কবি মোহাম্মদ হোসাইন-এর দুটি কবিতা
অলোক
কেটে, ছিঁড়ে, তন্ন তন্ন করে
আলো ধরে, কুচি কুচি, দানা দানা
হৃদয় লেখা...
যা দেখছি তাই গেঁথে নিচ্ছি বুকে
তাই ঠোঁট থেকে চোয়ালে, তারপর হৃৎ যন্ত্রে ফোড়ন তুলছে
সমস্ত অসম্ভব, সমস্ত সম্ভাবনা ধ্বনি হয়ে মিশে যায়, মিশে যাচ্ছে
পাতার শব্দে, পাখালির উড়ানে
মানুষের একাকীত্ব, নির্জনতা হয়ে অন্ধকারে জমাট পড়ে আছে
বেথুনফল, হিমছড়ির বাঁক নেওয়া কোনো সুদূর অতীত
দেখতে না পেতে পেতে, বুঝতে না পেরে পেরে
যা কিছু সমতল, অসমতল, অসমান হয়ে আছে
তার ভেতরেই গোলাপ কিংবা জবা হয়ে ফুটে ওঠছে দ্বিধা ছাড়াই
তার ভেতরেই কোনো বিচিত্র স্বর কিংবা বিপুল শক্তি সমূহ পতন থেকে
অমীমাংসিত সত্য হয়ে আছে কালের অব্যাখ্যাত আধার...!
আমি যা বলি, আমরা যা বলি তা নয়
যা বলা হয়নি, যা অব্যক্ত রয়ে গেল
কিংবা যা হবে না বলা কোনোদিন, তাইই তা
তাইই সে কিংবা তিনি, কিংবা পরম...
যে সূর্য প্রতিদিন ওঠে, আর যা অস্ত যায়
যে গান প্রতিদিন গীত হয় কিংবা যে কবিতা
লেখা হয়ে আছে কালের মর্মরতায়, তা নয়
যা হবে কিংবা যা হতে পারে বলে বসে আছে কেউ
যাকে খুঁজে ফিরি প্রতিক্ষণ, সে নয়, সেইই সে যার কথা ভাবিনি
আজও, ভাবতে পারিনি আজও
এ পৃথিবী আমার নয়
এ জগৎ আমাদের নয়
অন্য কোথাও ছিলাম হয়তো একদিন
অন্য কোনোখানে যেতে হবে একদিন
সেই সত্য অনন্তের রূপ ধরে আছে গহনতায়...
তারই রেশ ধরে তারই পদচিহ্ন দেখে
যেতে হবে অন্যকালে অন্যকোনো সূত্রের
সন্ধানে...
চিরকাল যারা চিনে নিয়েছে অনিত্যের ভার
অলোক...অমৃতলোকে...
হাত
তুলি দিয়ে ছবি আঁকা যায়
তুলি একটি মেয়ের নাম
কখনো কখনো হাতও তুলি হয়ে যায়
আমি বা আমরা উপরে হাত তুলি
উপরে নিরাকার থাকে
যখন খুব হাইপাওয়ার হয় কিংবা হাইপার
তখন এমনি এমনি হাত তুলে দিই
কেউ বুঝে, কেউ বুঝেনা ..!
কেউ কেউ ভোটের সময় হাত তোলে
ডাইনে বায়ে অনেক অনেক হাত
অনেক হাত তোলাই থাকে চিরকাল
অনেকের খুব লম্বা হাত, অনেকের খুব
ছোট...
অনেকের আবার হাতই নেই!
আমি পৃথিবীর সবহাত এক করে দেখি
কোনোটিই তোমার হাতের মত যথোপযুক্ত নয় ..!
*******************************************************************

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন