সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

কবিতা বিষয়ক গদ্য * সুশান্ত চট্টোপাধ্যায়

 


প্রতিবাদের নন্দনজ্যামিতি 

সুশান্ত চট্টোপাধ্যায়


১ 

'তুমি কি ভেবেছ এই মানুষজনের বাহু এখন নামানো বলে 

                 আরেকবার আকাশ খুঁজবে না 

তুমি কি ভেবেছ গাছ ফল দিয়ে লাশ হলো বলে 

আবার কি বীজ থেকে প্রাণের আনন্দে বীজপত্র খুলে

                                   শ্যামলিমা উঠে দাঁড়াবে না

তুমি ভাবছ শব থেকে দক্ষিণ বাতাস ছুঁয়ে 

হেসে উঠছে বিবাহের রঙে করতলে নন্দিত মেহেদী

ভুল, ভুল, তীক্ষ্ণ চেরা জিহ্বা হয়ে যখন শ্রাবণ রাত্রি জমিয়ে রাখে

                                                    বারুদে বিদ্যুৎ

দ্যাখো, পিছে ঘুমে জাগরণে পায়ে ফিরছে

                         অমোঘ তাড়না হয়ে চতুর্থ পেরেক। 

                     (চতুর্থ পেরেক/ চতুর্থ পেরেক' কাব্যগ্রন্থ, ১৯৮১)


প্রতিবাদের নন্দনজ্যামিতি আর যাপিত জীবনের সংরাগকে যিনি মিলিয়ে দিতে পেরেছিলেন, সেই আত্মপ্রত্যয়ী কবি-প্রাবন্ধিক আর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সৃজন শিল্পী তরুণ সান্যাল চলে গেলেন ২৮শে অগাস্ট, ২০১৭।


পাবনা জেলার কোনও এক গ্রামে ১৯৩২ সালে জন্মেছিলেন তিনি। ছোটবেলা কেটেছে নানা জায়গায় ঘুরে ঘুরে। বাবা বর্ধমানরাজের দেওয়ানি ও নানা কাজের সূত্রে ঘন ঘন জায়গা বদল করতেন, সঙ্গে তাঁর পরিবারও কখনো পূর্ববঙ্গে (পাবনা বা রাজশাহি) কখনো পশ্চিমবঙ্গে (বর্ধমান বা বাঁকুড়া)। ফলে, দুই বাংলার প্রকৃতি মানুষজন, নিসর্গ, শব্দ রং সবই মিশে আছে তাঁর চেতনায়। ইস্কুলে পঠনপাঠন একটু দেরীতে। গাছপালা আর পশুপাখিদের মধ্যেই ঘুরে বেড়াতেন। তিনি নিজেই যাকে বলেছেন 'ঋতুর ছন্দ’ তা অনুভব করতে শুরু করেছেন তখন থেকেই। গ্রামের দরিদ্র অন্ত্যজ মানুষ-- ধর্মে ও আচরণে তারা কত আলাদা তিনি তাদের সঙ্গে মিশতেন বাড়ির নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে। ৪২-এর আন্দোলনের সময় থেকেই, কিশোর দৃষ্টিতে দেখলেন রাজনীতি। সেই আন্দোলনেই দশ বছরের বালক তরুণ সান্যাল প্রথম মিছিলে পা মেলান। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই পদাতিক কবি নিজের বিশ্বাসে ছিলেন অচঞ্চল। রাজনীতি করার বয়স যখন এল, তখন ছোড়দার প্রভাবে কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে গেলেন। বঙ্গানুবাদে তিনি পড়ছেন গোর্কির 'মাদার', দেখছেন সোভিয়েত চলচ্চিত্রে বীরত্বের কাহিনী।

১৯৪৮ সালে স্থায়ীভাবে বর্ধমানে এলেন। বাবা তখন প্রায় নিঃশ্ব। ষোল বছরের তরুণ এখানে এসেই পায়ের তলায় শক্ত মাটি পেলেন। স্কুলে ভর্তি হলেন। লেখালেখিও শুরু হল। ১৯৪৯-এ তিনি ম্যাট্রিকুলশেন পরীক্ষা দিলেন। রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে তাঁর জেলে যাওয়া শুরু। কখনও অন্তরীন, কখনো ডেটিনিউ। জেলে অনশন শারীরিক নিপীড়নও জুটেছে। আর এই কারাবাসের সময়কালীন অনশনের সময় মস্তিষ্কে আঘাত পান যার জন্য ১৯৭৭-৭৮ সালে তিনি মস্কোর হাসপাতালে চোখে অস্ত্রপোচারের জন্য ভর্তি হন। সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর' পরিচয়' পত্রিকায় তিনি লিখছেন মনে পড়ে ১৯৭৭এর ডিসেম্বরে নাকি ১৯৭৮-এর জানুয়ারিতে মস্কোয় হাসপাতালে চোখে তখন অস্ত্রোপচার করিয়েছি। বিছানায় এক চোখ ঢাকা অবস্থায় পড়ে আছি। সুভাষ মুখোপাধ্যায় এলেন মস্কোয় প্রগতি প্রকাশনের অনুবাদক ননী ভৌমিক ও কবি মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায়েকে সঙ্গী করে'। (পরিচয়, ফেব্রুয়ারি-জুলাই ২০০৪) কবি তরুণ সান্যাল ছিলেন এই কাব্যপরিমণ্ডলের মানুষ।

২ 

তরুণ সান্যালের প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'মাটির বেহালা' প্রকাশিত হয় ১৯৫৬ সালে। ১৯৫০-৫৬ এই সময়পর্বে লেখা কবিতাগুলি একত্রে সংকলিত হয়েছিল এই কাব্যগ্রন্থে। রাজনীতির সঙ্গে তিনি অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে আছেন। কৃষকসভায় বক্তৃতাও দিচ্ছেন। তারই মাঝে ১৯৫২-তে আইএসসি এবং ১৯৫৪-তে অর্থনীতি নিয়ে বিএ এবং ১৯৫৬-তে এমএ পাশ করলেন। ঐ বছরই প্রকাশিত হল তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'মাটির বেহালা'। পাশাপাশি তাঁর দুই সতীর্থ কবি শঙ্খ ঘোষের দিনগুলি রাতগুলি' ও অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তের 'যৌবন বাউল’ প্রকাশিত হচ্ছে ঐ একই সময়ে। তাঁর অগ্রজ কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্তের 'দশমী', প্রেমেন্দ্র মিত্রের 'সাগর থেকে ফেরা ও বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'লখিন্দর' কাব্যগ্রন্থগুলিও প্রকাশিত হচ্ছে ঐ একই সময়ে। মনে রাখা প্রয়োজন কৃতি ছাত্র হিসেবে রাজনৈতিক মহলে তাঁর সুনাম ছিল। ছাত্র ফেডারেশনের কাজেও তিনি সম্পৃক্ত। কিন্তু কবিতাতে প্রেমের অভিজ্ঞতারই প্রাধান্য। তখন থেকেই সাহিত্যে রাজনীতির ভূমিকা বিষয়ে গোঁড়ামিতে তাঁর আস্থা ও বিশ্বাস ছিল না। শিক্ষক অবস্তীকুমার সান্যালের অনুপ্রেরণায় মায়াকভস্কি, এলুয়ার, আরাগ, নেরুদার কবিতা তাঁর চেতনাবলয়ে প্রভাব বিস্তার করে। কারাবাসকালীন সময়ে পড়েছেন ওয়াল্ট হুইটম্যান। রুচির জগতের বিস্তার ঘটেছে। আর বাবার অনুপ্রেরণায় কালিদাস থেকে গীতা পর্যন্ত সংস্কৃত পাঠাভ্যাস ছিল তাঁর।প্রেম,দেশ ও রাজনীতিকে মেলাতে চেয়েছিলেন কবিতায়।'কত্তিবাস' পত্রিকায়ও তাই কবিতা লিখেছেন তিনি। তাঁর সহযাত্রী কবি ও সমালোচক দেবীপ্রসাদ বন্দোপাধ্যায় লিখেছিলেন,'তরুন সান্যালের' মাটির বেহালা'র নাম হয়েছিল প্রকাশকালেই (আধুনিক কবিতার ইতিহাস/সম্পাদক অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত,দেবীপ্রসাদ বন্দোপাধ্যায়,দে'জ পাবলিশিং,২০১১, পৃঃ ১৫৯)।


 ১৯৬২তে দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ"অন্ধকার উদ্যানে যে নদী"এই কবিতা গুলি রচিত হয়েছিল ১৯৫৭-৬২।রাজনীতিতে তখনো তিনি সক্রিয়।কিন্তু মনের মধ্যে নানা প্রশ্ন।১৯৫৬-র বিংশ পার্টি কংগ্রেসের রীতিনীতি বিষয়েই নয়,১৯৫৯-র খাদ্য আন্দোলনের সময় রাজনীতির লক্ষ্য ও তার আভ্যন্তরীণ প্রণোদনা নিয়েও তিনি মনে মনে রক্তাত্ব।'নীহারিকা,আলো অন্ধকার' কবিতায় যেন তারই প্রকাশ:

'এসো পথে পা বাড়াই

বিকেল গড়ানো রাতে, চৌমাথায় ভিড়, ভিড়ে ঘোমটা টানা মুখ

বিপন্ন মনের দেহ মাংসের বাঁধনে,এসো

ধোঁয়ায় রহস্য কানাগলি বেয়ে রাস্তায় লুটোয়, এসো

দশটা পাঁচটা ট্রাফিকের অপ্রসন্ন মুখের চোয়ালে

সর্বনিম্ন মজুরির তর্কে, এসো

পঞ্চবার্ষিকীর নামে স্বরের পঞ্চমে, এসো

মফ:স্বলে বামে বলে রাজলক্ষ্মী উপনির্বাচনে, এসো

পা বাড়াই, বাইরে এসো, এসো'

১৩৭ লাইনের এই দীর্ঘ কবিতাটি তে তাঁর সেই সময়ের মানসলোকের চিত্রটি ফুটে উঠেছে।


 ১৯৬২-৬৪ সাম্যবাদী রাজনীতির ঘোর সংকটকাল।দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সব ক্ষেত্রেই।কবির ব্যক্তিগত নৈরাশ্যও যেন তীব্র হয়ে ওঠে।'রণক্ষেত্রে দীর্ঘ বেলা একা'(১৯৬৮)'তোমার জন্যই বাংলাদেশ'(১৯৬৭),এরই নাম অন্য বাংলাদেশ (১৯৭২) কাব্যগ্রন্থগুলিতে এপার বাংলার নকশালবাড়ি আন্দোলন আর ওপার বাংলার মুক্তিযুদ্ধ তাঁর চেতনাবলয়ে বারুদসংযোগ করে।অলীক প্রতিবাদের নাগরিক জগতের ছবি উঠে আসে তাঁর কবিতায়:


'ভিয়েতনামে বোমায় পুড়ছে ফসল শিশু ও ভদ্রাসন

রবীন্দ্রনাথ নাম গেয়ে যায় বাবুর পোষা বোশেখ মাসে

মেয়ে শিখছে রবীন্দ্রগীত, রচনাবলী ঝাড়তে আসে

আলমারীতে ছয় ন মাসে জারডিন অ্যান্ড হেনডারসন

গুরুদেবের নামে কিন্তু গলদশ্রু, মুক্ত দংশন।'

      (রবীন্দ্রনাথের কথা মনে পড়লে এখন)


৩ 

এরই মাঝখানে তিনি ভারত-সোভিয়েত মৈত্রী সংস্কৃতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক।আর সেই সূত্রে সারা ভারতবর্ষ ঘুরে বেড়ান। মৈত্রী-সুবাদে বা চোখের চিকিৎসার জন্য সোভিয়েত ভ্রমণ। তাঁর পরের কাব্যগ্রন্থগুলিতে সেইসব অভিজ্ঞতার উদ্ভাস।যেমন উদ্ভিদ (১৯৭৯),'চতুর্থ পেরেক'(১৯৮১),'পুরাণ কথা'(১৯৮৩)।'কর্ণ পরিচয়' কবিতায় তেমনই এক ছবি উঠে আসে যা  আজও প্রসঙ্গিক।





'খোকা তোর আরো ঢের মন দিয়ে বর্ণপরিচয় শেখা চাই

খোকা তোর ভাঙা স্লেটে আঁকাবাঁকা অক্ষরের ঢঙে

মহাদেশ মহাসাগরের নক্সা

মহাবিশ্ব সৌরলোক

ফসলে ও যন্ত্রে পাখি নদীর কাকলি নিয়ে

গোটা মানুষের ছবি ফুটে ওঠা চাই'


তরুণ সান্যাল তাঁর কবিতায় এই'গোটা মানুষের ছবি'ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন।স্বগত কথনের মধ্যেও প্রকাশিত হয়। তাঁর কাব্য প্রতিন্যাস : 'কাব্যবিচারে রাজনৈতিক কবিদের স্থান কোথায়? এদেশে বা ওদেশে সম্প্রতি শোনা যায়-কবির কোনও মতবাদ নেই, কমিটমেন্ট ও নেই। এদিকে রাজনীতিকদের দাবি, রাজনৈতিক দলের সর্বশেষ সার্কুলারটি কবিকে যেন কবিতায় রুপান্তরিত করতে হবে। অন্যদিকে অন্য এক ধরনের ব্যাক্তিদের বক্তব্য, কবিকে কোনও মতবাদাশ্রিত হলে চলবে না। কবিতাকে একদল শ্লোগান, অন্যদল শ্লোগান বিরোধী রুপে দেখাতে চান।লুকাচ নিজে অত্যন্ত বিখ্যাত মার্কসবাদী। তাঁর মতামত এ বিষয়ে কী?১৯৪৫ সালে রাজনৈতিক কবিতা বিষয়ক এক বক্তৃতায় লুকাচ বলেছিলেন'দৈনন্দিন ঘটনায় মে শিল্প-আঙ্গিকের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের ভূমিকা আছে,। তা হল কবিতা। একথা আজও যেমন, ভবিষ্যতেও তেমনই সত্য থাকবে। এরপরই তিনি বলেছেন,'লুকাচ পার্টিজান কবি বলতে রাজনৈতিক দলের সদস্য বা বামপন্থীর কথা বলতে চাইছেন না।'(' গিওর্গি লুকাচ ও কবিতায় কথা') কবিতা বিষয়ে তরুণ সান্যাল নিজেও এই বিশ্বাসে স্থির ছিলেন।১৯৯৫ -এ প্রকাশিত'কবি এক জাগে' কাব্যগ্রন্থের 'গণশত্রু' দীর্ঘ কবিতায় তিনি যেন তাঁর কবিতাভাবনার প্রতিবাদের নন্দনজ্যামিতি উপস্থাপিত করেছেন। সতেরটি স্তবকে বিন্যস্ত ৮৩ লাইনের দীর্ঘ কবিতাটি বারবার গানের অন্তরার মতো ফিরে ফিরে আসে'কিন্তু কবি ছিল আমার ভাই'এই শব্দবদ্ধ। কবিতার শেষে তিনি মন্ত্রের মতো উচ্চারণ করেন:'গানভোলা দায় তাই রয়েছিস মনে/কিন্তু সত্যি তুই ছিলি কি ভাই/সর্বনাশ স্বপ্ন দিয়েছিলি/'এই দুনিয়া সর্বহারাদের চাই।'

 নিজের কবিতা ভাবনা বিষয়ে জানাতে গিয়ে তিনি লিখেছেন 'শ্রমবিভাজনের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাবার বিপ্লব সাধনাই কবিতার সাধনা।আর শ্রমবিভাজনের বন্দিদশা থেকে মুক্ত সমাজের নামই কমিউনিস্ট মনের সমাজ।আর মুক্তি সন্ধানী কবিই কমিউনিস্ট।দল বাঁধা শ্লোগান হাঁকাদের কথা বলছি না।বলছি ভ্যান গগ,পিকাসো,সিকারাস,রিভারা যাঁরা চোখে দেখেছেন,কানে শুনেছেন, ইন্দ্রিয়ের অ্যানটেনায় রঙ রস ব্যঞ্জনা অনুভব করেছেন।যাঁদের কোনও স্পনসর ধরতে হয়নি।বলছি নেরুদা,এলুয়ার, জীবনানন্দ দাশ,বিষ্ণু দে,যামিনী রায়, কামরুল হাসানের কথা।'(কবির কমিউনিজম)।

 ৪

কবি ও সৃজনশিল্পী তরুণ সান্যাল জীবনের শেষদিন পর্যন্ত একজন যুবকের প্রত্যয়ে এই শহরের নানা প্রতিবাদী সভা সমিতিতে-মিছিলে সামিল হয়েছেন।২০০৭-এ সিঙ্গুর-নন্দীগ্ৰাম আন্দোলন পর্যায়ে তাঁর ভূমিকা ছিল অগ্ৰপথিকের। লেখক-শিল্পী-বুদ্ধিজীবী মঞ্চের সূচনা লগ্ন থেকেই তিনি ছিলেন সামনের সারিতে।২০১১ সালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরও তাঁর ভাবনার কোনও বদল হয়নি।তাই বন্দী মুক্তি কমিটি;'ফ্রেন্ডস অফ ডেমক্রেসি' প্রমুখ গণসংগঠনের সঙ্গে অলংকৃত শরীরেও তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বৎসর।'ভারত-সোভিয়েত সংস্কৃতি মঞ্চে'র সাধারণ সম্পাদক,'পশ্চিমবঙ্গ শান্তি সংসদ','ভারত-গণতান্ত্রিক জার্মানি মৈত্রী সমিতি;'ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতি' সহ বহু সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। 

সম্পাদনা করেছেন'একতা;'কবিপত্র;'সীমান্ত,'পরিচয়;'রুশভারতী।'সপ্তাহ' পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি ছিলেন তিনি।২০০৪ সালে 'শব্দেশ্বরী সর্বেশ্বরী' কাব্যগ্রন্থের জন্য রবীন্দ্রস্মৃতি পুরস্কার লাভ করেন।যদিও সিঙ্গুর-নন্দীগ্ৰাম আন্দোলন পর্বে তার প্রত্যাখ্যান করেন।ব্যাক্তিগত জীবনে অধ্যাপনা করেছেন বালুরঘাট কলেজ,স্কটিশচার্চ কলেজে।অংশকালীন অধ্যাপক ছিলেন 'কলেজ অফ সেরামিক টেকনোলজি'তে।

তাঁর কবিতা ও গদ্যরচনার পাঠক আর পরিচিত স্বজনদের কাছে এই সদালোপী মুক্ত চিন্তার মানুষটির চেতনাবলয়ের অভিঘাত সবীজ অনুপ্রেরণার উৎসভূমি হিসেবে থেকে যাবে।

 

************************************************************



সুশান্ত চট্টোপাধ্যায়

প্রবন্ধ সাহিত্যে সুশান্ত চট্টোপাধ্যায় এককথায় অনন্য, অসাধারণ ।গভীর অধ্যয়ন এবং সৃষ্টিশীলতা তাঁর রচনায় পরতে পরতে গেঁথে থাকে । অ্লোকরঞ্জন দাশগুপ্ত ও দেবীপ্রসাদ বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় সম্পাদিত"আধুনিক বাংলা কবিতার ইতিহাস"গ্রন্থে সত্তর দশকের কবিতা' তাকে পরিচিতি দিয়েছে।১৯৯৫ সালে ভারত সরকারের মানব সম্পদ উন্নয়ন দপ্তর তাকে সাহিত‍্যে সিনিয়র ফেলো হিসেবে মনোনীত করে।তাঁর সৃষ্টিশীল কলম এখনো সমান ক্রিয়াশীল


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন