কবি নিমাই জানা-র দুটি কবিতা
দশমিক চিহ্ন ও অলংকার নৌকার তলপেট
রাতের পোশাক কখনো অশৌচেয় নয় ,
উলঙ্গ নক্ষত্রের নিচে দাঁড়ানো সমকোণী পুরুষগুলো রাত্রিকালীন
বিসমিল্লা বাজিয়ে অশৌচ হয়ে যায় জিভে প্রগাঢ় দশমিকের নিকোটিন
মাত্রা নিয়ে
নাভি সন্তানেরা পাথরের পরাগ ভাঙতে ভাঙতে ঈশ্বরকে ধরে ফেলেন
তাদের ভাঙ্গা নখ দিয়ে , নোঙ্গর খুলে দেখি নিশাচরের স্থাপত্য হিসেব-নিকেশ
অপ্রাকৃত ভগ্নাংশের মতো পিচ্ছিল
ওৎ মুখে প্রাচীন কোন নাগরিক দূরগামী জাহাজের তলদেশে শ্যাওলা
ওঠা খনিজ সম্পর্কগুলো তুলে নিয়ে আসি আমার গোপন কুঠুরিতে ,
তিনকোনা অন্তর্বাসটি লাউডগার মতো শাঁসালো সরীসৃপ
আমার জামাটির হঠাৎ শীঘ্রপতন দেখা দিল আজ ব্রহ্ম মুহূর্তে জিভের
সাপ এখন নিরাময়ের দৈর্ঘ্য আঁকতেই ভ্রুণঘরের শুঁয়োপোকার পেট
ছিঁড়ে খাচ্ছে যক্ষ নারীর পালক
বাবা আসলে একটি সংক্রমণ মাখানো শুষ্কহীন সরলরেখার উদাহরণ ,
স্বভাব বিদ্ধ চোখের তলায় উত্তম কাহিনীগুলো নামিয়ে রাখি ক্লান্তহীন
পাশবালিশের কাছ থেকে
আমগাছ কেবল বিষন্ন সময় লিখে রাখে ঠিক জোড় কলম ক্ষত মুখের
কাছে , আমি ক্যাকটাসের দুবাহুতে মূলদ সংখ্যা রাখি রহিম সন্ধ্যার
জন্য
ঈশ্বরের ফর্সা গায়ে একটি ময়ূর পালকের কসমিক এনার্জি উ
স্বরবর্ণের মতো উষ্ণীষ ঝুলে আছে
প্লাজমাহীন নবমী তিথি ও দীর্ঘ ই-কার
গণিতের শিখন সামর্থ্যেরা অনেকটাই পাঞ্জাবি ধোয়া নবমী তিথি
জলের মতো প্লাজমাহীন
এই করতালের মতো অবতল নাভি থাকা উঠোনের পাশ থেকে
হরিবোল ধ্বণিটির পর্যায়বৃত্ত স্বরটি প্রাচীন মনে হলো আজ
আমার জিভের আড়ষ্টতা ফেলে সব বর্গক্ষেত্র কপিল শিশুরা
পাঠ্যপুস্তকের শেষ পৃষ্ঠার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঝিমঝিম বিকেল বেলায় ,
কোন গাণিতিক সংখ্যাগুলোর মাথায় হলুদ রঙের প্রলেপ নেই
সব পোশাকেই একটি নিরাভরণ বাইজানটাইন লুকিয়ে আছে
দেওয়ালে উল্টো মুখে ঝুলে থাকা নীল রঙের ধমনিতন্ত্র থেকে বের
করে আনা হোক কালো রঙের রক্তকণিকা গুচ্ছ
ভৌম শরীরে কতবার তোমাকে প্রিয় কবিতাগুলোর পায়ের নুপুর স্বর
শোনাতে পারি কাঁচভাঙ্গা ইলাস্টিক দ্রবণে ডুবিয়ে , নিরাকার যোগ
চিহ্নের পাশে একদিন রাতের হরিণ শিকড় হয়ে এসো আমাদের
চারপাশে ক্ষয় ভূমির বড় বড় উদ্ভিদ মায়েরা সারোগেসি কোল খুঁজছে ,
আমি ' শ ' ব্যঞ্জনবর্ণের শেষে সমুদ্র চুমু এঁকে দেবো উলঙ্গ
সেবাসদনের নিচে দাঁড়িয়ে , সোনার আংটি পরিহিতাকে জড়িয়ে ধরি
ছেঁড়া অব্যবহৃত বৃষ্টির মত
একটি অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নমালার প্রথম জিজ্ঞাসা চিহ্নটি আমার
কান্নাকেই নকল করছে বিষাক্ত সাপের মতো ,
আমার বাবা উল্টোদিকের দেওয়ালের পরমেশ্বর হাড় দেখছেন
************************************************************
একালের এক অত্যন্ত সম্ভাবনাময় কবি নিমাই জানা। ওঁকে জানতে হলে
উত্তরমুছুনকেবল সহৃদয় হৃদয়সংবাদী হলেই হবে না, মেধাবী কেশরে ঝলকাচ্ছে যে
আঙ্কিক/বিজ্ঞানমনস্কতা তাকেও আঁকড়ে ধরা প্রয়োজন। অত্যন্ত আনন্দ পেলাম কবিতাদুটি পড়ে।
অসাধারণ বললেও কম হয় । আপনার লেখায় একটা অন্য মাধুর্য
উত্তরমুছুন