কবি হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি কবিতা
শত্রুরা সব বাজারে গেছে
আগামীকালের গল্প বলতে বলতে
আমি তোমাদের কাছে এসে পড়লাম
শত্রুরা সব বাজারে গেছে
চলে যাওয়ার নিয়মাবলী তাদের আলাদা আলাদা
শয়তানের মুখ থেকে
কন্ঠা থেকে পাজরের হাড় বের না করা পর্যন্ত
তাদের শান্তি নেই
ধুলোভর্তি রাস্তায় হাইওয়ের পাশে সম্পর্কের দেনা
আর কতদিন থাকে
কতদিন থাকে পুনর্মুদ্রণের লিপ্সা
কেন তবে এই রহস্যময় ঘুড়ি মাঞ্জা দিয়ে ওড়াও
আজ দেখো দেবতাদের চোখেও জল
বিশেষ চেনে না কেউ
ভয়ে ভক্তিতে ঝরে পড়া জলে
উড়ে যায় আকাশের নির্জনে
তবে বলো সমগ্রতা কাকে বলে
কাকে বলে অবলোকিতেশ্বর
জীবনের ব্যঞ্জণ নাকি সাবানের ফেনা
বিষাদ ও চঞ্চলতার মাঝে নেমে আসে
আমি অচেনা যুবা এ শহরে নতুন
এখন আমি ফিসফিস করে কথা বলব নিজের সঙ্গে নিজে,
শত্রুরা সব বাজারে গেছে
চলে যাওয়ার নিয়মকানুন সব আলাদা আলাদা
অচল পয়সা
প্রকৃত বিনয় থেকে বিমোহিত কথকতা প্রণয়ের
মন্থর উপমা বিন্দুমাত্র অনিশ্চিত নয়
একদা সৌন্দর্য ছিল যেখানে অদৃশ্য খ ই ছিল
অন্ধকারে লুকানো বিষাদ আজ তা
অশ্রু দাগ,নিরুপায় খোলা জলাশয়
এটুকুই স্বপ্ন আমি দিয়েযাবো যা নির্জন শ্লোক
পায়নি কখনো...
স্বাধীনতা নৈশনিদ্রা স্মৃতি দিয়ে ঘেরা
তুলে নিয়ে ফিরে যেতে বিচারের সমূহ বিধান
জানা নেই স্বরবর্ণ ব্যাঞ্জনবর্ণ জুড়ে
আদর্শ লিপির বর্ণপরিচয়
সরোদের ভেসে ওঠা ঢেউ যেখানে জমে থাকে
মধ্যস্রোত কোটি কোটি কোষে প্রলম্বিত চুম্বনে
এদিকে নি:স্বতা ও নির্বাণ নিয়ে ভেসে যায় সারস্বত কিন্নরী ,
তখন যতদিন যায় মধ্যাহ্ন
ছোট হয়ে আসে মেনে নিতে বাধ্য করা হয়
শোষণের শেষ সীমা অসীম আকাশ
চিবুকে জমা হয় ঘাম ও অশ্রু
একসাথে ঝরাপাতা রাখে যত বিষ,নীল অভিমানহীন
স্পন্দনে ব্রম্ভান্ডের কান্ডজ্ঞান
তবু অবিনাশী আলো হাওয়া
দূর সমুদ্র থেকে ভেসে আসে
কাধে হাত দিয়ে বলে ঠোঁটের কোনায় কেন লেগে আছে শান্ত বিষন্নতা
পরাজয় এসেছে বুঝি নানা রাস্তায়
অথচ ভাদ্র না গেলে আশ্বিন তো আসবে না
যখন যেখানে ঘটে এইসব
সেটাই শেষ ইস্টিসান আর যার ঘটে
সে পায় শুভ জন্মদিন লেখা কেক
*************************************************************
আশির কবি।কুড়ির বেশি কাব্য।ছোটবড় মিলে প্রায় শতাধিক পুরস্কার।দেশ পরিচয় নন্দন চতুরঙ্গ অনুষ্টুপ ছাড়াও অসংখ্য লিটল ম্যাগাজিনে নিয়মিত লিখে চলেছেন৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন