কবিতাগুচ্ছ * বাবলু সরকার
“২৯” তারিখ
১.
আজ বুঝি সকাল থেকেই তুমি
একটি শবদেহে পরিণত হয়ে আছো
ঠান্ডা শীতল রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে শিরায়
আমি তো সামান্য এক চড়ুই সমতুল ধুকপুকে
হৃৎপিণ্ড আর কতটুকু উষ্ণতা নিতে পারবো
সূর্যের থেকে ঠোঁটে করে আর কতবারই বা
তোমার শবদেহে সেই রোদ্দুর কে দিতে পারবো
২.
বললাম ম্লান হেসে
তুমি কি ধানক্ষেত ভালোবাসো
পথের ধারের সবুজ ধানক্ষেত
আমি কিন্তু ভালোবাসি অথচ
তুমি নীরব রইলে বললে না কিছু
বদলে হেঁচে কেশে নিজের ঠোঁট কামড়ে ধরলে
যেন নিজের দেহ তত্ত্ব বীজ কে দুই দাঁতের নীচে
নিয়ে কামড়ে কামড়ে সবুজকেই গিলে নিলে
৩.
আমার মৃত্যুর দিকে একটুও হেঁটে আসলে না তুমি
আমি কিন্তু এবারে বকবো খুব সারারাত
বকুনিঝকুনি করবো সাদা আলো নিভিয়ে
নিরীহ রেললাইন কখন যে হিংস্র হয়ে ওঠে
দু'পাশে ঘন অরণ্য নিবিড় কখনো বালি ইঁদুর
অন্ধকারে শরীর থেকে খুবলে নেয় নক্ষত্র রাত
মহাকাশ আগুন দমবন্ধ যৌবন আমার
সমাপিকা ক্রিয়ার যুবক বেলা
এবার আমি এইসব মৃত্যু কে আশ্চর্য হয়ে
দেখতেই থাকবো তবু তোমার যৌবন নিয়ে
আমার মৃত্যুর দিকে হেঁটে আসবো না
৪.
একবার তো জানলায় আসতে পারো
দেখতে পারো পৃথিবীর সমস্ত ভালোবাসার
পথগুলোকে।নদীদের ইশারায় কেঁপে উঠতে
পারো বছর শেষের এই দিনগুলোতে
মেঘের ফাঁক গলে গলে মেঘের ঠোঁট
ফাঁকা করে একবার ছুঁড়তে পারো
পোড়া তেলে ভাজার মতো চুমু
নীরব মৌমাছির মতো নিশি শুধুই ফিরে
আসে মৌচাকে অথচ তোমার নাভির উপর
পড়ে আছে কত ভাঙা ভাঙা মৌচাক
৫.
ওই পথ দিয়ে অফুরন্ত কোকিল উড়ে যাচ্ছে
সামনে এক ভাসমান সমুদ্র আর ওই সমুদ্রের
নীচে আমার বাঁশি আর তৃষ্ণা আর এদিকে
তোমার বুকে মানে তুমি বুকে নিয়ে নিশ্চিন্তে
ঘুমিয়ে আছো কতগুলো মৃত বাঁশি নিয়ে আমার
********************************************************************




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন