হামিদুল ইসলাম * দু’টি কবিতা
অন্ধকার বেয়ে বেয়ে উঠছি
অঙ্কের সিঁড়িঘর
সারারাত আগুন আগুন হিরোসীমা
দাবদাহ থৈ থৈ
ভাঙনের গন্ধ পাই
নদী ভাঙতে ভাঙতে এসেছে বুকের ভেতর
পালঙ্কে বিচ্ছেদের বিষম জ্বর
প্রিয় মানুষটির গায়ে দুর্গন্ধের অতোলান্তিক সাগর
তবু ফিরে আসি ঘাটে
সায়াহ্নে ঘাটে দাঁড়িয়ে প্রহর গোণে মৃত্যু
তাকে শুভেচ্ছা জানাই
মন টাটায়
পাশ ফিরে শুয়ে আছে রোদ
ঘুম ঘুম চোখ
ঘুম নেই
সন্ধ্যা নামছে নার্সিং হোমে
আঁধার বুক বরাবর
দিশেহারা চোখ
একে একে ছেড়ে যায় সবাই
এসেছি
যেতে হবে
পথের মাঝে হাজার পথ
কোন পথ ধরি। ঠিকানা নেই
দুঃখ নেই
তবু দুঃখ থেকে যায়
মেয়েটির সংগে দ্যাখা হয় না
মন টাটায়
*****************************************************************************************************
জন্ম পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি। ছোটোবেলা থেকেই লেখালেখি। স্কুলের একটি ম্যাগাজিনে প্রথম কবিতা প্রকাশ। কলেজ লাইফে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় অনিয়মিত লেখালেখি। স্নাতকোত্তর শেষে একটা ছোটো কাজ। লেখা নেশা। রক্তের সাথে মিশে আছে । এ যাবৎ এগারোটি একক কাব্যগ্রন্থ---- @ হৃদয়ে তুমি @ প্রথম কদম ফুল। @ কেষ্টপুরের কেয়া মল্লিক। @ এই সময় অস্থির সময়। @ রমা রায়। @ শব্দে সাজাই কবিতা।@ বেলাভূমি। @ ঈশ্বরের হৃদয়ে জলের শব্দ। @ নীল সমুদ্র। @ অতল জলের বসত। @ বলয় গ্রাস। তিনটি ই কাব্যগ্রন্থ। @ এখানে আকাশ।@ হৃদয়ভূমি @ আরশিনগর। এছাড়া আছে বেশ কিছু অপ্রকাশিত নাটক ও উপন্যাস।




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন