রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫

পার্থসারথি মহাপাত্র

 



পার্থসারথি মহাপাত্র * দু’টি কবিতা


স্মৃতিসম্বল 

শরীরের মানচিত্র বদলাতে বদলাতে 

ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছি 

নীলাভ নদী নালা ত্বকের উপর

ফুলে ফুলে উঠছে রোজ

শুকিয়ে যাচ্ছে দ্বীপ, বদ্বীপ, প্রোটোপ্লাজম 

অঙ্কের পন্ডিত হয়েও জীবন তামামির

শেষ অঙ্কে এসে দিশাহারা 

জীবন ইতিহাসের পাতায় 

সিলভার ফিসের আনাগোনা 

তবুও স্মৃতিই সম্বল  

বিস্মৃতির অতলে থিতু হয়ে যায়নি।












বার্ধক্যবেলা

বার্ধক্য মানে নদীর মোহনা 

যৌবনের উচ্চগতির পর মধ্যগতি, 

দুপাশের অববাহিকা অতিক্রান্ত

শ্লথ গতির নাম বার্ধক্যবেলা।

বিস্তৃত শাখা-প্রশাখা, বদ্বীপের 

সাথে সম্পর্কের ইতি টেনে 

জীবন ধারার সমস্ত সঞ্চয় ফেলে 

বিপুল জলরাশির মাঝে সব অহঙ্কার, 

আমিত্ব বিলীন হওয়ার নাম বার্ধক্য। 

বার্ধক্য জীবনের এক অদ্ভূত অধ্যায় !













************************************************************



                     পার্থসারথি মহাপাত্র 


৯ এর দশক থেকে লেখালেখির সাথে যুক্ত পুরুলিয়া জেলার বলরামপুরের পার্থসারথি মহাপাত্র। বাংলার বিভিন্ন ছোট পত্রপত্রিকায় তাঁর লেখা বিচ্ছিন্ন ভাবে প্রকাশিত হয়ে আসছে। কবিতা ছাড়াও ছোট গল্প ও অণুগল্প নিয়মিত লিখে চলেছেন । তাঁর লেখা দুটি কবিতার বই 'বড়মুকরুর ছা'( মানভূমী ভাষায়) এবং 'ক্ষুধার স্পর্শে বর্ণমালা কেঁপে যায়' সমাদৃত। এখনো কোনো গল্পের বই প্রকাশিত হয়নি। পরবর্তী ক্ষেত্রে প্রকাশ করার সম্ভাবনা আছে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন