লিটন শব্দকর * দু'টি কবিতা
আরশোলা ও এক সোনালি দুপুর
এক ভালোলাগার পেছনে ঘুরঘুর করে বইঘরে
খুঁজতে এসে অন্যমনস্ক হয়ে সময় কেটে যায়
কয়েকজন অস্থির, চাহিদার তাকে চোখ থামে না।
থাকুক, এভাবে আয়ুকে বেছে বেছে ভালোলাগা
পর্যন্ত খুঁজে দিতে গিয়ে সোনালি দুপুর ঢেকে
দিয়েছে ব্যথা পাওয়া ঋতু। ধুলো, পুরনো গন্ধ
যখন পায়ে পায়ে এতদূর এসে কোনো কথাই
শুনতে পায় না, টিকটিকির লেজের দাপাদাপির
দিকে আঙুল তুলে দেখায়, বোঝায় ডালভাত, বিশ্রাম, নান্দনিক
প্রয়োজন। চোখ বন্ধ রেখে রাত ফুরোয়, কিছু ঘুম
পড়ে যায় শীতের বাতাসে। কিছু ভূতও জানতো
অচল মুড়ো আলো থেকে দৌড়ে পালায়।
তার চেয়ে ভালো অশরীরীর মতো দেখা।
কিছু আরশোলা দৌড়োয়, আঢাকা খাবারের লোভ
শীতের মুখস্থ হ্যারিকেন ও এক অলীক চ্যাটজিপিটি
গদ্যে আঁকা কমলালেবুর শীতে দু'একটা জবুথবু
কাঠবেড়ালীকে স্ক্রল করতে করতে জেব্রা ক্রসিং
গ্রাম থেকে শেয়ালের হাঁক ছড়িয়ে পড়ে স্ক্রিনের
রাতে। বালিহাঁসের ডানা আপডেটের পর চাঁদ,
পূর্নিমা রাতের কবিতাগুলো সাঁকোর উপর অদৃশ্য।
পুঁইডাঁটার সংসারে অলস সূর্যাস্ত। দুটো বেড়াল
চারকোলের টানে কী এক মায়ায় জড়িয়ে কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তার সিঁড়ি থেকে লাফায়, ভুলোমনা পাঁচিলে
মাছের মুড়ো, পাঁকুর গাছের মাথায় 'হ্যাঁ' 'না' বলতে
শেখা এক প্যাঁচার ছায়া মুছে যায় হেমন্তের
মুখস্থ পিছুটানে। পোড়ো বাড়ির জীর্ণ সাইকেলে
কিছু ডাহুকের লুকিয়ে রাখা আদুরে অ্যালার্ম,
হ্যারিকেনের কাচে এক অলীক চ্যাটজিপিটি
প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাখা।
***************************************************************************************************************





"কিছু ঘুম পড়ে যায় শীতের বাতাসে"...এই লেখার হাত যে কবির তাকে আন্তরিক কুর্নিশ না জানিয়ে থাকা যায় না। চমৎকার দুটি লেখা।
উত্তরমুছুন