তুষার ভট্টাচার্য * দু’টি কবিতা
ভূগোল শরীরে
দু'হাতের স্পর্শে দাউ দাউ কামনার আগুন মুহূর্তে জ্বলে ওঠে
বৈষ্ণবীর চোখে মুখে ভূগোল শরীরে ;
চৈতালি রাত্তিরে ঘামে ভেজা স্তনের
আদর শেষে
শরীরের উপত্যকা জুড়ে মুগ্ধ
ভালবাসার আবহ সঙ্গীতে বেজে যায়
বসন্ত কোকিলের কুহু কুহু সুর l
কাল রাত্রির শেষে
বোবা হয়ে আছি তবু হাজারো প্রতিবাদ রোজ লিখে রাখি
মাটির শ্লেটে অক্ষরে অক্ষরে
ফুটপাতের কোনও ক্ষুধার্ত শিশু যেন না খেয়ে মরে ;
কীভাবে বাঁচবো আজ যদি নরকের উত্তাপ মাখা এই দেশে
শিশুদের দু'হাতে তুলে দিতে না পারি থালা ভর্তি খাবার
চোরেদের ঘরে জমে আছে থরে থরে
কালো টাকার পাহাড় ;
উপেক্ষার বাগানে অনাদরে
পড়ে আছে মাটির মেয়ে
তাজা রক্তের দাগ লেগে আছে তার
ছিন্ন পোশাকে খুবলানো শরীরে
নিরাপদে তেত্রিশ হাজার কবিতা লিখে
কি হবে যদি ধর্ষককে ফাঁসির মঞ্চে
ঝোলাতে না পারি আজ ?
কোনও কাজ না পেয়ে সারাদিন রাস্তায় ঘোরে কোটি কোটি
বেকার
তাদের দু'চোখে ভেসে ওঠে স্বপ্ন পোড়া দিন হাহাকার
শিল্প নেই কারখানা নেই কাজ নেই
জীবনের চলার পথ জুড়ে নামে শুধু
অমাবস্যার অন্ধকার ;
কাল রাত্রির শেষে আসবেই একদিন পুবালি নতুন ভোর নতুন
দিন
নীলিম আকাশে ভেসে থাকা রুপোলি চাঁদ এখনও স্বপ্ন
দেখায় অমলিন লা





কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন