নিমাই জানার তিনটি কবিতা
(১)
ব্ল্যাক মাম্বা জিরাফের শ্মশান ও সুগন্ধি অভয়ারণ্যের মদন চরু
ইনল্যান্ড তাইপান অথবা ব্ল্যাক মাম্বা জিরাফের মতোই ফ্রিজিং পোতাশ্রয় শৌচালয়ের বৃহত্তর সাপের তমোমত্তাবস্থা দিয়ে বসে থাকেন নির্বেদ ব্যাসদেবের ভূ মধ্যস্থ পুত্রের চতুর্বিংশতিতম খন্ড , নির্মম জলধারের গান অতিত্যক্ত নক্ষত্রদের কাছে উঁচু গ্রীবার মতো উটেরা ধ্যানমগ্ন স্নায়ুসন্নিধি দ্বীপে রাতের জল্লাদদের ধরে ধরে হত্যা করে মৃদুস্বরে কথা বলে , জলের ব্যাধ অন্তিম শ্মশানেও ছিল না কখনো , অক্সিটোসিন লালাভ আঙ্গুর গুলো পৃথিবীর মৃতদেহের সাথে ঝুলে আছে এক পক্ষ কাল অবধি এই জল্লাদ স্নায়ু ঘরে সব রাগাশ্রয়ী গজল গাইছে ভৈম অর্থের সুগন্ধি শঙ্খ চারুম মৃত অনদিপের তৃতীয় মানুষেরা ,অলৌকিক বিদীর্ণ তেজ অন্ধকারেও মৃত মানুষের হাড়ের মতো বেজে যায় ঘন্টার ধ্বনি করে শুকনো পিতাদের ঝুলিয়ে রাখে নক্ষত্রের হুক থেকে, সব ঔলঙ্ঘ্য রক্তমাখা পোশাকের নিচে আমার বিবস্ত্র অভয়ারণ্যে এখনো কেউ মৃতদেহের জন্য চন্দন কাঠ কুরে কুরে অলৌকিক স্নায়বিক স্বর্ণালংকার বানায়। চিন্তামনি সাপেদের জিভের মতো অতি তরল ঘ্রান শক্তি নিয়ে সুপ্ত থাকে অবৈধ মানুষের শক্ত তরবারি অলৌকিক ঈশানে , মহাকালের জন্য চর্বির অনুদ্বায়ী ব্যঞ্জনবর্ণ রান্না করছেন সৌমিলী অন্তরিপের বর্ণসঙ্করের মানুষেরা , মৃত জাহাজের নীচে শূকরের চর্ব হত্যাকারী হাঙরটি এখনো ঘুরে বেড়ায় নিজের সঙ্গম শুন্য প্রতিবিম্ব মুখে নিয়ে, শ্যাওলা ওঠা জেলি মাখাচ্ছেন ধ্বজভঙ্গ ঋষিদের অতৃপ্ত অবয়বের দ্বাদশ করোটি ওয়ালা একটি বিমূর্ত তৃপ্ত যোগের ভূমিকম্পজনিত ভগ্নাংশ সমূহ , হে নৈঋতের কোন পাপ মাখানো বীজ এসো অতৃপ্ত সঙ্গম করি মধু রস খেয়ে হয়ে ফেলি যৌবন বদ্বীপের নাভিকুন্ডকের জলাধার বিশেষ , এখানে আমারই শিলালিপি শূন্য শবাসন রেখে জ্ঞানযোগের যোগাসন করছে অক্ষয় আদিত্যের তৃতীয় ধূমকেতু পর্বত , লাল জিরাফটি ছাই মাখাচ্ছে মদন সিংহের মাথায়
(২)
অপক্ষ ক্ষেত্রফল , তম্বাৎ বিছানা ,স্তমজং জল,রজ ভোজনালয়
লাল অপ ভূমির ক্ষেত্রফল , লাল অপপ্রদাহিত দুধ , নীল অনিকেতের মুন্ডু , ব্যাসদেবের চেহারা , তুহিন তান্ত্রিকের জঙ্ঘার মস্তিষ্ক বাগান , হিম মলদ্বারের মতো নষ্ট আগ্নেয় জলাশয় , প্রেত ভূমির মতো শান্ত কৌশানি গিরিখাত , তম্বাৎ উনুনের পাশে পিতা ও এসে বসে থাকে খর্বাকৃতি মাথার পচন সংক্রান্ত প্রতিযোগের রেচক সমূহ বরাবর , হে উদ্ভিদ আমাকে যৌনতার কিউরেটের মাখানো ক্যাপসুল দিয়ে যাও। গলগন্ড সুতোটিকে মাংসের জলে ডুবিয়ে প্রসাধন করব সঙ্গম নারীর নিরোধক দ্রব্যের ভোজনালয়ে বসে , রোমানিও ক্যাপসুলের মতোই আমার ঘুমন্ত বিছানার পাশে গ্রীস ফরমুলেটেড মিসাইল কারখানার অতৃপ্ত বারুদ এসে জিভ দিয়ে চেটে চেটে খায় মহাকালের অনৈসর্গিক স্থাপত্যের অতড়িদাহিত রাসায়নিক জল ,আমিও স্তমজং জলের ভিতর চক্রাকার ব্যবচ্ছেদের চক্রাসন তৈরি করি জলের ভেতরে মৃত মানুষের শুল্ক পত্র বয়ে আনি কৃষ্ণ গহ্বরের জবানবন্দি উপেক্ষা করে , হি হি করে হাসতে থাকে পৃথিবীর বিচূর্ণী ভবনের ক্ষত্রিয় খোলসের থেকেও পেরিটোনিয়াম খাওয়া চামড়ার ভেতরে অদৃশ্য ডিম্বকোষের লাল , হরিৎ শুক্রাণুর পারদ গুলো ঝলঝলে মাথার ভেতরে বীভৎস বিস্ফোরণে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাওয়া ধ্বংসাত্মক মিশরীয় পাপীদের মৃতদেহ ঝুলিয়ে রাখে মাদকাসক্ত কারখানার ভুজঙ্গ দেবীদের মতো গলা ফাঁক করে , থার্ড স্টেজ গলগন্ডের মতো আমারও প্রাচীন কোনো সমর্পণের নীল ম্যারিনেট কাশ্যপেরা নেমে আসে হরিণীময় জলপ্রপাতের মতো , যজ্ঞে ঘি ছড়ায় যজ্ঞের আগুন দৌড়ে আসে যজ্ঞ হোতাকে হত্যা করে মেরে ফেলে, হোতার আত্মা চিবিয়ে চিবিয়ে খায়। যজ্ঞে উৎসর্গীকৃত না-আঁশ থাকে, শিরার ভেতরে শ্যাওলার মাকড়সা ছুঁড়ে দেয় পুঁজের থলি , ঘোড়াদের অতৃপ্ত বিছানা ভেঙে যায় চৌচির জলের নিচে বালিময় অনুতপ্ত ভেড়ারা কিলবিল করে কুমেরু বরফ কারখানার মতো , এই কংক্রিট দেহ ঘরের পাশে আমার বরাহ অবতারের দাঁতগুলো হত্যাকারী রাক্ষসের মতো মিটমিট করে হাসছিল। আমি সন্ত্রস্ত চর্বিওয়ালা কোন নিগ্রো উপজাতির বিবিধ মৈথেলি দন্ডের মাংস নিয়ে জমা করি কিউরেট করা ব্রাজিলিয়ান ব্রায়ের দোকানের কাছে , আমার জন্মান্ধ পিতার মতো অদৃশ্য পিতাদের ষষ্ঠ অঙ্গের ষোড়শ কাম বায়ুমন্থনের ষোড়শ দাগ কামার্ত চিহ্নের উপস্থ খন্ড লিঙ্গের চক্রাকার শ্বেত কোরকটিও ক্ষত মুখের কাছে অনুদ্বায়ী রাক্ষসী প্রেতের যবনিকা আঁকছে , ঈশ্বর মরে গেলে পৃথিবীর জন্মগত সাপেরা সিংহাসন থেকে নামবে যজ্ঞের চারপাশে গ্লুকোজের বাগান তৈরি করবে বলে , পানিক অ্যাংজাইটি ডিউরিং বেড টাইম একটি এম আর সিপি এন্ডোক্রিনোলজিস্ট রাক্ষসের ট্যাবলেট খেতে দিয়েছে ১লিটার স্পিরিট মিশিয়ে
(৩)
জাহান্নাম মাংস কারবারির মৃতদেহ ও জন্ম নিয়ন্ত্রণের পাকস্থলী
লিথিয়াম নাইট্রেটের মতো সতেজ আগুন , পাগলা গারদের মতো সত্য বিহীন জীবন নির্দোষ সংশোধনাগারের মতো নির্জীব পুরুষের আঙ্গুর ভর্তি কিউবিক পাকস্থলী , হিলিয়াম বীজের ক্যান্টনমেন্ট বৎসের মতো এই পরীক্ষাগার শুক্র পদার্থের মতো অতি তরল সান্দ্রতাময় শুক্র ও শঙ্খ যোগ তাড়িত সেবিকাদের মতো নীল ফসফেট জানালার অন্তর্বাসের ক্রিস্টালাইজেশন। কিউবিক টিস্যুর মিসাইল ড্রপ প্লাবতালেট চর্মাবৃত জানালা থেকে লাফিয়ে ধ্বংসাত্মক নক্ষত্রের গালে বারবার রমনের সূক্ষ্মতম চুম্বন করছে বিষ মাখানো মাংসল সুচের ডগা দিয়ে , ডেল এক্স মহাজাগতিক অন্তঃস্থ অধিবিদ্যার মতো অপরা নক্ষত্রের কণাগুলো কিলবিল পাপিষ্ঠ হচ্ছে, দেহের ভেতরে তিনি এসে বসেন জানালা খুলে লৌহ কাঁকরের অতি তড়িতাহিত মাদকের সরু সরু সাপের জন্ম নিয়ন্ত্রণ দৃশ্য দেখতে থাকেন , কিলবিল করতে থাকে পাইথন ভেসে থাকা অ্যাকোয়ারিয়াম গাছ , নিতম্বের বিশুদ্ধ ও ক্ষুদ্রাকৃতি ফাটলের কাছে আমার উচ্ছিষ্টের হাড়গোড় সমেত প্লেট পড়ে আছে চিনামাটি কেবিনের কাছে এতো অতৃপ্ত মাংসাশী কারবারিরা থুতু দিয়ে ভিজিয়ে রাখে রক্তমোছা তুলো , নোঙ্গর ফেলে দিয়ে বারাঙ্গনা কক্ষে যায় তারা ধ্বংস হয়ে যায় সাদাস্রাবের পোশাক পরে ,অদ্ভুত পেঁচার নকল কন্ঠস্বর নিয়ে সংগীতের মতোই নীল কক্ষের মৃতদেহটা ঝুলে আছে ফাঁসি কাঠ থেকে , আদিম তরলের সমো রস ঘৃণা লালাভ লিঙ্গ খসে যাওয়া মোমবাতি রসে সাদা হলুদ ক্রিস্টালাইজেশন তরল মিশিয়ে সঙ্গম পদার্থ তৈরি করছে একটি ধ্রুপদ নর্তকী , এখানেই গর্ভপাতের নষ্ট নির্ঘণ্টটি লিখিত হবে বেশ্যা কারখানার বগল বাঁধা দড়িটির মতো। এখানে শৈল্পিক জরাটি নির্দ্বিধায় কীলকাকৃতি লিপিতে লিখে ফেলে কোন দ্বাদশ ব্রহ্মার অপৌরুষেয় কথা, ব্রহ্মচর পদার্থের মতো মৌসিনরাম , সম্ভোগ দৃশ্য , পাতালের পিতা , উর্জা চিত্র কমলালেবুর মতো ঘুমন্ত অতৃপ্ত হরিণীরা ছটফট করে সালফাইড রোগ নিয়ে নেমে যাওয়ার মতো , আমি বিদূষকের মতো জেনে যাই এই উপত্যকার সকল নারীদের ঋতু চক্রের মহার্ঘ জাতিশ্বর মুহূর্তকাল , এখানে ব্যাঙের পিটুইটারির মতো স্বচ্ছ ডোপামিনের পিতার সুড়ঙ্গ দেখেছিল কেউ আমার শরীরে কোন জঘন্য মাংসকালীন স্থাপত্যের নিদর্শন নেই , সব জীবিত পুরুষ্টু মৃতদেহেরা উল্টো মুখে বলাৎকার করছে মৃতদেহেরাই মুখ ফসকে বলে ফেলবে তাদের পূর্ব জন্মের জন্ম রহস্যের কথা , একটা মৃতদেহ কোন দিন উটের চর্বি দিয়ে পৃথিবীর মাংস রান্না করতে পারেনি আমি সাপের মতো বিধ্বস্ত হতে হতে লবণাক্ত স্তন খেয়ে ফেলছি এফ এন এ বি প্যাথলজিস্ট ঘরের চামড়ার থেকেও আরো সূক্ষ্ম দেবদারু পত্রের নীল স্নায়বিক অলৌকিক প্রেক্ষাগৃহে , জন্ম হলেই মৃত্যু আসে না কখনো , মৃত্যু দরজায় ঝুলে থাকে কস্তুরী গাছের ০.৫ ভ্যালিয়ামে
*********************************************************************************************




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন