নজর উল ইসলাম * দু’টি কবিতা
রূপকথা ঢেকে যায়
ওজনদার পৃথিবী অথচ গা ছেড়ে বেড়াই
কত মেঘভার আনচান-এ ডুবে থাকি
এখন অনবরত মৃত্যু নাচে, মিছিল হয়
বেবাক দাঁড়িয়ে পদাতিক সংসারী সৃজনে
কিছু কাক ডালে ডালে ফর্ম্যাট আঁকে
খোলস চেনে না ঝিঁঝিঁদের কে বা চেনে
ডানাজুড়ে মোহিত সুর টানলেও আকর্ষণ আসে না
স্মৃতিও অদৃশ্য হয়, পরশ খোলস বদলায়
নিরূপায় বধিরতায় বাঁচতে শেখে অগ্রসর
মায়াকাঁটা রূপকথায় ঢেকে যায়—বেওয়ারিশ
মনখারাপের উত্থিত অমরতা কেবল মনেই...
নাটকীয়
মন কাজলের পিপাসায় নাটকীয় মোড় নেয়
জীবন দিয়ে যতটুকু বাস্তবিক খুঁজে আনি
জল ছল ছল চোখে বেদবাক্য খুলে বসি
ভালোবাসা এত ছলনার কারসাজিতে আবদ্ধ
পৃথিবীও বুঝি জানেনা গল্পের ভেতরে থেকেও
সাজানো এই চরিত্র-চিত্রণ অভিনয়ের মঞ্চ যেন...
*****************************************************************************
নজর উল ইসলাম
কবিতা এবং কবিতাকেই আঁকড়ে বাঁচতে চেয়েছেন নয়ের দশকের কবি নজর উল ইসলাম।১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর বসিরহাটের পশ্চিম বিবিপুর গ্রামে জন্ম। হাদরিদ্র পরিবারে প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছেন নজর উল কবিতার হাত ধরেই।
দারিদ্র্যের কারণেই উচ্চ মাধ্যমিকের পর উচ্চশিক্ষার কৌলিন্য অর্জন না-করলেও নজর উল ইসলাম নিরন্তর কবিতাচর্চার কবি হিসেবে সমুজ্জ্বল দু-বাংলায়। তাঁর ক্রমান্বয়ে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলি হল ‘নদী এলেই তুমি এসে যাও’, ‘রাতপাখির দেহলি’, ‘আমিই সেই পথ’, ‘ ও বৃষ্টির মেঘ’, ‘মুখ লুকনো হৃদযমুনা’, ‘ মেঘপাখির আগুনলিপি’ প্রভৃতি। বাংলা সাহিত্যের প্রাতিষ্ঠানিক ও অসংখ্য লিটল ম্যাগাজিনে প্রবহমান তাঁর সৃজনশীল কাব্যকৃতির জন্য নজর উল ইসলাম পেয়েছেন চন্দ্রকেতুগড়, রিয়া ইন্ডিয়া এবং এখন বঙ্গদেশ সন্মাননা।



শৈল্পিক আয়োজন
উত্তরমুছুন