কবিতাগুচ্ছ * দেবাশিস সাহা
সম্রাট
বালিশে-চাদরে যে-ঘোড়াটা দৌড়োয়
তাকে স্তব্ধ করার মতো বাতাস ডানা মেলবে
হয়তো একটু পরে
ব্যাকরণ থাক আজ, আমরা বরং ---
সাদা পাতা জুড়ে আগুন লিখি
কেননা অনিচ্ছাকৃত যতগুলো ময়ূর এঁকেছি
ঠোঁটের গোধূলি বরাবর
থির থির কাঁপছে পৃষ্ঠা জুড়ে
বুঝিনি ---
শব্দ আর নৈঃশব্দ্যের মাঝখানে যে তুমুল ঝড়
নিঃস্ব আঙুলে মুছে দিতে পারে
সে-ই তো সম্রাট
ভিজে গামছাটাতে
এক একটা দিন
ভিজে গামছাটাতেও এত কবিতা লেগে থাকে
নিংড়াতে ইচ্ছে করে না
সারা ঘরে শব্দের এত ছড়াছড়ি
যে-সব পাখিরা অস্ত গ্যাছে
তারাও শিস দিয়ে ওঠে
এক একটা দিন
কী স্নিগ্ধ রোদ্দুরে ভরে ওঠে
পাঁজর ফুসফুস
চশমার কান্না
নৌকো কাঁধে হাত রাখছে
জলও প্রস্তুত
কিন্তু এত প্রজাপতি উড়ছে আঙুলগুলোয়
গলুই কী করে ছুঁই !
তার চেয়ে গায়ে মাখি নিরিবিলি ঝাউবন
চশমার কান্না মুছি চাঁদের গুঁড়োয়
দু'চারটে পলাশ ফোটাই না-ফোটা
পাথর চিরে....
ঝরা পাতার দেশে
ঝরা পাতার দেশে একষট্টিটা তারা কুড়োতে
এত জন ভ্যান গখ খরচ করতে হবে
ভাবিনি।
'বড্ড বেহিসেবি তুমি' ভ্রুমধ্যসাগর তুমুল গর্জনে
ঢেউ ছুড়ল উথালপাতাল।
পাখির শিস থেকে ঠোঁটের লিপস্টিক ----সব শুষে নেব রক্তচক্ষু আল্ট্রাভায়োলেটরে।
দুরন্ত ক্যালকুলাস
বীজগণিত কী অ্যরিথ এখানে নিরেট গাধা।
সব হিসাব এখানে পুড়ে এক মুঠো ছাই...
তুমি ছিন্নভিন্ন হলে
তুমি ছিন্নভিন্ন হলে
আমার খুব আনন্দ হয়
যে-নদীতে এক ফোঁটা জল নেই
হেসে ওঠে সে-ও।
এই যে চতুর্দিকে ছিঁড়ে যাচ্ছি এত
ছেঁড়া দিনগুলো চোখের জলে সেলাই করে নতুন করে
পরব বলে
সেই আমার আশ্চর্য নিরাময় জেনো
**************************************************************************


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন