তাপস কুমার দে * তিনটি কবিতা
দৃষ্টি নন্দন সন্ধ্যা
দৃষ্টি নন্দন সন্ধ্যা
পাথরে ধ্বনি তোলা এক নীলগ্রহ
সবুজ রক্তে অঙ্কুরিত হয়েছে কমলালেবুর বীজ
অতিথি পতিত ঘড়ি
ইশারায় কেউ শোনাচ্ছে মৃত শিশিরের গান
সেই কবে থেকে মানুষ অশ্রুতে ভাসা নৌকা
পাতায় পাতায় কৃষকের অসুখ
সমতল বিধৌত ক্ষোভ জেগে আছে
গায়ে লিখে রাখি খাকি রঙের শাড়ি
লাল মেলার সন্ধ্যা চুমু খাওয়ার দিন
প্রস্তুতি নিতে নিতে শুকিয়ে যায় কান্না
ফসিলের গূঢ়ঘ্রাণ ফুটে ওঠে প্রতিটি ইটে
আর অস্ত্রের ঝনঝনানি মানবিক করিডোর দিয়ে।।
কান্নামুখর কবিতা
বুক জুড়ে নদী বয়ে যাচ্ছে
নীলাভ জল
চলো
প্রার্থনার পথ আমাদের ডাকছে
গুটি বসন্ত রঙ হারাচ্ছে সূর্যের ওপর বসে
চোখের পরিধি প্রসারিত করি আকাশের আলিঙ্গন থেকে
রোদ্দুর পঁচে যাওয়া মায়া অতি ঝাপসা
নৈঃশব্দ্যের কোষে আলাদা একটা বিষণ্ণতা ফুটে আছে
রক্ত ছিটিয়ে দেখা যেতে পারে বিকৃত মৃতদেহগুলি
নির্মম দগদগে ক্ষত
নক্ষত্র রঙের দেশলাই
মানুষ টাইপ হওয়ার সময় নক্ষত্র জ্বলে ওঠে
অনন্ত থেকে ফিরে আসা কবরগুলি জোছনা নিয়ে আসে
বিশ্বাস করি ফুলগুলো পাওয়া চাঁদ থেকে
কাগজের হাত মেকি
দেহের বিচ্ছিন্ন অঙ্গ থেকে বৃক্ষ গজিয়ে ওঠে
রাষ্ট্র ও ধর্ম বৃক্ষের ফল।।
মৃত বাতাসের পর্দা
মানুষ একটি হায়ের ভেতর দিয়ে হাঁটছে
সমুদ্র শুকিয়ে গেছে অন্ধ নুনের গল্পে
ইতিহাস একজন পাঠকের মত হাসছে
উপুড় করে রাখা সূর্য
মেঘেদের পাড়ায় রোদ এক প্রার্থনার দ্যুতি
কবিতার চরণ বেয়ে নেমে যাচ্ছে কুল কিনারাহীন অশ্রু
রোদ্রজল ভ্রমনে জোছনাবাদি আকাশ
রাত্রির রঙ লাল
কাছাকাছি কোনো বন্দর জীবনের ব্যখ্যা দিচ্ছে
কবর থেকে চাঁদ পর্যন্ত উপমার লস্বা লাইন
বাতাসের কান্না থেকে কেউ এঁকে ফেলে নতুন সূর্যের রূপ
আর চঁদকে কবিতার সেলে বন্দী করে জাল ছড়াচ্ছে
শূন্যের মধ্যে ওড়ে এক শূন্য
মানুষ চাঁদকে নয় গুজব দেখতে পায়
পরস্পর আলিঙ্গন খচিত অতুলনীয় আগুন জ্বলে ওঠে আইনাতে
**************************************************************




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন