ্ছনা আজ নিজেকে কিভাবে
তীব্র লালচক্ষু দিয়ে গর্জায় রক্তের হিম পায়রা উড়িয়ে
উড়িয়ে
উড়িয়ে...
শীতকাল পেরোতে পেরোতে
কবেকার প্রত্যাখ্যান অগোছালো হয়ে পড়ে আছে হাড়ে, হলুদ
বিকেলের বুড়ি আলো গুটিসুটি দিয়ে শুয়ে পড়েছে খড়ে।
তোমাকে বিলক্ষণ টের পাই সংকুচিত বৃত্তের কেন্দ্রে সংসার
ছুঁয়ে ছুঁয়ে কত অপারগ আমি ....
অস্তগামী অক্ষর ক্রমশ খুচরো পয়সার মতো অচল হয়ে আসে
বুকপকেটহীন শার্টের জৌলুসে, ষোলো আনা প্রতিবাদী নই।
বশ্যতায় ডুবুডুবু কুকুরের পিত্তে লাল নীল কালো চোখ ভাসে
উড়ন্ত রাতের ভিতরে নক্ষত্রের মোরগ খসে যায় নির্মোহ রঙে,
ভ্রূক্ষেপহীন নিরেট হিংসায় পিছলে যাওয়া ছুরির দিকে
শেষবারের মতো কঁকিয়ে ওঠে কার ক্ষমা?
নিরীহ কুয়াশার ভিড় ঠেলে মৃত চোখ সব ফিরে গেছে
কবিতার
দাহ সেরে
ছাই হয়ে পড়ে আছে উচিত আঙুলের নির্দেশনা
হস্তিনী গন্ধের মত উদাসীন এই সহকর্মীদের জিভ থেকে সোনা
রুপোর রূপকথা ঝরে,
সেন্সেক্স আঁকড়ে সিঁড়ির উপরে উঠে যায় চতুর হাঙরের
দীপাবলী রোশনাই।
কতদিন এক পশলা বৃষ্টি নেই, সামাজিক ধুলো,বালি
আর পাথরের চাহুনিতে তাচ্ছিল্যের বৈভব
এমন শীতকাল পেরোতে পেরোতে নিজের ছায়ায় ক্রমে ছোট
হয়ে যাই।





কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন