কবিতাগুচ্ছ * শিশির আজম
আস্ত
প্লেটে একটা ছুরি দুটো আপেল
কিন্তু আপেল আজ আমরা কামড়ে কামড়ে খাবো
আস্ত টসটসে আপেল
না কেটে
নিঃসঙ্কোচে
কামড়ে কামড়ে খাবো
ছুরি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখুক
কবির মৃত্যু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিন্তিত
খুন হবার তিন সপ্তাহ পরেও
যখন
রাস্তায়
চিত্রকলার প্রদর্শনীকক্ষে
মসৃণ শাওয়ারের নিচে
ডিনার টেবিলে
বা
যত্রতত্র
তার হাড়গোড়গুলো পাওয়া যাচ্ছে, তাজা অবস্থায়
চাকর
ছুটির দিনগুলোতেও
আমি সময়মতো ঘুম থেকে উঠি
কারণ আমি চাকর
আর আমার কোন ছুটির দিন নেই
শেকল কেটে দিলেও
চাকর পালাবার কথা ভাবে না
এদিকে সকাল লাফাতে লাফাতে
দুপুরকে ছুঁয়ে দিয়ে
বিকেলের কাঁধে হাত রেখে
সন্ধ্যার রক্তিম মদিরায় পরাক্রান্ত ন্যায়শাস্ত্র
চুবিয়ে
হয়ে ওঠে নিজের প্রভু
দুটো কাক
পাঁচিলের ওপর
এ-ওকে
দোষারোপ করছে
বেগুনি রঙের সরু কমনীয় সাপ
ঘাসের ওপর একবার মুখ তুলে
সবিস্ময় মুগ্ধতায়
কাকে যেন
দেখে নিলো
আমি চাকর
হয় তো আমি হয়ে উঠতে পারতাম
পাঁচিল
শক্তপোক্ত
আত্মবিশ্বাসী
পাঁচিল
মিল
বেশ অনায়াশে আমরা কবিতা লিখি
পাহাড় নিয়ে
প্রজাপতি নিয়ে
জন্মভূমি নিয়ে
বিরক্তি ছাড়াই আমরা কবিতা লিখি
এমন কি
কবিতা নিয়েও
হেমন্তের রাতে আমরা কবিতা লিখি
মা নিয়ে
আমাদের যে পরাক্রমশালী শাসক
তাকে নিয়েও
অনিষ্টকারীর তকমা এড়িয়ে আমরা আর কতোদিন লিখবো
কবিতা
এ প্রত্যাশা কি অমূলক
যে কবিতা
নিজেই একদিন লিখতে শুরু করবে
আমাদেরকে
আমরা
আবার মিশে যেতে পারবো
জগতের মহাসত্তায়
দুপুরতলার স্বপ্ন
দুপুর মাথায় চেপে হাঁটছি আমরা।
কে দুপুর কে পুলিশ
আমাদের জানবার দরবার নেই।
-- স্টপ!
মাটিতে এলাম নেমে। কে নামালো?
কেউ না, মাটির মেয়ে
দুপুরতলায় কারো জন্য অপেক্ষা করছে।
কার জন্য?
কোন ছন্নছাড়া যুবকের
না কি কোন তরুন কবির?
মেয়েটা দাঁড়ায় ঘুরে, নীল খাতা
বুকে চেপে।
আমাদের আঙুলেরা
কাঁতরায়
প্যান্টের পকেটে!




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন