রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫

তাপস কুমার দে




তাপস কুমার দে * তিনটি কবিতা



দৃষ্টি নন্দন সন্ধ্যা 


দৃষ্টি নন্দন সন্ধ্যা 

পাথরে ধ্বনি তোলা এক নীলগ্রহ

সবুজ রক্তে অঙ্কুরিত হয়েছে কমলালেবুর বীজ 

অতিথি পতিত ঘড়ি

ইশারায় কেউ শোনাচ্ছে মৃত শিশিরের গান

সেই কবে থেকে মানুষ অশ্রুতে ভাসা নৌকা

পাতায় পাতায় কৃষকের অসুখ 

সমতল বিধৌত ক্ষোভ জেগে আছে 

গায়ে লিখে রাখি খাকি রঙের শাড়ি 

লাল মেলার সন্ধ্যা চুমু খাওয়ার দিন 

প্রস্তুতি নিতে নিতে শুকিয়ে যায় কান্না

ফসিলের গূঢ়ঘ্রাণ ফুটে ওঠে প্রতিটি ইটে

আর অস্ত্রের ঝনঝনানি  মানবিক করিডোর দিয়ে।। 



কান্নামুখর কবিতা 


বুক জুড়ে নদী বয়ে যাচ্ছে 

নীলাভ জল


চলো 

প্রার্থনার পথ আমাদের ডাকছে

গুটি বসন্ত রঙ হারাচ্ছে সূর্যের ওপর বসে


চোখের পরিধি প্রসারিত করি আকাশের আলিঙ্গন থেকে

রোদ্দুর পঁচে যাওয়া মায়া অতি ঝাপসা

নৈঃশব্দ্যের কোষে আলাদা একটা বিষণ্ণতা ফুটে আছে 

রক্ত ছিটিয়ে দেখা যেতে পারে বিকৃত মৃতদেহগুলি


নির্মম দগদগে ক্ষত


নক্ষত্র রঙের দেশলাই 

মানুষ টাইপ হওয়ার সময় নক্ষত্র জ্বলে ওঠে

অনন্ত থেকে ফিরে আসা কবরগুলি জোছনা নিয়ে আসে


বিশ্বাস করি ফুলগুলো পাওয়া চাঁদ থেকে

কাগজের হাত মেকি

দেহের বিচ্ছিন্ন অঙ্গ থেকে বৃক্ষ গজিয়ে ওঠে 


রাষ্ট্র ও ধর্ম বৃক্ষের ফল।।



মৃত বাতাসের পর্দা 


মানুষ একটি হায়ের ভেতর দিয়ে হাঁটছে

সমুদ্র শুকিয়ে গেছে অন্ধ নুনের গল্পে

ইতিহাস একজন পাঠকের মত হাসছে


উপুড় করে রাখা সূর্য 

মেঘেদের পাড়ায় রোদ এক প্রার্থনার দ্যুতি

কবিতার চরণ বেয়ে নেমে যাচ্ছে কুল কিনারাহীন অশ্রু


রোদ্রজল ভ্রমনে জোছনাবাদি আকাশ 

রাত্রির রঙ লাল

কাছাকাছি কোনো বন্দর জীবনের ব্যখ্যা দিচ্ছে 


কবর থেকে চাঁদ পর্যন্ত উপমার লস্বা লাইন

বাতাসের কান্না থেকে কেউ এঁকে ফেলে নতুন সূর্যের রূপ

আর চঁদকে কবিতার সেলে বন্দী করে জাল ছড়াচ্ছে


শূন্যের মধ্যে ওড়ে এক শূন্য 


মানুষ চাঁদকে নয় গুজব দেখতে পায় 

পরস্পর আলিঙ্গন খচিত অতুলনীয় আগুন জ্বলে ওঠে আইনাতে



**************************************************************


তাপস কুমার দে 

 লেখালিখি শুরু--সেই স্কুল জীবন থেকে লেখালেখির হাতেখড়ি। 
 স্কুল জীবন থেকে বিভিন্ন রকম গল্পের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে এটা প্রবল হয় যখন আমার এক সহপাঠী বিভিন্ন রকম বই সংগ্রহের উদ্যোগ নেই কারণ সে পাঠাগার গড়ে তুলবে। আর এ কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করতে গেলে একটি বই দিয়ে অংশ গ্রহণ  করতে হবে। আমি অংশ গ্রহন করলাম এবং গল্প পড়তে পড়তে লেখার ইচ্ছে জাগে এবং একটি গল্প লিখেও ফেলি ওটাই আমার প্রথম লেখা। 
প্রভাব সৃষ্টিকারী লেখক অথবা কার কার লেখা পড়তে ভালো লাগে---- আমি যখন বেড়ে উঠি তখন হুমায়ুন আহমেদের যুগ তারপরও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্রের মতো লেখকদের লেখা ভালো লাগার তালিকায় উঠে আসে। 
আমি কেনো লিখি---- আত্মতুষ্টির জন্য খানিকটা তারচেয়ে বড়ো ব্যপার হলো মনুষ্যত্ব বিকাশের অবিচ্ছেদ্য অংশ যে সাহিত্য, তা নিজেকে ও সমাজকে বুঝাতে। যার ভেতর রয়েছে মহাজাগতিক আনন্দ। 
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নের  পদক্ষেপ ---- লেখালেখির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বলতে নিজের বই প্রকাশ করার আপ্রাণ চেষ্টা আর সেই লক্ষ্যে পান্ডুলিপির কাজ চলমান।  
 বেশকটি সাহিত্য সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম তার মধ্যে অন্যতম খুলনা সাহিত্য মজলিস,  খুলনা কালচারাল সেন্টার। এখনও সম্পৃক্ত আছি খুলনা কালচারাল সেন্টারর সাথে।  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন