কবি বিরথ চন্দ্র মণ্ডল-এর দুটি কবিতা
বিদুর এবং বৃক্ষ
ঈশ্বরীয় কনা গোলক' ধাম
যাবার আগে যাঁকে স্মরণ
করেছিলেন - সেই বিদুরের
চোখের বিভাজীকায় আগুন অশ্রু।
তাঁর তত্ব কথাগুলি বন্যায়
ডুবে যাওয়া ধানগাছ শরীরে
মাখলেও, প্রায় বৃক্ষ বৃষ্টির
জলে ধুয়ে মুছে সাফ করে
দিয়েছে দিবা স্নানের মতো।
তিনি দেখতে পাচ্ছেন - সুর্যের
ফোটন কণা র অবক্ষয়
ক্রমশ... । শিক্ষার কারুভাষা
অন্ধকারের ভাষার মতো
শ্মশান বাতাস... । ওর মনের
পলি গুলি উলঙ্গ সন্তাপ
ছড়াচ্ছে ইদানিং...
এবং
হৃদয় তন্ত্রী বাউল
কথা ভুলে - মৃত্যুর যোনী চিহ্ন
আঁকছে।
বৃক্ষেরা নেংটো পাতার সাথে
সাড়ম্বরে রোজগার চালাচ্ছে বেশ।
এসব দেখে বিদুর ইদানিং স্থবির.....
সাঁঝবাতি এবং মলম
শাঁখের সুর শুনে সাঁঝবাতি ঘরে ঢুকলো এই সময়।
ওর কাছে যাবো -- । ওর নরম চাদর "ওম" এর বিষল্যকরনী আছে।
কোচড়ে ভরে নেবো - শীতল হবে ভারাক্রান্ত মন।
ইদানিং অতিমারী - রয়্যালষ্ট্যাগ এর যৌথ
যৌলুশে পাঠ্যপুস্তক কাঁদে ।
মেধাবী মেয়েটার পাবজীর প্রেম
দিনরাত অষ্টাংগুটি খেলা।
দিনরাত ছদ্মবেশী শাড়ি ।
অন্ধকারে ভালোবাসে মতিচ্ছন্ন নাচ ।
লাইগেশান শব্দের সাথে গার্হস্থ্য রচনা
যেন এক বিষমকামী নারী...
নিয়ম ভাঙার খেলায় দিব্বি তুখোড়.....
আমার এ ভাঙা মনে কার্যকরী মলম অভাব
ওদিকে না গিয়ে ডুকরে ডুকরে কাঁদি....
***********************************************************
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন