বনশ্রী রায় দাস * দুটি কবিতা
শঙ্খনাদ মাঠ ও অদৃশ্য বালক
পদ্মদিঘীতে মা যখন
ডুব দিয়ে উঠে আসতেন
মনে হতো গঙ্গা আমার মুঠোয়
রক্ত ঘামের বদলে আমার বাবা
শহর থেকে কিনে আনতেন
মুঠো ভর্তি পলাশ সৌন্দর্য
পৃথিবীর সমস্ত গোলাপ তখন
আমাদের কুঁড়ে ঘরে
ভালবাসারা দপ্ করে জ্বলে উঠল
অলক্ষ্যে খাঁচার ভিতর
স্বর্গ থেকে নেমে একে একে মৃত্যুসিঁড়ি
শঙ্খনাদ মাঠের জন্য খুব মন কেমন
সেখানে গরু চরাত অদৃশ্য বালক
বাবা
রোদ ঝড় মাথায় কর্তব্যে ত্রুটি ?
অভিধানে নৈব নৈবচ —
আমি দেখি সুউচ্চ পাহাড়,
অগণন ঢেউয়ের আশ্রয়দাতা, তীরভূমি
বড় নাতনির মুখেভাত ,
ছোট মেয়ের শশুর বাড়ির
নিমন্ত্রণ রক্ষা
যেন কথা না ওঠে , মা বলেন
লোক লৌকিকতায় আজীবন নিখুঁত
মহানিমের মতো আমার বাবা ,
পেরিয়ে যাচ্ছেন অজুত .... বসন্ত !
সাদাফুলে ভরে গেছে বাবা’র স্বপ্নশয্যা
ফুলেফেঁপে উঠছে নীলাভ হৃদয় —-
বেলাশেষের শরীররে সহস্র ক্ষত ,
পাঞ্জাবির পকেট হাতড়ে
পাইনি একটিও পলাশ ।
-
**************************************************************************************************
জন্মস্থান: অখণ্ড মেদিনীপুর জেলার তামলদা গ্রামে। শিক্ষা : ইতিহাসে স্নাতক বিদ্যাসাগর ইউনিভার্সিটি।প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ছয়টি। নৈঃশব্দ্যের বতিঘর । অনন্তের স্পর্শধ্বনি । মগ্ন জলের অন্তরা । বেদুইন মেঘের ইশারা। শূন্য প্রহরের স্বরগ্রামে। আদিম স্রোতের সংলাপ। প্রবন্ধ গ্রন্থ প্রকাশের পথে। পুরষ্কার ও সম্মাননা : অনন্তের স্পর্শধ্বনি কাব্যগ্রন্থের জন্য " নবপ্রভাত " রজতজয়ন্তী সম্মাননা ও পুরস্কার ২০১৭ " মগ্ন জলের অন্তরা " লাভ করেছে " ডলি মিদ্যা স্মৃতি পুরস্কার "২০১৯ । দুই বাংলার অক্ষরকর্মী পদক । "যদি জানতে" সম্মাননা গ্রহণ ২০২১ সালে । "পাইওনিয়ার শ্রুতি সন্ধ্যা'র" পক্ষ থেকে জেলার শ্রেষ্ঠ কবি সম্মাননা ও পুরস্কার লাভ ২০২২ ।"শব্দরেণু " সম্মাননা --- ২০২৩ ইত্যাদি





কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন