অমিত চক্রবর্তী * দুটি কবিতা
এক বিপন্ন আর্টিস্ট
তার শরীর, স্মরণীয় উক্তি যেমন
সুভাষিত বচন এবং বিজ্ঞাপনের ভাষা নিয়ে
ওতপ্রোত মিশে যায়, কোলাজে কোলাজে এক
শারীরিক জিনিয়াস সে।
তার সাথে যদি ইদানীং ছিটে অবসাদ দ্যাখো
যদি দ্যাখো মানসিক ক্লান্তির ফোঁটা,
বুঝবে এ আমাদের ভালবাসার অবশিষ্ট অংশ।
এ ঝড় এক বিপন্ন আর্টিস্ট, ধ্বংসাবশেষ এঁকেছে
স্মিত হাসির, যেন বাস্তব থেকে ছিঁড়ে নেওয়া
ক’টি মৃত কাশফুল, নিপুণ তার শৈলীব্রাশ –
নরম সূর্যকে ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে
লুন্ঠক দিনটা।
ধূপেতে কলিজা ফাটে
‘ধূপেতে কলিজা ফাটে’, ধূসর বেড়াল
রাস্তা পার হয়ে যায়, দুই চোখে তার
বাইনারি ব্ল্যাকহোল, আমাদের আর
ফেরার উপায় নেই।
ভয় এবং নিরুত্তর। আজ সন্ধ্যার আবহবার্তা।
অপসরণ বলা যায় একে, বলা যায়
জানলা দিয়ে সুখী দম্পতি, জানলা দিয়ে
‘মাফলারটা জড়িয়ে নাও’,
এ এক বিদেহী ঘর, কেউ ঢোকে না এখানে,
কেউ বেরিয়ে এসে
পাহাড় দেখবে কী সমুদ্র, অবেলায় কেন
ফুরিয়ে যায় ঠোঁটফাটার ক্রিম?
সৌন্দর্য নাকি
বেঁকে যাচ্ছে এবার, আলো এবং জোছনার দীর্ঘ
প্রতিসরণ, দ্রুত অথচ ক্ষণস্থায়ী নয় তারা –
ভারী মন, শোনো, আমি কিন্তু আবার স্বপ্ন দেখতে পারি,
যদি একবার।
*************************************************************************
অমিত চক্রবর্তীর জন্ম সোনারপুর অঞ্চলের কোদালিয়া গ্রামে। ছাত্রাবস্থায় অনেক লেখা এবং ছাপানো কলকাতার নানান পত্রপত্রিকায়। পড়াশোনার সূত্রে আমেরিকা আসা ১৯৮২। এখন ক্যানসাস স্টেট ইউনিভারসিটি তে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ও প্রাক্তন কলেজ অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের ডিন (২০১৬-২০২২) । প্রকাশিত কবিতার বই পাঁচটি – "অতসীর সংসারে এক সন্ধ্যাবেলা" (২০২১), "জলকে ছুঁয়ো না এখানে" (২০২২), "ভালো আছি স্তোত্র" (২০২৩), “ভুলটা ছিল উপপাদ্যে, প্রমাণেতে নয়” (ই-বুক ২০২৩), এবং “প্যাপিরাসের লুকোনো আর্ট” (২০২৪)। তার সঙ্গে ক্রিয়েটিভ রাইটিংএর বই “সৃজনী লেখার ক্লাসঃ কবিতা লেখা” (২০২৪)। দু'টি পত্রিকার সম্পাদক - উত্তর আমেরিকার নিউ জার্সি অঞ্চলের পত্রিকা "অভিব্যক্তি" (সহ-সম্পাদক) এবং "উজ্জ্বল এক ঝাঁক পায়রা" অনলাইন কবিতা পত্রিকা।







কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন