শম্পা সামন্ত * দু’টি কবিতা
রক্তের পদরেখা
চিন্তার পরিসর কমে আসছে।
দুর্যোগের দরজায় ভাগ্য কড়া নাড়ছে।
এখনও নির্মাণের ক্ষমতার পাখি আয়ুষ্মান সূর্যের আলো খেতে চায়।
স্নান করতে চায় সোনালি উর্জায়।
একবার পার ভাঙার শব্দ।
একবার দেয়াল, গড়ার কাজ।
এ ইস্তক কতবার মুক্তো তোলাহল।
কতবার ডুবুরিরা ডুব দিল গভীর আস্তানায়।
আমার শরীরে বাতের গন্ধ।
ক্ষয়ধরা চশমার আড়ালে পর্যুদস্ত বাতিক যাপন।
পাড়ের অশ্বত্থপত্রে দান খয়রাত লিখি।
অশ্রু কুড়িয়ে রাখি দূরগামী গাভীর জন্য।
আমাকে জন্মের মিনার পেরিয়ে যেতে হবে।
অথচ এবরো খেবরো রাস্তায় রক্তের পদরেখা।
চটকগানের বাদাম ওয়ালা
সারাক্ষণ যে টোকো গন্ধের বাতাস বইছে
তার মাঝে এক বাদাম ওয়ালার পচে যাওয়ার প্রেমের বাদাম ও গুড়ের মাখামাখি।
বাদাম কাকু একদিন গানের চটকে বিশ্বজয় করেছে।
কী এক আবিল সুরে ভরেছে সমৃদ্ধ সকাল।
আমি সেই বাদাম কাকুর দেশ চিনিনা।
এমন কী আশ্রয়ের আশ্লেষ মাখা কুঁড়ের খবর ও।
অথচ কবিতা লিখতে গেলে বাদাম ওয়ালা টোকো গন্ধের বিস্বাদ ভেসে আসে।
জানালার সার্সিতে পিচকারীর রঙ।
আর বাইরে বাগান বিলাস।
ওহে রংমিলান্তি ফাগুন বউ!
আর কতদূরে দাঁড়িয়ে থাকবে তুমি?
এবার তো ঘোমটা খোলো।
এখনো কী কাটাবে নিশ্চিত ঘুমঘোরে?
ঝড়ের মাতনের নাম কালবোশেখী।
ঝড় উঠলে এখনো কী উতলা মনের টানা পোড়েন উড়ে যাবেনা?
অন্তহীন অন্ধকারের জগত থেকে?





কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন