তাপস কুমার দে * দুটি কবিতা

বানানের বই
কবিতার পাতায় জোছনার আলো ফোটা তরঙ্গ
রূপ
রূপক
শুধু অন্ধকার ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে আছে জানালা
ডানা গজানো শব্দ
কবিতার ঈশ্বর
পালক পড়ে লিখে দিলাম আগামি
সেখানে শব্দরা পরাবাস্তবের মত পাথর
পাথর দিয়ে কবিতা লেখা মানুষেরা যন্ত্র
কবিতা লিখতে গিয়ে লিখেছি প্রেম
বয়ে যায় ভৈরব নদ
রূপসী রূপসার মত নদী
চিত্রকল্পের স্রোত ধরি
সাঁতরে গিয়ে লিখি শহর
ইট পাথর বালির মত খই ওড়ে
উড়ন্ত বানানের পাঠে ডানা মেলে জগত পাখি
যে ডানা বুকের মলাটে প্রচ্ছদ
আর আমি কারোর বই।।
পাথরের সুর
পথ অচেনা
রাত জাগলে কুয়াশা চাদর
দেখতে পায়না জোয়ার ভাটায় পুরষ্কারের চাঁদ
অপরিহার্য জলে সন্তরণ
মাছের আধ্যাত্মিকতা কুড়িয়ে নেয় নদী
স্রোতের ভাবমুর্তিতে ভেসে যায় সিলেবাস
দ্রোহ আর স্বপ্নের আকাশ
আত্মঘাতী মন ডেকে যায় যুদ্ধ
জীবন্ত ছুরি সে সাংঘাতিক খুনি
বিষের মত সংক্রামক অসুখ কবিতায় এসে বসে
রক্ত এবং আগুন হয়ে যায় সস্তা
মিথ ভেঙে লবনাশ্রুর মত জমে থাকলেও
ইতিহাস ঠিকই সুতো পেঁচিয়ে উঠবে ফাঁসি-কাষ্ঠে
কোন প্রশ্নবোধক চিহ্ন পাশে এসে বসবেনা
এক সমুদ্র কষ্ট কিম্বা এক আকাশ তুমি নিয়ে।।
পাথরের সুর
**************************************************************
তাপস কুমার দে
লেখালিখি শুরু--সেই স্কুল জীবন থেকে লেখালেখির হাতেখড়ি।
স্কুল জীবন থেকে বিভিন্ন রকম গল্পের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে এটা প্রবল হয় যখন আমার এক সহপাঠী বিভিন্ন রকম বই সংগ্রহের উদ্যোগ নেই কারণ সে পাঠাগার গড়ে তুলবে। আর এ কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করতে গেলে একটি বই দিয়ে অংশ গ্রহণ করতে হবে। আমি অংশ গ্রহন করলাম এবং গল্প পড়তে পড়তে লেখার ইচ্ছে জাগে এবং একটি গল্প লিখেও ফেলি ওটাই আমার প্রথম লেখা।
প্রভাব সৃষ্টিকারী লেখক অথবা কার কার লেখা পড়তে ভালো লাগে---- আমি যখন বেড়ে উঠি তখন হুমায়ুন আহমেদের যুগ তারপরও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্রের মতো লেখকদের লেখা ভালো লাগার তালিকায় উঠে আসে।
আমি কেনো লিখি---- আত্মতুষ্টির জন্য খানিকটা তারচেয়ে বড়ো ব্যপার হলো মনুষ্যত্ব বিকাশের অবিচ্ছেদ্য অংশ যে সাহিত্য, তা নিজেকে ও সমাজকে বুঝাতে। যার ভেতর রয়েছে মহাজাগতিক আনন্দ।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নের পদক্ষেপ ---- লেখালেখির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বলতে নিজের বই প্রকাশ করার আপ্রাণ চেষ্টা আর সেই লক্ষ্যে পান্ডুলিপির কাজ চলমান।
বেশকটি সাহিত্য সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম তার মধ্যে অন্যতম খুলনা সাহিত্য মজলিস, খুলনা কালচারাল সেন্টার। এখনও সম্পৃক্ত আছি খুলনা কালচারাল সেন্টারর সাথে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন