মানবজমিন
সাধন চৌধুরী
প্রতিবেশি গিঁট খুলতে খুলতে রাস্তা পেরিয়ে যাই।
কান পেতে রাখি যদি কোনো রপ্ত সম্ভাষণ পাছে-
দ্বিধা থেকে জন্ম এমন ক্রমোচ্চ পাঁচিল। শতগ্রন্থিময়।
দেখা হয়, সম্পর্ক গাথা নয় কিছুতেই। অযথা প্রলাপে
ডুবে সৌজন্য সুহৃদ। অথচ হাওয়া বয় প্রতিবেশি ঘ্রাণ
প্রাণে নেই কুটুম্বকম্। একটা জীবন পাহাড়কে পাথর
ভেবে কেমন শুকিয়ে যায়।
নাজেহাল মাঝির গলায় কৃষিকাজের সুর লাগে।
নদীতে পানি কমে। জলে ও ডাঙায় ত্রাহিত্রাহি রব
শস্য চাই শস্যচাই, এ তো মন্বন্তর নয়। আকালের
বারমাসে তবু কারুণিক খুঁজে ফেরে কেউ।
ছলছল করে জল ঘনিষ্ঠ বুকের কাছে তৃষ্ণার
ঠোঁট। ভরা ঘট কপিলার কন্ঠস্বরঃ আমারে সঙ্গে
নাও মাঝি। আসন্ন প্রলয় ঝড়ে বড় গাঙ-এ যুঝতে
গেলে কপিলাও যাক। একটা তিতাস হারালে
কত ঘর উদবাস্তু হয়ে যায়। তেমনই ফসলের
ক্ষেত, লাগাতার শস্য কমে গেলে মৈথুন শুকিয়ে
মরে। সতত শস্য চায় আবহমান মানবজমিন।
*******************************************************************
মূল নাম,সাধন চৌধুরী, বাড়ি, আসানসোল, করুণাময়ী হাউসিং,প্লট_২৩,পোঃঅঃ,রামকৃষ্ণ মিশন, বিবেকানন্দ সরনি,পশ্চিম বর্ধমান। অবসরপ্রাপ্ত কলেজ টিচার। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে স্নাতকোত্তর, বিশ্বভারতী। প্রকাশিত কোনো কবিতার বই নেই।



প্রাকৃতিক অবক্ষয় বিষয়ক চিন্তা এ কবিতার সম্পদ।
উত্তরমুছুন