প্রাণজি বসাক * দু’টি কবিতা
নীলাভ খেয়ালে রাত
একেকটা অনবদ্য নীলাভ খেয়াল রাত জাগে
নৈঃশব্দ্যে জাগে নির্মোহ প্রহর আর নীল ছন্দ
আগুনপোড়া চিঠিগুলো খুলে খুলে যত্নে পড়ো
এলোমেলো পংক্তিগুলো ওড়াও জানালা খুলে
পথ হারিয়ে অন্ধ বেড়াল খুঁজে পায় নিজস্ব গন্ধ
সে বোঝে না নির্লজ্জ রাত কতটা গভীর মৃত্যুর
শোকে অশব্দে অতৃপ্ত সুখের এহাত ওহাত একা
নরম পায়ে এলে গলি পথে দেয়াল পাশে রেখে
সময়ের কথা মনে থাকে না মানুষের দোটানায়
খেয়ালে রাত জাগে মনে পড়ে না ভোরের কথা
খন্ড পাঠ
কখনও কেউ উঠে দাঁড়ালে তাকে ঈশ্বর মনে হয়
মনে হয় অজেয় প্রেমিক শুধু ভালোবাসা বিশ্বাসী
উঠে দাঁড়ালে কেঁপে ওঠে বিশ্বজগৎ অদ্ভূত চলন
ঈশ্বর হেঁটে যান দক্ষিণে - উত্তর এসে পায়ে পড়ে
পুব-পশ্চিম চোখে চোখ রেখে মুচকি হাসি হাসে
সন্ধ্যার বাতাসে কেউ জেগে ওঠে লেখে কি কবিতা
কখনও কি পাঠ করা হবে দূরের আকাশে দেখা
ঘন কালো পিঠের উজ্জ্বল নক্ষত্রমালার আলো
হতভম্ব মানুষের চোখ ধাঁধিয়ে দূরে চলে যায় শুধু
হা-হুতাস জীবন আর গোধূলির অনুপম এক রূপ
*************************************************************************
পেশায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসক ও নেশায় কবি। হিন্দি বলয়ে বাংলা ভাষার কবি। কবিতাই একমাত্র জীবনের ওষধি, একথায় বিশ্বাসী। স্কুল ও কলেজ জীবন কেটেছে উত্তরবঙ্গের তুফানগঞ্জ তথা কোচবিহার শহরে। চাকরিসূত্রে রাজধানী দিল্লিবাসী প্রায় ৪৩ বছর। আইআইটি দিল্লির ক্যাম্পাসে এবং আশেপাশে কাটালেন দীর্ঘ জীবন। কবিতা আড্ডা জমে ওঠে এখান থেকেই। খোলবাদক পিতা ছিলেন তার কবিতার প্রেরণা। মূলত লিটম্যাগের কবি। কবিতা ছোটোগল্প অণুগল্পে তিনি স্বতঃস্ফূর্ত। দেশবিদেশে বহুবার সম্মানিত। বাংলা কবিতা নিয়ে বহুবার বাংলাদেশ এবং দুবার ইউরোপ ভ্রমণ করেছেন। রূপসী বাংলা পুরস্কার, বনানী পুরস্কার , ভারত- বাংলাদেশ সাহিত্য সংহতি পুরস্কার, শৃন্বন্তু সারস্বত সম্মান, উত্তর বাংলা পুরস্কার,তিনবাংলা সম্মাননা উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন সময়ে তিনটি পত্রিকা এবং দুটি কাব্যসংকলন সম্পাদনা করেছেন। তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ২২ টি।






কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন