বিকাশ চন্দ * দু'টি কবিতা
শূন্য ফসলের মানব জমিন
স্পর্ধা হীন সময় ছিঁড়েছে জলজ রাতের আকাশ
বুকের আগুন জানে কখনো মিশে যাবে
জ্যোৎস্নার লাল চাঁদে পরস্পর
সুখ আর দুঃখ আজ জানে ছুঁয়ে আছে মাটিতে সবাই
লীলায়িত অনন্ত সময়ে প্রবাহিত মধুস্বর ডাকে
শাশ্বত মাটি ছুঁয়ে মেতেছে মহারাস
বহুবার ঘিরেছে আঁধার অহমিকা গ্রাসে
তবুও রাত রানী ফুলেদের চারিত্রিক সুগন্ধে আকুল
অলৌকিক এ সময়ে ভিজে ওঠে অক্ষম দৃষ্টি লোক
নিজের ভেতর প্রিয়দর্শী চোখ দেখে জন্মের স্মৃতি
আমার বেদ আমার বৈরাগ্য ছুঁয়ে সমাহিত কাল
নিঃস্ব আলোয় ভাসে চাঁদের ছিন্ন কলঙ্ক
অক্ষত সংসার সকল খোঁজে নিসর্গ ক্ষমা
বাহবা সময়ের কৌতুক দেখে ভাসে টুকরো চাঁদ
চতুর্দিকে জড়িয়ে আছে সোনালী মাকড়শা ফাঁদ
মাটি বুকে জড়িয়ে এক নিস্তরঙ্গ পরম্পরা
ছুঁয়ে আছি শূন্য ফসলের মানব জমিন
নিহিত আত্মার ছায়া
দোল খাচ্ছে বিচারের দাঁড়ি পাল্লা
জীবনের হিসেব ভেজাচ্ছে শরীরের অপাপ ঝর্ণা
বদ্ধ ঘরের ভেতর আটকে আত্মার নিধন
জীবিত ঈশ্বরেরা দোলাচ্ছে মানুষের ভবিষ্যৎ
সকল কথা ভেসে যায় মানুষের ঠোঁট ছুঁয়ে
বুকময় ছড়িয়ে গোলাপের রক্তাক্ত রীতি
শরীর সাজানো স্তরে স্তরে শস্য ফুলে
আনন্দ আর অনুভব ছুঁয়ে আছে শূন্যতা
গভীর দুঃখে ভিজে আছে প্রাণের প্রতীক
সকল বিচ্ছিন্নতা ঢেকে রাখে বুকের বাকলে
একাকী পাখির কান্না জানে নির্মম নির্ণয় কাল
সকল শাশ্বত গণ্ডীর ভেতর টুকরো টুকরো পৃথিবীর ঘর
কার ভেতরে সুর তোলে অপাপ রক্তের স্বর
তোমার আমার একতারায় ভরে নিই সনাতন কথা
লালন সময় ছুঁয়ে আছে সুরের ঐকতান
বিধাতা শরীর নাচায় একা শূন্য পরিসরে
সকল ব্রাত্য সময় জড়িয়ে নিহিত আত্মার ছায়া


আমার বৈরাগ্য ছুঁয়ে সমাহিত কাল "... অসম্ভব সুন্দর উপলব্ধি। খুব ভালো লাগলো লেখা দুটি।
উত্তরমুছুন