ধারাবাহিক রহস্য রোমাঞ্চ গল্প
প্রভাত ভট্টাচার্য
পর্ব * ৪
প্রস্তুতি পর্ব
এরপর চলে এল আরও বেশ কয়েকজন । তাদের অনেকেরই অপরাধমূলক কাজকর্মের ইতিহাস আছে। সেটা অবশ্য মন্দ নয়। অজয় যা চেয়েছিল সেরকমভাবেই এগোচ্ছে সবকিছু ।
সেদিন সে সবাইকে নিয়ে একটা মিটিং করল হলঘরে।
আপনারা নিশ্চয়ই জানার জন্য মুখিয়ে আছেন যে কেন আপনাদের এখানে ডেকে আনা হয়েছে ।অজয় বলল।
ঠিক তাই। বলল বিতান।
তাহলে বলি সবকিছু । এ পৃথিবীতে সবকিছু দখল করে নিতে হয়। তাই আমি পরিকল্পনা করেছি যে এমন একটা বাহিনী তৈরি করব, যা সবকিছুর ওপরে প্রভুত্ব করবে। আপনারা সেই বাহিনীর অংশ ।
আমরা এই কজনে মিলে সবার ওপরে ছড়ি ঘোরাবো! বলে উঠল রমেশ।
সবাই মুখ চাওয়াচায়ি করতে লাগল নিজেদের মধ্যে ।
ছড়িয়ে পড়ল মৃদু গুঞ্জন।
একটু যেন বিরক্ত হল অজয়।
একটু চুপ করুন সবাই। বলে উঠল সে।
তার বলার ভঙ্গিতে ফুটে উঠল এক রূঢ় আদেশ।
চুপ করে গেল সবাই।
আমার সঙ্গে চলুন সবাই। বলে অজয় একদিকের দেওয়ালে একটা বোতাম টিপল। সবাই সবিস্ময়ে দেখল, বেশ খানিকটা ফাঁক হয়ে গেল। তার মধ্যে দিয়ে অজয় এগিয়ে চলল। বাকিরা অনুসরণ করল তাকে। নীচে সিঁড়ি নেমে গেছে। কিছুটা নামার পর আর একটা বিশাল হলঘরে এসে পৌঁছল সবাই। ওপর থেকে বোঝাই যায় না যে নীচে এরকম একটা ঘর আছে।
সেখানে ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে বেশ কিছু যান্ত্রিক অবয়ব।
এরা সব রোবট। এরা নানারকমের অস্ত্র তৈরি করছে, আর তাছাড়াও আরও অনেক কিছু জিনিস তৈরি করছে, যার সাহায্যে সবকিছুর ওপরে কর্তৃত্ব করা যাবে। এই সবকিছুর ইন চার্জ হচ্ছে রবিনসন, আর রবিনসনকে চালাই আমি।
সবকিছু দেখে সবাই তো স্তম্ভিত।
দারুণ ব্যাপার ! বলে উঠল বাবলু।
অজয়ের মুখে হাসির রেখা।
আরে, এই তো রবিনসন। সব ঠিকঠাক তো?
ফাইন।
আজকের মত এই পর্যন্তই।প্রস্তুতি চলুক। এরপর আমি বলে দেব কাকে কি করতে হবে ।চলুন ওপরে।
ওপরে উঠে সবাই যে যার ঘরে চলে গেল।
শার্দুল দাঁড়িয়ে রয়েছে । তাকে ডেকে নিয়ে কথা বলতে লাগল অজয়।
কি যে হবে কে জানে! আবদুল বলল অর্জুনের দিকে চেয়ে।
দেখা যাক। বলে অর্জুন ঘরে ঢুকে গেল।
এক অপার্থিব চীৎকার ভেসে এল জঙ্গল থেকে।
************************************"**************************************************************






কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন